২২ জুন, ২০২৫ ১২:৫০
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপির পথসভায় এক ছাত্রদল নেতা দলটির নেতাকর্মীদের ‘মুজিবীয়' শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন। তবে এমন বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাইক্রোফোন কেড়ে নেন পথসভায় উপস্থিত থাকা বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘মুজিবীয়’ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির পথসভায় বক্তব্য দেওয়া ছাত্রদল নেতার নাম নাহিদ হাসান। তিনি উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
ভাইরাল ভিডিওতে নাহিদকে বলতে দেখা যায়, ‘স্থানীয় প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সবাই আমার’—এরপরই তার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ওই পথসভা মঞ্চ থেকে সরানো হয়।
এদিকে নাহিদ আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন এমন ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের ছবিসহ নাহিদ হাসানের একটি পোস্টার।
এ বিষয়ে জানতে নাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে ইউনিয়ন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা হওয়ার অনেক পরে এক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এ কমিটি নিয়ে বিতর্ক ছিল। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল সরকারের একার সিদ্ধান্তে ও জেলা ছাত্রদল সভাপতির সুপারিশে নাহিদ হাসানকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়েছিল। নাহিদ ছাত্রলীগের নেতা জানার পরও তাকে বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে ছাত্রদলের সভাপতির পদটি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের বহু পোস্টার ফেস্টুন এলাকায় সাঁটানো থাকলেও তাকেই সভাপতি করা হয়েছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি সিকদার বলেন, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে আমাদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের আমলে নাহিদসহ আমরা ছাত্রদলের কর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। ছাত্রদলের দুর্দিনে নাহিদের অবদান অনেক। নাহিদ বহু কষ্ট করেছে ছাত্রদলের কর্মীদের ধরে রাখতে, তাদের পাশে থাকতে। তবে সে ছাত্রলীগ করত এমনটি তিনি স্বীকার করেনি।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, কমিটি নিয়ে একা আমার দায় কেন? আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দুজন স্বাক্ষরিত কমিটি হয়েছে। এখন ঘুরেফিরে আমার দায় ছড়ানো হচ্ছে। নাহিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। এখন সে জবাব দিক। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম রিফাত মোড়ল জানান, ৪/৫ মাস আগে প্রহলাদপুর এলাকায় একটি পথসভায় ওই বক্তব্যটি দিয়েছিলেন নাহিদ। নাহিদ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদল করছেন। তিনি কেন এমন বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নিয়ে এরই মধ্যে আমরা বসেছিলাম। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপির পথসভায় এক ছাত্রদল নেতা দলটির নেতাকর্মীদের ‘মুজিবীয়' শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন। তবে এমন বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাইক্রোফোন কেড়ে নেন পথসভায় উপস্থিত থাকা বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘মুজিবীয়’ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির পথসভায় বক্তব্য দেওয়া ছাত্রদল নেতার নাম নাহিদ হাসান। তিনি উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
ভাইরাল ভিডিওতে নাহিদকে বলতে দেখা যায়, ‘স্থানীয় প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সবাই আমার’—এরপরই তার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ওই পথসভা মঞ্চ থেকে সরানো হয়।
এদিকে নাহিদ আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন এমন ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের ছবিসহ নাহিদ হাসানের একটি পোস্টার।
এ বিষয়ে জানতে নাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে ইউনিয়ন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা হওয়ার অনেক পরে এক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এ কমিটি নিয়ে বিতর্ক ছিল। উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল সরকারের একার সিদ্ধান্তে ও জেলা ছাত্রদল সভাপতির সুপারিশে নাহিদ হাসানকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়েছিল। নাহিদ ছাত্রলীগের নেতা জানার পরও তাকে বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে ছাত্রদলের সভাপতির পদটি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের বহু পোস্টার ফেস্টুন এলাকায় সাঁটানো থাকলেও তাকেই সভাপতি করা হয়েছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি সিকদার বলেন, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে আমাদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের আমলে নাহিদসহ আমরা ছাত্রদলের কর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। ছাত্রদলের দুর্দিনে নাহিদের অবদান অনেক। নাহিদ বহু কষ্ট করেছে ছাত্রদলের কর্মীদের ধরে রাখতে, তাদের পাশে থাকতে। তবে সে ছাত্রলীগ করত এমনটি তিনি স্বীকার করেনি।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, কমিটি নিয়ে একা আমার দায় কেন? আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দুজন স্বাক্ষরিত কমিটি হয়েছে। এখন ঘুরেফিরে আমার দায় ছড়ানো হচ্ছে। নাহিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। এখন সে জবাব দিক। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম রিফাত মোড়ল জানান, ৪/৫ মাস আগে প্রহলাদপুর এলাকায় একটি পথসভায় ওই বক্তব্যটি দিয়েছিলেন নাহিদ। নাহিদ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদল করছেন। তিনি কেন এমন বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নিয়ে এরই মধ্যে আমরা বসেছিলাম। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.