primary-ads

সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পেটানো সেই ওসিকে বদলি

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৮ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পেটানো সেই ওসিকে বদলি

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ ওঠা তাজহাট থানার ওসি শাহ আলম সরদারকে বদলি করা হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি কোতোয়ালি থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

শাহ আলম সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, গত বছরের ১৬ জুলাই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি রংপুর নগরীতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন। এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র কালবেলার কাছে রয়েছে। আন্দোলনকারীরা দিনটিকে শহীদ আবু সাইদ হত্যার ‘পূর্ব মুহূর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

জানা গেছে, পাঁচ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলার ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হলেও, শাহ আলম সরদার ছিলেন ব্যতিক্রম।

বরং শাস্তির বদলে তাকে রংপুর নগরীরই আরেক গুরুত্বপূর্ণ থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তাজহাট থানার ওসি হিসেবে পদায়ন পান ১৭ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর অবশেষে আজ তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি শাহ আলম সরদারকে বদলির সিদ্ধান্তকে দায়ীদের ‘রক্ষা ও উৎসাহ দেওয়ার নমুনা’ হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে, জড়িত ওসি শাহ আলমের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতেই তাকে বদলি করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুর নগরীর জিলা স্কুলের সামনে জড়ো হন কয়েকশো শিক্ষার্থী। সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টাউন হলের দিকে অগ্রসর হলে, পুলিশ লাইন্স মোড়ে এসে বাধার মুখে পড়ে।

পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে, কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) শাহ আলম সরদারের নির্দেশেই ওই লাঠিচার্জ চালানো হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় নিজেও অংশ নেন ওসি শাহ আলম।

ভিডিওচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুলাইয়ের সেই মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ শুরু হলে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) শাহ আলম সরদার নিজেই শিক্ষার্থীদের লাথি ও ঘুষি মারতে দেখা যায়।

পুলিশ লাইন্স মোড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার সময় শাহ আলম সরদার শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করছেন। এ সময় তার নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও আন্দোলনকারীদের ওপর বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ চালান এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ সদস্য আন্দোলন দমন করতে ‘ম্যাসাকার’ চালিয়েছিল, তাদের শুধু এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করা হয়েছে। ওসি শাহ আলম সরদারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি, বরং কেবল পদায়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলোতে যদি সুবিচার নিশ্চিত না হয়, তবে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, তাজহাট থানার ওসিকে সরানো হয়েছে। তাকে বর্তমানে গোয়েন্দা ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

ফেসবুকে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা, যুবলীগ নেতা আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফেসবুকে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা, যুবলীগ নেতা আটক

নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিয়ের আগের দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিয়ের আগের দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর পদত্যাগ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর পদত্যাগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।

যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।

তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.