
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

১৭ জুন, ২০২৫ ১২:২৫
রাতের আঁধারে জমি দখলে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের তিন গৃহবধূকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের মধ্যে দু’জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন আন্দারমানিক ইউনিয়নের পূর্ব ভোঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহরা হলেন- ওই গ্রামের বাসিন্দা রাজিব আকনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩০), মিলন আকনের স্ত্রী সিমা বেগম (৩০) ও জাকির আকনের স্ত্রী কহিনুর বেগম। আহতরা সম্পর্কে ‘জা’ হন।
এদের মধ্যে হাজেরা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি।
ভুক্তভোগীদের থানায় মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আহত হাজেরা বেগমের স্বামী রাজিব আকন জানিয়েছেন, দীর্ঘ বছর ধরে জমি নিয়ে তাদের আকন পরিবার ও পার্শ্ববর্তী বিশ্বাস পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা বিরোধপূর্ণ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ১০টার দিকে প্রতিপক্ষের মৃত নাজেম আলী বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস ও ফারুক বিশ্বাস তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে যায়। এতে বাধা দেন আকন পরিবারের তিন গৃহবধূ। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে বিশ্বাস পরিবারের লোকেরা। তারা এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ওই তিনজনকে।
রাজিব আকনের অভিযোগ, লিন ও ফারুক বিশ্বাসের নেতৃত্বে বারেক বিশ্বাস, তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, লিটনের স্ত্রী তানিয়া বেগম, নূর বিশ্বাসের ছেলে রিয়াদ ও রিফাত বিশ্বাস, স্ত্রী রিনা বেগম, হযরত আলী বিশ্বাসের ছেলে আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ঘেসু বিশ্বাস, মাইদুল বিশ্বাস এবং মেয়ে রেশমা বিশ্বাসসহ অন্তত ২০-২৫ জন মিলে আকন পরিবারের তিন গৃহবধূর ওপর হামলা করে।
এদিকে হামলাকারি লিটন বিশ্বাস হচ্ছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজিব বিশ্বাসের চাচা। তারা এতদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করলেও ৫ আগষ্টের পর ভাইর ছেলে সজিব বিশ্বাসের ছত্রছায়ায় চলে যান।
এমনকি লিটন বিশ্বাস সম্প্রতি তার মাকে লাঞ্চিত করে। সেসময় মসজিদের ইমাম আবু বাকের সিদ্দিক এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে। লিটন বিশ্বাস ইমামকে বেশ করেকটি থাপ্পর মেরে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগ করেন ইমাম আবু বাকের সিদ্দিক।
মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জমি দখল নিয়ে তিন গৃহবধূর ওপর হামলার খবর পেয়েছি। আহতদের মধ্যে দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। তাদেরকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাতের আঁধারে জমি দখলে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের তিন গৃহবধূকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের মধ্যে দু’জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানাধীন আন্দারমানিক ইউনিয়নের পূর্ব ভোঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহরা হলেন- ওই গ্রামের বাসিন্দা রাজিব আকনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩০), মিলন আকনের স্ত্রী সিমা বেগম (৩০) ও জাকির আকনের স্ত্রী কহিনুর বেগম। আহতরা সম্পর্কে ‘জা’ হন।
এদের মধ্যে হাজেরা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি।
ভুক্তভোগীদের থানায় মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আহত হাজেরা বেগমের স্বামী রাজিব আকন জানিয়েছেন, দীর্ঘ বছর ধরে জমি নিয়ে তাদের আকন পরিবার ও পার্শ্ববর্তী বিশ্বাস পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা বিরোধপূর্ণ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ১০টার দিকে প্রতিপক্ষের মৃত নাজেম আলী বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস ও ফারুক বিশ্বাস তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে যায়। এতে বাধা দেন আকন পরিবারের তিন গৃহবধূ। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে বিশ্বাস পরিবারের লোকেরা। তারা এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ওই তিনজনকে।
রাজিব আকনের অভিযোগ, লিন ও ফারুক বিশ্বাসের নেতৃত্বে বারেক বিশ্বাস, তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, লিটনের স্ত্রী তানিয়া বেগম, নূর বিশ্বাসের ছেলে রিয়াদ ও রিফাত বিশ্বাস, স্ত্রী রিনা বেগম, হযরত আলী বিশ্বাসের ছেলে আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ঘেসু বিশ্বাস, মাইদুল বিশ্বাস এবং মেয়ে রেশমা বিশ্বাসসহ অন্তত ২০-২৫ জন মিলে আকন পরিবারের তিন গৃহবধূর ওপর হামলা করে।
এদিকে হামলাকারি লিটন বিশ্বাস হচ্ছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজিব বিশ্বাসের চাচা। তারা এতদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করলেও ৫ আগষ্টের পর ভাইর ছেলে সজিব বিশ্বাসের ছত্রছায়ায় চলে যান।
এমনকি লিটন বিশ্বাস সম্প্রতি তার মাকে লাঞ্চিত করে। সেসময় মসজিদের ইমাম আবু বাকের সিদ্দিক এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে। লিটন বিশ্বাস ইমামকে বেশ করেকটি থাপ্পর মেরে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগ করেন ইমাম আবু বাকের সিদ্দিক।
মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জমি দখল নিয়ে তিন গৃহবধূর ওপর হামলার খবর পেয়েছি। আহতদের মধ্যে দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। তাদেরকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৩৬
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:০৮
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস