২৫ জুন, ২০২৫ ১৯:২৬
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জুলাই যোদ্ধা তালিকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েও জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সাবেক সমন্বয়সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলমগীর হোসেন সৈকত নামে এক সাবেক সমন্বয়ক।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয়। সরকার পতনের পর পরই সে তার ফেসবুক আইডিতে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী একের পর এক পোস্ট করতে থাকে।
আওয়ামী লীগের হয়ে অনলাইনে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণাতে সরব ভূমিকা পালন করতেও পিছিয়ে নেই সুমন রায়। পতনের পরও আওয়ামী স্বৈরাচারের পক্ষে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব থাকায় চলমান ডেভিলহান্ট অপারেশনে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই আবারও আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ শুরু করেছে সুমন রায়। এদিকে যাচাই-বাছাইয়ের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সে তালিকায় হাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রায়ের নাম রয়েছে ৩ নম্বর সিরিয়ালে।
এ নিয়ে জুলাই আন্দোলনের সাথে সর্ম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলমগীর হোসেন সৈকত নামে এক সাবেক সমন্বয়ক।
আলমগীর হোসেন সৈকত জানান, ‘সুমন রায় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন শাখার পদধারী নেতা। চলমান ডেভিল হান্ট অপারেশনে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতেও পাঠিয়ে ছিল। পরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অসুদপায় অবলম্বন করে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সে তার নাম তালিকাভুক্ত করেছে।
এখন সে জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে। তার অপকর্মে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তার নাম বাদ না দিলে আন্দোলন শুরু হবে।’
ছাত্রলীগের নেতা হয়েও জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নাম আসার বিষয়ে সুমন রায়ের মতামত জানতে তার মোবাইলে কল করা হলে তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। আমিও কোটাবিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলাম, কিন্তু সরকার পতনের পক্ষে ছিলাম না।
সরকার পতনের বিপক্ষে থেকেও কীভাবে জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নাম এলো এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই তিনি সংযোগ কেটে তার মোবাইল ফোনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। পীরগঞ্জের জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা আমি এখানে যোগদার করার কয়েক মাস আগেই প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তথ্য গোপন করে জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নাম আসার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জুলাই যোদ্ধা তালিকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েও জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সাবেক সমন্বয়সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলমগীর হোসেন সৈকত নামে এক সাবেক সমন্বয়ক।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয়। সরকার পতনের পর পরই সে তার ফেসবুক আইডিতে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী একের পর এক পোস্ট করতে থাকে।
আওয়ামী লীগের হয়ে অনলাইনে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণাতে সরব ভূমিকা পালন করতেও পিছিয়ে নেই সুমন রায়। পতনের পরও আওয়ামী স্বৈরাচারের পক্ষে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব থাকায় চলমান ডেভিলহান্ট অপারেশনে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই আবারও আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ শুরু করেছে সুমন রায়। এদিকে যাচাই-বাছাইয়ের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সে তালিকায় হাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রায়ের নাম রয়েছে ৩ নম্বর সিরিয়ালে।
এ নিয়ে জুলাই আন্দোলনের সাথে সর্ম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আলমগীর হোসেন সৈকত নামে এক সাবেক সমন্বয়ক।
আলমগীর হোসেন সৈকত জানান, ‘সুমন রায় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন শাখার পদধারী নেতা। চলমান ডেভিল হান্ট অপারেশনে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতেও পাঠিয়ে ছিল। পরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অসুদপায় অবলম্বন করে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সে তার নাম তালিকাভুক্ত করেছে।
এখন সে জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে। তার অপকর্মে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তার নাম বাদ না দিলে আন্দোলন শুরু হবে।’
ছাত্রলীগের নেতা হয়েও জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নাম আসার বিষয়ে সুমন রায়ের মতামত জানতে তার মোবাইলে কল করা হলে তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। আমিও কোটাবিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলাম, কিন্তু সরকার পতনের পক্ষে ছিলাম না।
সরকার পতনের বিপক্ষে থেকেও কীভাবে জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নাম এলো এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই তিনি সংযোগ কেটে তার মোবাইল ফোনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। পীরগঞ্জের জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা আমি এখানে যোগদার করার কয়েক মাস আগেই প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তথ্য গোপন করে জুলাই যোদ্ধা তালিকায় নাম আসার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.