
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:৪১
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সাধন দাস (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে বাড়ির পাশে সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন একটি মাল্টা বাগানে কাউফল গাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাধন দাস উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের বিনায়েকপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের মৃত শংকর দাসের ছেলে। তিনি নিহতের পরিবার ও স্ত্রী সরস্বতী রানী দাস জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বাসা থেকে তিনি বের হয়ে যান।
দুপুরের বাসায় না ফেরায় তার সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করা হয়। এরপর রাতেও বাসায় না আসায় প্রতিবেশীরা মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির পিছনে সন্ধ্যা নদীর পাশে একটি মাল্টা বাগানের ভিতরে কাউফল গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী সুজিত এবং সাগর তার মরদেহ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ছুটে এসে সাধনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ খবর পেয়ে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তার মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ দাশ জানান, সাধন দাস বাড়ির পাশে শেয়ারে মুড়ি তৈরি করার ব্যবসা করে। মঙ্গলবার ঘরের কাউকে না বলে ১০টার দিকে বেরিয়ে যায়।
রাতে বাড়িতে না আসলে তার পরিবার প্রতিবেশীকে জানালে এক পর্যায়ে মালটা বাগানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতের হাঁটু মাটিতে ও বিবস্ত্র ছিল। এই মৃত্যু রহস্যজনক।
স্থানীয় চৌকিদার মো. ইমরান হাওলাদার বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেই। মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে। নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত রাধেশ্যাম সরকার জানান, খবর পেয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরনের লুঙ্গি দিয়ে তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। তার শরীরে আপাতদৃষ্টিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে পারিবারিকভাবে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সাধন দাস (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে বাড়ির পাশে সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন একটি মাল্টা বাগানে কাউফল গাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাধন দাস উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের বিনায়েকপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের মৃত শংকর দাসের ছেলে। তিনি নিহতের পরিবার ও স্ত্রী সরস্বতী রানী দাস জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বাসা থেকে তিনি বের হয়ে যান।
দুপুরের বাসায় না ফেরায় তার সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করা হয়। এরপর রাতেও বাসায় না আসায় প্রতিবেশীরা মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির পিছনে সন্ধ্যা নদীর পাশে একটি মাল্টা বাগানের ভিতরে কাউফল গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী সুজিত এবং সাগর তার মরদেহ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ছুটে এসে সাধনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ খবর পেয়ে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তার মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ দাশ জানান, সাধন দাস বাড়ির পাশে শেয়ারে মুড়ি তৈরি করার ব্যবসা করে। মঙ্গলবার ঘরের কাউকে না বলে ১০টার দিকে বেরিয়ে যায়।
রাতে বাড়িতে না আসলে তার পরিবার প্রতিবেশীকে জানালে এক পর্যায়ে মালটা বাগানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতের হাঁটু মাটিতে ও বিবস্ত্র ছিল। এই মৃত্যু রহস্যজনক।
স্থানীয় চৌকিদার মো. ইমরান হাওলাদার বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেই। মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে। নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত রাধেশ্যাম সরকার জানান, খবর পেয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরনের লুঙ্গি দিয়ে তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। তার শরীরে আপাতদৃষ্টিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে পারিবারিকভাবে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।’

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২২
পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।
পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৪০
সড়ক দুর্ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফেরার পথে বরিশাল-ঝালকাঠী আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাদল ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান খান মন্জু।
জানাগেছে, বাদল ও মন্জু দুইজন একই মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফিরছিলেন। এ সময় ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ঝালকাঠি শহরের মানপাশা টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক মোড়ের একটু পূর্ব দিকে বাপ্পি ভিলার সামনে মটর সাইকেল ও ধানসিড়ি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ধাক্কায় নিজ মোটরসাইকেল চালক মন্জু দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনা স্থলেই নিহত হন। এবং আরহী সিটকে গিয়ে রাস্তার পাসে খামের সাথে বারি লেগে গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর কবির বাদলকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত দুজনই মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খলিফা বলেন, তারা দুজন বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া মোটরসাইকেল করে আসার পথে ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কে ধানসিঁড়ি বাসের ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফেরার পথে বরিশাল-ঝালকাঠী আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাদল ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান খান মন্জু।
জানাগেছে, বাদল ও মন্জু দুইজন একই মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফিরছিলেন। এ সময় ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ঝালকাঠি শহরের মানপাশা টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক মোড়ের একটু পূর্ব দিকে বাপ্পি ভিলার সামনে মটর সাইকেল ও ধানসিড়ি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ধাক্কায় নিজ মোটরসাইকেল চালক মন্জু দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনা স্থলেই নিহত হন। এবং আরহী সিটকে গিয়ে রাস্তার পাসে খামের সাথে বারি লেগে গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর কবির বাদলকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত দুজনই মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খলিফা বলেন, তারা দুজন বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া মোটরসাইকেল করে আসার পথে ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কে ধানসিঁড়ি বাসের ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১২
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শুঁটকি পল্লী, নদী ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এক ব্যস্ত কর্মচাঞ্চল্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কচা নদীর তীর ঘেঁষে সারি সারি বাঁশের মাচা, বাতাসে ভেসে আসা শুকনো মাছের গন্ধ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত হাতের শব্দে দিনভর মুখর থাকে এই এলাকা। শীত এলেই যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় শুঁটকি পল্লীটি।
নদী ও বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি হওয়ায় সদর উপজেলার পাড়েরহাটে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে ওঠে।
এই বন্দরের পাশেই চিথলিয়া গ্রামে শুঁটকি পল্লীর সূচনা। বন্দরে আসা সামুদ্রিক মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের দক্ষিণে কচা নদীর তীরে পাঁচটি বাসা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শুঁটকি পল্লী। এখানে ৫ থেকে ৭ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। মৌসুমভেদে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। কেউ বন্দর থেকে মাছ এনে পরিষ্কার করছেন, কেউ বড় মাছ কাটছেন, আবার কেউ লবণ পানি মিশিয়ে বাঁশের মাচায় মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। শুকিয়ে যাওয়া শুঁটকি বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে পাড়েরহাটে একটি বাসা দিয়ে শুঁটকির ব্যবসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৮ থেকে ১০টি বাসায় পৌঁছালেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচটি বাসা রয়েছে। এখানে কোরাল, লইট্টা, ছুরি, চিতল, হাইতা, মর্মা, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলাসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শীতকালে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুঁটকির মানও ভালো থাকে। গরমে শুঁটকির গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পল্লীটি। মাছের মান অনুযায়ী প্রতি কেজি শুঁটকি ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, তারা কোনো ধরনের ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করেই শুঁটকি তৈরি করেন। নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় বাজারে তাদের শুঁটকির চাহিদা বেশি।
চিথলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলী সরদার জানান, মৌসুমের শুরুতে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা সরাসরি মাছ এনে বিক্রি করেন, সেখান থেকেই শুঁটকির জন্য মাছ সংগ্রহ করা হয়। ইলিশ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
চার বছর ধরে এখানে কাজ করা শ্রমিক মো. ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, এখানে কোনো কীটনাশক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। রোদে শুকিয়ে পরিষ্কারভাবে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলেই এর চাহিদা বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এখানে পাঁচটি বাসায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তবে টিউবওয়েল, একটি সেতু ও পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত।
প্রতি বছর এই শুঁটকি পল্লী থেকে ১০০ টনের বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টরা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস এখানে শুঁটকি কার্যক্রম চলে এবং উৎপাদন পদ্ধতি নিরাপদ। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুঁটকি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তদারকি বাড়বে এবং এখানকার শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শুঁটকি পল্লী, নদী ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এক ব্যস্ত কর্মচাঞ্চল্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কচা নদীর তীর ঘেঁষে সারি সারি বাঁশের মাচা, বাতাসে ভেসে আসা শুকনো মাছের গন্ধ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত হাতের শব্দে দিনভর মুখর থাকে এই এলাকা। শীত এলেই যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় শুঁটকি পল্লীটি।
নদী ও বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি হওয়ায় সদর উপজেলার পাড়েরহাটে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে ওঠে।
এই বন্দরের পাশেই চিথলিয়া গ্রামে শুঁটকি পল্লীর সূচনা। বন্দরে আসা সামুদ্রিক মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের দক্ষিণে কচা নদীর তীরে পাঁচটি বাসা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শুঁটকি পল্লী। এখানে ৫ থেকে ৭ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। মৌসুমভেদে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। কেউ বন্দর থেকে মাছ এনে পরিষ্কার করছেন, কেউ বড় মাছ কাটছেন, আবার কেউ লবণ পানি মিশিয়ে বাঁশের মাচায় মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। শুকিয়ে যাওয়া শুঁটকি বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে পাড়েরহাটে একটি বাসা দিয়ে শুঁটকির ব্যবসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৮ থেকে ১০টি বাসায় পৌঁছালেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচটি বাসা রয়েছে। এখানে কোরাল, লইট্টা, ছুরি, চিতল, হাইতা, মর্মা, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলাসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শীতকালে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুঁটকির মানও ভালো থাকে। গরমে শুঁটকির গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পল্লীটি। মাছের মান অনুযায়ী প্রতি কেজি শুঁটকি ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, তারা কোনো ধরনের ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করেই শুঁটকি তৈরি করেন। নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় বাজারে তাদের শুঁটকির চাহিদা বেশি।
চিথলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলী সরদার জানান, মৌসুমের শুরুতে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা সরাসরি মাছ এনে বিক্রি করেন, সেখান থেকেই শুঁটকির জন্য মাছ সংগ্রহ করা হয়। ইলিশ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
চার বছর ধরে এখানে কাজ করা শ্রমিক মো. ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, এখানে কোনো কীটনাশক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। রোদে শুকিয়ে পরিষ্কারভাবে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলেই এর চাহিদা বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এখানে পাঁচটি বাসায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তবে টিউবওয়েল, একটি সেতু ও পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত।
প্রতি বছর এই শুঁটকি পল্লী থেকে ১০০ টনের বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টরা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস এখানে শুঁটকি কার্যক্রম চলে এবং উৎপাদন পদ্ধতি নিরাপদ। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুঁটকি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তদারকি বাড়বে এবং এখানকার শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.