২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩২
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পূজার সময় বৈধ ও অবৈধ মদের দোকান বন্ধ রাখতে পুলিশ কমিশনার দায়িত্বে আছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবেন না। পার্শ্ববর্তী দেশ মিথ্যা সংবাদ ছড়ায়, আপনারা সত্যি বললে তাদের মুখে চুলকানি পড়বে।’
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অর্পন কান্তি ব্যানার্জি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে পূজার সময় চট্টগ্রামের সব মদের দোকান বন্ধ রাখার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে চাই না যে চট্টগ্রামে পূজার সময় মদ বা গাজা বিক্রি হচ্ছে।
দোকান খোলা থাকলে অনেকে কিনতে চাইবে, বন্ধ থাকলে কেউ খেতে পারবে না। পূজামণ্ডপের আশপাশেও মদের কোনো দোকান থাকা উচিত নয়। আপনার কাছে অনুরোধ, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি আরও জানান, চতুর্থ নগরে ২৯২টি পূজামণ্ডপে কোনো মেলা বসবে না। মেলা না বসলে মদ বিক্রিরও সুযোগ থাকবে না। একইদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেছেন। তিনি প্যান্ডেলের নিরাপত্তা ও পবিত্রতা রক্ষা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেছেন।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘জেএম সেন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ভালোভাবে বজায় রাখা হয়। প্রয়োজনে টাইলস করা হয়। প্রতিদিনই পয়পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক, সিসি ক্যামেরা, আনসার ও নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। শিশু ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক থাকবে। পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।’
এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছোটখাটো ঘটনার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন অপপ্রচার ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। লোকাল পর্যায়ে কিছু ঘটনা ঘটে, আবার কিছু ঘটে না, অথচ মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে অযথা প্রচারের মাত্রা বাড়ে।’
তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাহিনীর প্রধানদের আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি—যারা উসকানি বা অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এবার দুর্গাপূজা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের কোথাও বড় কোনো সমস্যা নেই। ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।’
সব ধর্মের মানুষের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সব ধর্মের লোকজন যেন সহযোগিতা করে পূজাটি সুন্দরভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।’ অনলাইনে অপপ্রচারের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইউটিউবে যেসব বিষয় ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হলেও অনুরোধে অনেক ক্ষেত্রে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়কেও অনুরোধ জানাই।’
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ‘বর্তমান সরকার দুর্গাপূজার সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তায় যথেষ্ট আন্তরিক ও সহযোগিতা প্রদর্শন করছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও র্যাব যথাযথভাবে মোতায়েন রয়েছে।
আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেএম সেন হলের মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন এবং সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিদেশে বসে কেউ যেন সাইবার ক্রাইম বা গুজব ছড়াতে না পারে এবং গুজবে কান না দেয়, সে বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সরকারের এ সহযোগিতা ও তৎপরতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পূজার সময় বৈধ ও অবৈধ মদের দোকান বন্ধ রাখতে পুলিশ কমিশনার দায়িত্বে আছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবেন না। পার্শ্ববর্তী দেশ মিথ্যা সংবাদ ছড়ায়, আপনারা সত্যি বললে তাদের মুখে চুলকানি পড়বে।’
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অর্পন কান্তি ব্যানার্জি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে পূজার সময় চট্টগ্রামের সব মদের দোকান বন্ধ রাখার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে চাই না যে চট্টগ্রামে পূজার সময় মদ বা গাজা বিক্রি হচ্ছে।
দোকান খোলা থাকলে অনেকে কিনতে চাইবে, বন্ধ থাকলে কেউ খেতে পারবে না। পূজামণ্ডপের আশপাশেও মদের কোনো দোকান থাকা উচিত নয়। আপনার কাছে অনুরোধ, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি আরও জানান, চতুর্থ নগরে ২৯২টি পূজামণ্ডপে কোনো মেলা বসবে না। মেলা না বসলে মদ বিক্রিরও সুযোগ থাকবে না। একইদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেছেন। তিনি প্যান্ডেলের নিরাপত্তা ও পবিত্রতা রক্ষা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেছেন।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘জেএম সেন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ভালোভাবে বজায় রাখা হয়। প্রয়োজনে টাইলস করা হয়। প্রতিদিনই পয়পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক, সিসি ক্যামেরা, আনসার ও নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। শিশু ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক থাকবে। পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।’
এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছোটখাটো ঘটনার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন অপপ্রচার ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। লোকাল পর্যায়ে কিছু ঘটনা ঘটে, আবার কিছু ঘটে না, অথচ মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে অযথা প্রচারের মাত্রা বাড়ে।’
তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাহিনীর প্রধানদের আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি—যারা উসকানি বা অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এবার দুর্গাপূজা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের কোথাও বড় কোনো সমস্যা নেই। ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।’
সব ধর্মের মানুষের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সব ধর্মের লোকজন যেন সহযোগিতা করে পূজাটি সুন্দরভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।’ অনলাইনে অপপ্রচারের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইউটিউবে যেসব বিষয় ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হলেও অনুরোধে অনেক ক্ষেত্রে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়কেও অনুরোধ জানাই।’
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ‘বর্তমান সরকার দুর্গাপূজার সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তায় যথেষ্ট আন্তরিক ও সহযোগিতা প্রদর্শন করছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও র্যাব যথাযথভাবে মোতায়েন রয়েছে।
আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেএম সেন হলের মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন এবং সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিদেশে বসে কেউ যেন সাইবার ক্রাইম বা গুজব ছড়াতে না পারে এবং গুজবে কান না দেয়, সে বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সরকারের এ সহযোগিতা ও তৎপরতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।’
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫০
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হলো।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন আসামি। তাদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে ছিলেন। এদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন এখন অবসরকালীন ছুটিতে।
এর আগে, আজ সকাল ৭টার পর বাংলাদেশ জেল প্রিজনভ্যানের গাড়িতে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা সবাই সাধারণ পোশাকে ছিলেন।
মামলার একটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে) ; র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম সেনা হেফাজতে ছিলেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তারা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তারা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তারা দেশত্যাগ করেছেন।
এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হলো।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন আসামি। তাদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে ছিলেন। এদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন এখন অবসরকালীন ছুটিতে।
এর আগে, আজ সকাল ৭টার পর বাংলাদেশ জেল প্রিজনভ্যানের গাড়িতে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা সবাই সাধারণ পোশাকে ছিলেন।
মামলার একটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে) ; র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম সেনা হেফাজতে ছিলেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তারা হলেন বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক। এ ছাড়া মামলার আসামি শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন।
এই মামলার আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক। তারা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো সূত্র বলছে, তারা দেশত্যাগ করেছেন।
এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক।
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১১
শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবারও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের বড় দাবি পূরণ হয়েছে। এটা আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। আগামীকাল থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।
দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, গত আট দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখব। যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আট দিন পুষিয়ে দেব।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই ধাপে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিকে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শনিবারও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের বড় দাবি পূরণ হয়েছে। এটা আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। আগামীকাল থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।
দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, গত আট দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখব। যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আট দিন পুষিয়ে দেব।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুই ধাপে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিকে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:০৯
নির্বাচনকে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মাঠে থাকবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটের দিন প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে সারাদেশে।’
তিনি আরও জানান, ‘দেশে এখন নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।’ সচিব বলেন, সম্প্রতি লুট হওয়া অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে, বাকি অংশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয়নি বলে জানান তিনি।
নির্বাচনকে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মাঠে থাকবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটের দিন প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে সারাদেশে।’
তিনি আরও জানান, ‘দেশে এখন নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।’ সচিব বলেন, সম্প্রতি লুট হওয়া অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে, বাকি অংশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয়নি বলে জানান তিনি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.