
১৯ জুন, ২০২৫ ২০:৫৫
মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ দখলদার জায়নবাদী ইসরাইলের অব্যহত আগ্রাসনকে রুখে দিতে মুসলিম বিশ্ব সহ বিশ্বের শান্তিকামী দেশ সমূহের প্রতি এ আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর ও ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.)।
সম্প্রতি গাজায় অব্যহত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি ইরানে হামলার ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন- যখন থেকে আমেরিকা ও বৃটেন ছলে বলে কলে কৌশলে নিরীহ ফিলিস্তিনী জনগনকে উৎখাত করে জায়নবাদী ইসরাইলকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মাকদাসে অবৈধভাবে বসিয়ে নির্লজ্জভাবে তার সকল আগ্রাসী কর্মকান্ডে সহায়তা করে যাচ্ছে, ঠিক তখন থেকেই ইসরাইল নামক বিষফোঁড়া গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশ সমূহের জন্য হয়েছে এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন। ফিলিস্তিন, লেবানন, গাজা, সিরিয়া,ও মিশরের অনেক অধিবাসী তাদের হাজার বছরের প্রিয় মাতৃভূমি হারিয়ে হয়েছে যাযাবর। প্রতিরোধ যুদ্ধে লাশের মিছিল হচ্ছে সুদীর্ঘ। এতিম, শিশু, নারী ও বিধবাদের আহাজারীতে মুসলমানদের ভাগ্যাকাশ হয়েছে মেঘাচ্ছন্ন।
তিনি আরও বলেন- সভ্যতার যেকোন মানদণ্ডে জায়নবাদী ইসরাইলকে তার এহেন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেকোন শাস্তিই যথেষ্ট নয়। তাই যতদ্রুত সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাকে রুখে দেয়া যায় ততই মঙ্গল। অন্যথায় সভ্যতার যেকোন দাবীই প্রহসনের নামান্তর; তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ দখলদার জায়নবাদী ইসরাইলের অব্যহত আগ্রাসনকে রুখে দিতে মুসলিম বিশ্ব সহ বিশ্বের শান্তিকামী দেশ সমূহের প্রতি এ আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর ও ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.)।
সম্প্রতি গাজায় অব্যহত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি ইরানে হামলার ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন- যখন থেকে আমেরিকা ও বৃটেন ছলে বলে কলে কৌশলে নিরীহ ফিলিস্তিনী জনগনকে উৎখাত করে জায়নবাদী ইসরাইলকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মাকদাসে অবৈধভাবে বসিয়ে নির্লজ্জভাবে তার সকল আগ্রাসী কর্মকান্ডে সহায়তা করে যাচ্ছে, ঠিক তখন থেকেই ইসরাইল নামক বিষফোঁড়া গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশ সমূহের জন্য হয়েছে এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন। ফিলিস্তিন, লেবানন, গাজা, সিরিয়া,ও মিশরের অনেক অধিবাসী তাদের হাজার বছরের প্রিয় মাতৃভূমি হারিয়ে হয়েছে যাযাবর। প্রতিরোধ যুদ্ধে লাশের মিছিল হচ্ছে সুদীর্ঘ। এতিম, শিশু, নারী ও বিধবাদের আহাজারীতে মুসলমানদের ভাগ্যাকাশ হয়েছে মেঘাচ্ছন্ন।
তিনি আরও বলেন- সভ্যতার যেকোন মানদণ্ডে জায়নবাদী ইসরাইলকে তার এহেন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেকোন শাস্তিই যথেষ্ট নয়। তাই যতদ্রুত সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাকে রুখে দেয়া যায় ততই মঙ্গল। অন্যথায় সভ্যতার যেকোন দাবীই প্রহসনের নামান্তর; তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২২
পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।
পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৪০
সড়ক দুর্ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফেরার পথে বরিশাল-ঝালকাঠী আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাদল ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান খান মন্জু।
জানাগেছে, বাদল ও মন্জু দুইজন একই মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফিরছিলেন। এ সময় ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ঝালকাঠি শহরের মানপাশা টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক মোড়ের একটু পূর্ব দিকে বাপ্পি ভিলার সামনে মটর সাইকেল ও ধানসিড়ি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ধাক্কায় নিজ মোটরসাইকেল চালক মন্জু দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনা স্থলেই নিহত হন। এবং আরহী সিটকে গিয়ে রাস্তার পাসে খামের সাথে বারি লেগে গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর কবির বাদলকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত দুজনই মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খলিফা বলেন, তারা দুজন বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া মোটরসাইকেল করে আসার পথে ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কে ধানসিঁড়ি বাসের ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফেরার পথে বরিশাল-ঝালকাঠী আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির বাদল ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য মিজানুর রহমান খান মন্জু।
জানাগেছে, বাদল ও মন্জু দুইজন একই মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া ফিরছিলেন। এ সময় ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের ঝালকাঠি শহরের মানপাশা টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক মোড়ের একটু পূর্ব দিকে বাপ্পি ভিলার সামনে মটর সাইকেল ও ধানসিড়ি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বাসের ধাক্কায় নিজ মোটরসাইকেল চালক মন্জু দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনা স্থলেই নিহত হন। এবং আরহী সিটকে গিয়ে রাস্তার পাসে খামের সাথে বারি লেগে গুরুতর আহত হন।স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর কবির বাদলকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত দুজনই মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে বিএনপি পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খলিফা বলেন, তারা দুজন বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়া মোটরসাইকেল করে আসার পথে ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কে ধানসিঁড়ি বাসের ধাক্কায় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১২
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শুঁটকি পল্লী, নদী ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এক ব্যস্ত কর্মচাঞ্চল্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কচা নদীর তীর ঘেঁষে সারি সারি বাঁশের মাচা, বাতাসে ভেসে আসা শুকনো মাছের গন্ধ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত হাতের শব্দে দিনভর মুখর থাকে এই এলাকা। শীত এলেই যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় শুঁটকি পল্লীটি।
নদী ও বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি হওয়ায় সদর উপজেলার পাড়েরহাটে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে ওঠে।
এই বন্দরের পাশেই চিথলিয়া গ্রামে শুঁটকি পল্লীর সূচনা। বন্দরে আসা সামুদ্রিক মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের দক্ষিণে কচা নদীর তীরে পাঁচটি বাসা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শুঁটকি পল্লী। এখানে ৫ থেকে ৭ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। মৌসুমভেদে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। কেউ বন্দর থেকে মাছ এনে পরিষ্কার করছেন, কেউ বড় মাছ কাটছেন, আবার কেউ লবণ পানি মিশিয়ে বাঁশের মাচায় মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। শুকিয়ে যাওয়া শুঁটকি বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে পাড়েরহাটে একটি বাসা দিয়ে শুঁটকির ব্যবসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৮ থেকে ১০টি বাসায় পৌঁছালেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচটি বাসা রয়েছে। এখানে কোরাল, লইট্টা, ছুরি, চিতল, হাইতা, মর্মা, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলাসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শীতকালে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুঁটকির মানও ভালো থাকে। গরমে শুঁটকির গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পল্লীটি। মাছের মান অনুযায়ী প্রতি কেজি শুঁটকি ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, তারা কোনো ধরনের ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করেই শুঁটকি তৈরি করেন। নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় বাজারে তাদের শুঁটকির চাহিদা বেশি।
চিথলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলী সরদার জানান, মৌসুমের শুরুতে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা সরাসরি মাছ এনে বিক্রি করেন, সেখান থেকেই শুঁটকির জন্য মাছ সংগ্রহ করা হয়। ইলিশ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
চার বছর ধরে এখানে কাজ করা শ্রমিক মো. ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, এখানে কোনো কীটনাশক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। রোদে শুকিয়ে পরিষ্কারভাবে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলেই এর চাহিদা বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এখানে পাঁচটি বাসায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তবে টিউবওয়েল, একটি সেতু ও পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত।
প্রতি বছর এই শুঁটকি পল্লী থেকে ১০০ টনের বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টরা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস এখানে শুঁটকি কার্যক্রম চলে এবং উৎপাদন পদ্ধতি নিরাপদ। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুঁটকি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তদারকি বাড়বে এবং এখানকার শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শুঁটকি পল্লী, নদী ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এক ব্যস্ত কর্মচাঞ্চল্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কচা নদীর তীর ঘেঁষে সারি সারি বাঁশের মাচা, বাতাসে ভেসে আসা শুকনো মাছের গন্ধ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ত হাতের শব্দে দিনভর মুখর থাকে এই এলাকা। শীত এলেই যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় শুঁটকি পল্লীটি।
নদী ও বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি হওয়ায় সদর উপজেলার পাড়েরহাটে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে ওঠে।
এই বন্দরের পাশেই চিথলিয়া গ্রামে শুঁটকি পল্লীর সূচনা। বন্দরে আসা সামুদ্রিক মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। সাধারণত অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের দক্ষিণে কচা নদীর তীরে পাঁচটি বাসা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শুঁটকি পল্লী। এখানে ৫ থেকে ৭ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। মৌসুমভেদে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করেন। কেউ বন্দর থেকে মাছ এনে পরিষ্কার করছেন, কেউ বড় মাছ কাটছেন, আবার কেউ লবণ পানি মিশিয়ে বাঁশের মাচায় মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত। শুকিয়ে যাওয়া শুঁটকি বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে পাড়েরহাটে একটি বাসা দিয়ে শুঁটকির ব্যবসা শুরু হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৮ থেকে ১০টি বাসায় পৌঁছালেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচটি বাসা রয়েছে। এখানে কোরাল, লইট্টা, ছুরি, চিতল, হাইতা, মর্মা, ঢেলা, মধু ফ্যাপসা, চাপিলাসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শীতকালে এসব মাছ বেশি ধরা পড়ে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুঁটকির মানও ভালো থাকে। গরমে শুঁটকির গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে পল্লীটি। মাছের মান অনুযায়ী প্রতি কেজি শুঁটকি ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, তারা কোনো ধরনের ওষুধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করেই শুঁটকি তৈরি করেন। নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় বাজারে তাদের শুঁটকির চাহিদা বেশি।
চিথলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলী সরদার জানান, মৌসুমের শুরুতে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা সরাসরি মাছ এনে বিক্রি করেন, সেখান থেকেই শুঁটকির জন্য মাছ সংগ্রহ করা হয়। ইলিশ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়, যা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।
চার বছর ধরে এখানে কাজ করা শ্রমিক মো. ইব্রাহিম মুন্সি বলেন, এখানে কোনো কীটনাশক বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। রোদে শুকিয়ে পরিষ্কারভাবে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলেই এর চাহিদা বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী শাজাহান হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এখানে পাঁচটি বাসায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তবে টিউবওয়েল, একটি সেতু ও পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা আরো ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত।
প্রতি বছর এই শুঁটকি পল্লী থেকে ১০০ টনের বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টরা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামত বলেন, শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস এখানে শুঁটকি কার্যক্রম চলে এবং উৎপাদন পদ্ধতি নিরাপদ। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শুঁটকি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে তদারকি বাড়বে এবং এখানকার শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.