dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সমন্বয় সভা

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

২১ জুন, ২০২৫ ০২:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সমন্বয় সভা

বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সমন্বয় সভা

বরিশালের বাবুগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা হলরুমে ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়ে) প্রকল্পের আওতায় ওই সমন্বয় সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহাম্মদ পারভেজ। এসময় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত ২০১৩ ও ২০২৪-এর আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার বিশেষ অতিথি ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে গ্রাম আদালত কার্যক্রম শক্তিশালী করা গেলে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছোটখাটো স্থানীয় ফৌজদারি অপরাধের বিচার করা গেলে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।'

সমন্বয় সভার সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'গ্রাম আদালত সচল থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এতে থানায় এবং আদালতে মামলার চাপ কমবে। এর পাশাপাশি মানুষ হয়রানি এবং অর্থনাশ থেকে রেহাই পাবে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সক্রিয় থাকলে এর সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়ার যে আইনি সুযোগ রয়েছে সেটা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সকল অংশীজন এবং সুনাগরিকদের ভূমিকা পালন আবশ্যক।'

আরও পড়ুন:

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘাত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বানারীপাড়ায় অপসারিত স্কুল সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

এবার বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া সেই অপসারিত বিএনপি নেতা সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মামুন ফরাজী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. খোকন হোসেন মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর নির্দেশে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে বিএনপি নেতা সবুর খানকে অপসারন করা হয়। বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পত্রে সবুর খানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। 

এদিকে  শুধু পদ থেকে অপসারণই নয় জালিয়াতি-প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সদ্য অসারিত সভাপতি আব্দুস সবুর খান ও সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের বিচারের দাবি করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির  অনুমোদন দেয়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খানকে সভাপতি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে কমপক্ষে স্নাতক পাশ হতে হবে। বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের সময়ে দেওয়া জীবনবৃত্তান্তে  সবুর খান নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেন। কিন্তু এর  অনুকূলে তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কোনো কপি জমা দেননি। শিক্ষাবোর্ডে  অভিযোগকারী স্থানীয় মামুন ফরাজীর দাবী ছিল বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুস সবুর খান  তার বায়োডাটায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মূলত তিনি এসএসসি পাস। বিএনপির নেতা হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলমের যোগসাজশে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার বিএ পাসের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে গত ২৮ আগস্ট তিনি আবেদন করেন। মামুন ফরাজীর লিখিত ওই আবেদন করার প্রায় এক মাস  পরে বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে সহকারি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় নিবন্ধন) মোঃ মাছুম মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়ার বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু ২২ দিনেও আবেদনকারীকে এর ফলাফল প্রদান ও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না ফলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ১৪ অক্টোবর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ফলে ওইদিনই স্কুল সভাপতি পদ থেকে সবুর খানকে অপসারণ করা হয়।

অপরদিকে পরস্পরের যোগসাজশে ওই বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৫ -৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পরেও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন ও তিন হাজার টাকা করে মোবাইল বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম ও সদ্য অপসারিত সভাপতি সবুর খানের বিরুদ্ধে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশালের আঞ্চলিক  পরিচালকের কাছে মামুন ফরাজী লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়টিও তদন্তনাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হল।

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য, অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ফুটপাথে হালিম বিক্রির অন্তরালে মাদক বাণিজ্য,  অবশেষে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসংলগ্ন রূপালী ব্যাংকের সামনে হালিম বিক্রেতা জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। নগরীর সদর রোডে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারী ও  পুরুষকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক দল।

সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানাধীন সদর রোডে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সামনে মো. জাহিদ সরদারের হালিম ও চটপটির দোকানের পাশে বসা এক নারীকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটক নারী পারভীন বেগম (৪১) বরিশাল নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের বাসিন্দা। একই ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা মো. জাহিদ সরদার (৪৪), কোতয়ালি মডেল থানার দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দাকেও ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়।

সদর রোড এলাকার ব্যবসায়ী কবির জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদ ওরফে মামা জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে সদর রোডে হালিম বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই সদর রোড এলাকাকে গড়ে তুলে মাদক কেনা-বেচার হাট। তার হালিম বিক্রি শুধু লোভ দেখানো। তার মূল ব্যবসাই হলো মাদক। 

হাওলাদার নামে এক দোকান কর্মচারী সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ গরীব ঘরে সন্তান। তিনি আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেতে। তিনি হঠাৎ আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়েছে।  যেমন মাদক বিক্রির টাকায় নগরীর কাশিপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকায় করেছেন বহুতল ভবন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের আটক জাহিদ ও পারভীনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, মাদকসহ নারী এবং পুরুষকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্ররণ করি। পরে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.