dreamliferupatolibarisal

ঝালকাঠি

পরকীয়া প্রেমে প্রবাসীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে গৃহবধূ উধাও

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৪ জুন, ২০২৫ ১৩:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পরকীয়া প্রেমে প্রবাসীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে গৃহবধূ উধাও

নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় ‘প্রবাসী’ গোলাম রাব্বির স্ত্রী এক সন্তানের জননী নাসরিন জাহিদুল ইসলাম নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নাসরিন ও জাহিদুল একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিখোঁজ হওয়ায় ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে স্বামী গোলাম রাব্বি।

ঘটনাটি ঘটেছে নলছিটি উপজেলার ৯নং দপদপিয়া ইউনিয়ের দপদপিয়া গ্রামে। গোলাম রাব্বি জানান, নাসরিন আক্তার’কে ঢাকায় ভাড়া বাসায় রাখিয়া কাতার চলে যাই। বিদেশ থাকা অবস্থায় আমি জানতে পারি যে, জাহিদুল ইসলামের সাথে প্রায় সময়ই অভৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

আমি ঘটনার খবর জানতে পারিয়া আমার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে ১৮/০৩/২০২৫ইং দেশে আসি। আমি দেশে আসার ০২ মাস পূর্বে আমার স্ত্রী আমার পিতা-মাতার সাথে বরিশাল বেলতলা বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকা থেকে চলে আসে। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে পুনরায় পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অভৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় ও বরিশাল বাসা থেকে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে চলে যায়।

উহার প্রেক্ষিতে আমি বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। সাধারণ ডায়েরী করার পরে আমি কাউনিয়া থানা-পুলিশের সহযোগীতায় আমার স্ত্রীকে ঢাকা তাহার বোনের বাসায় খুজে পাই। আমি আমার ছেলের ভবিষ্যতের জন্য আমার স্ত্রীকে পুনরায় আমার সাথে আমার পিতার বাড়ীতে নিয়ে আসি।

পরবর্তীতে সে ২,২০,০০০/-(দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা এবং কাতার থেকে আনা ০২ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের আংটি নিয়ে বাসা থেকে চলে যায়। পরে আমি অনেক খোঁজাখুজি করিয়া গত ০৪/০৬/২০২৫ইং রাতে তার অবস্থান খুজে পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই।

তখন পরকীয়া প্রেমিকাসহ তার লোকজন আমাকে ভীতি-খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির কিছু লোকজন নিয়ে আমাকে জিম্মি রাখে। ঘটনার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান বিশ্বাস সহ এলাকার লোকজন আমাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হইলে আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করিলে নলছিটি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়া তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন:

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে জবাই করে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে জবাই করে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ডেবরা খালে পাইলিং স্থাপন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক কামরুজ্জামান সুইটকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।এ ঘটনায় আইনী আশ্রয় পেতে সুইট সোমবার (২০ অক্টোবর) ঝালকাঠি সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কামরুজ্জামান সুইট জাতীয় দৈনিক খবরেরকাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল, দৈনিক দূরযাত্রা ও দৈনিক খবর ডটকম'র নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ডেবরা গ্রামের মোসলেম হাওলাদারের পুত্র নাঈম হোসেন (৩৫) এবং নাইমের মা নিলুফা বেগম(৫০) ওই এলাকার প্রেসিডেন্ট বাড়ির খলিল হাওলাদারের ঘরের সামনের খাল পাড়ের ৫০০ফুট পাইলিং এর কাজ করে। এই কাজের অনিয়ম হওয়ায় ভিডিওসহ দৈনিক খবর ডটকম পোর্টালে গত ১৬ অক্টোবর নিউজ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (২০অক্টোবর) ১০টা ৩৬মিনিটে প্রতিবেদকের ব্যবহৃত ০১৯৩৬-১১২৭০৭ নম্বরে ০১৩০৪-৮৫৭৩৫০ থেকে ফোন করে নাইম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন প্রতিবেদক তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ জবাই করে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এসময় হুমকির ভাষ্য লাউড দিলে পাশে থাকা বাবুল মিনা, সাইফুল ইসলাম বাবু শুনতে পায়। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় এ জিডিতে। এঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সদর থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

অসহায় একটি পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

অসহায় একটি পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন

ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলার পৌরসভা নাংগুলি এলাকার বাসিন্দা অসহায় আয়েশা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২০ অক্টোবর ) দুপরে আয়েশা বেগমকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ টাকা দেওয়া হয়।  

আয়েশা বেগমের স্বামী ভ্যানচালক নয়ন হাওলাদার (৪০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার ৬ বছর একটা ছেলে সন্তান তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে টাকার অভাবে।

তারও চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এছাড়া তার আরও তিনটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাদের আয় বন্ধ থাকায় তাদের পরিবারকে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে। বিষয়টি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার লাভলী ইয়াসমিনের নজরে আসলে তাকে তার পক্ষ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করেন।

নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাভলী ইয়াসমিন বলেন, আয়েশা বেগমকে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরও যে ধরনের সহযোগিতা করা যায় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঝালকাঠি জেল প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা ও জনসচেতনতার অভাবে চলছে পশু জবাইসহ মাংস ক্রয়-বিক্রয়। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না কেউ। এর ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের হলেও তাদের নেই কোনো তৎপরতা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। জেলায় যেসব এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়।

প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।

 সদর উপজেলার আবদুস সালাম , জাকির হোসেন নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তাও জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।

গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী বলেন, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো এখন আর তা করা হয়না বা প্রশাসনের কেউ থাকেন না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন,আমি নতুন যোগদান করেছি। কেনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছেনা বিষয়টি জেনে বলতে পারবো।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা.হুমায়ুন কবির বলেন,স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.