২৬ জুন, ২০২৫ ১৬:২১
বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারত প্রতিদিন বাংলা ভাষাভাষী নাগরিকদেরকে পুশ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘নিজের দেশের নাগরিকদেরকে অবৈধ পুশিং নয়, স্বৈরাচার হাসিনা যাকে অবৈধভাবে আদর আপ্যায়ন করে রেখেছেন তাকে পুশ করেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়।
বাংলাদেশের নাগরিক যারা টাকা চুরি করে আপনার দেশে পালিয়ে আছে তাদেরকেও পুশ করেন।’ দুদু বলেন, ‘ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করলেও গত পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছর ধরে ভারতের কাছ থেকে বন্ধুসুলভ আচরণ আমরা পাইনি। যেটা পেয়েছি সেটা খুবই মর্মান্তিক। আমাদের তিস্তা নদীতে পানি নাই।
পানি চুক্তিও নাই। ভারত ৫০ বছর ধরে চুক্তির কথা বললেও তারা চুক্তি করছে না।’ তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা মর্মান্তিক। প্রতিদিন বাংলা ভাষাভাষী ভারতীয় নাগরিকদেরকে বাংলাদেশে পুশিং করছে ভারত সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বলেছেন যে বাংলায় কথা বলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনার দেশের নাগরিকদের পুশ না করে বাংলাদেশের নাগরিক যারা টাকা চুরি করে ভারতে পালিয়েছে তাদের পুশ করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী, বাংলাদেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছে তাকে আপনারা আদর আপ্যায়ন করে অবৈধভাবে রাখবেন আর আপনার নাগরিককে পুশ করবেন এটা ঠিক না।
অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুশ করেন, তাহলে বুঝব একটা ভালো কাজ করেছেন। তাকে আপনার দেশে রেখে দেবেন আর আপনার দেশের নাগরিকদের কে পুশ করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।
ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারীদের, বাংলাদেশের টাকা লুটপাটকারীদের ফেরত না পাঠান তাহলে ভারতের জন্য খুব ভালো কিছু অপেক্ষা করছে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের মানুষ একবার জেগে উঠলে ভারতের এই অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেবে না।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় হত্যাকারী হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এবং ভারত যে অন্যায় করছে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে।’
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষকদলের দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ।
বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারত প্রতিদিন বাংলা ভাষাভাষী নাগরিকদেরকে পুশ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘নিজের দেশের নাগরিকদেরকে অবৈধ পুশিং নয়, স্বৈরাচার হাসিনা যাকে অবৈধভাবে আদর আপ্যায়ন করে রেখেছেন তাকে পুশ করেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়।
বাংলাদেশের নাগরিক যারা টাকা চুরি করে আপনার দেশে পালিয়ে আছে তাদেরকেও পুশ করেন।’ দুদু বলেন, ‘ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করলেও গত পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছর ধরে ভারতের কাছ থেকে বন্ধুসুলভ আচরণ আমরা পাইনি। যেটা পেয়েছি সেটা খুবই মর্মান্তিক। আমাদের তিস্তা নদীতে পানি নাই।
পানি চুক্তিও নাই। ভারত ৫০ বছর ধরে চুক্তির কথা বললেও তারা চুক্তি করছে না।’ তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা মর্মান্তিক। প্রতিদিন বাংলা ভাষাভাষী ভারতীয় নাগরিকদেরকে বাংলাদেশে পুশিং করছে ভারত সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বলেছেন যে বাংলায় কথা বলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনার দেশের নাগরিকদের পুশ না করে বাংলাদেশের নাগরিক যারা টাকা চুরি করে ভারতে পালিয়েছে তাদের পুশ করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী, বাংলাদেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছে তাকে আপনারা আদর আপ্যায়ন করে অবৈধভাবে রাখবেন আর আপনার নাগরিককে পুশ করবেন এটা ঠিক না।
অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুশ করেন, তাহলে বুঝব একটা ভালো কাজ করেছেন। তাকে আপনার দেশে রেখে দেবেন আর আপনার দেশের নাগরিকদের কে পুশ করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।
ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারীদের, বাংলাদেশের টাকা লুটপাটকারীদের ফেরত না পাঠান তাহলে ভারতের জন্য খুব ভালো কিছু অপেক্ষা করছে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশের মানুষ একবার জেগে উঠলে ভারতের এই অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেবে না।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় হত্যাকারী হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এবং ভারত যে অন্যায় করছে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে।’
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষকদলের দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:১৯
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের আগে এম ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল হচ্ছে। আর তাতে বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থীতাও বৈধ ছিল না। তার প্রেক্ষিতে জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
ওই নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খাঁনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি এই সুপারিশ করেছে।
২০১৯ সালে ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত শিক্ষকদের শান্তি ও বহিষ্কার, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সব সদস্যদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ডাকসু ভবনে সংঘটিত নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিচার দাবি করে ভূক্তভোগী জিএস প্রার্থী মো. রাশেদ খাঁন এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. সানাউল্লাহ হক’র আবেদনের বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপাচার্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ও সিন্ডিকেট ২৫ ফেব্রুয়ারি কর্তৃক অনুমোদিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বিস্তারিত আসছে...
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের আগে এম ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল হচ্ছে। আর তাতে বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থীতাও বৈধ ছিল না। তার প্রেক্ষিতে জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
ওই নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খাঁনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি এই সুপারিশ করেছে।
২০১৯ সালে ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত শিক্ষকদের শান্তি ও বহিষ্কার, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সব সদস্যদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ডাকসু ভবনে সংঘটিত নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিচার দাবি করে ভূক্তভোগী জিএস প্রার্থী মো. রাশেদ খাঁন এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. সানাউল্লাহ হক’র আবেদনের বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপাচার্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ও সিন্ডিকেট ২৫ ফেব্রুয়ারি কর্তৃক অনুমোদিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বিস্তারিত আসছে...
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:১২
কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীতে আরেকটি বড় আকারের মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এবার ঘটনাস্থল রাজধানীর আগারগাঁও।
ইতোমধ্যে এ মিছিলের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে । ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলের পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি, তবে মিছিল থামানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলটি বের করেন।
প্রায় হাজার সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান। মিছিলটি বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে শুরু হয়ে আগারগাঁও মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘শেখ হাসিনা’, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানে কম্পিত হয় পুরো এলাকা ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক জানান, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সংগঠন মিছিল করেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ভিডিওতে পুলিশের গাড়ি মিছিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। সেটি একজন অফিসারের বহনকারী গাড়ি ছিল। অফিসারকে আনতে গাড়িটি যাচ্ছিল। ফলে পুলিশের পক্ষে তখন কিছু করা সম্ভব হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এর তিনদিন পর (৮ আগস্ট) গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্বাহী আদেশে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও মাঠের মিছিল পুরোপুরি থামাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায়ই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে ঝটিকা মিছিল নিয়ে নামছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এমন মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হচ্ছেন অনেকে।
সবশেষ গত শুক্রবারও (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বাংলামোটর, উত্তরা ও মিরপুরে বড় ধরনের মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীতে আরেকটি বড় আকারের মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এবার ঘটনাস্থল রাজধানীর আগারগাঁও।
ইতোমধ্যে এ মিছিলের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে । ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলের পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি, তবে মিছিল থামানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলটি বের করেন।
প্রায় হাজার সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান। মিছিলটি বাংলাদেশ বেতারের সামনে থেকে শুরু হয়ে আগারগাঁও মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘শেখ হাসিনা’, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, রাজপথ কাঁপবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানে কম্পিত হয় পুরো এলাকা ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক জানান, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সংগঠন মিছিল করেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ভিডিওতে পুলিশের গাড়ি মিছিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। সেটি একজন অফিসারের বহনকারী গাড়ি ছিল। অফিসারকে আনতে গাড়িটি যাচ্ছিল। ফলে পুলিশের পক্ষে তখন কিছু করা সম্ভব হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এর তিনদিন পর (৮ আগস্ট) গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্বাহী আদেশে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও মাঠের মিছিল পুরোপুরি থামাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায়ই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে ঝটিকা মিছিল নিয়ে নামছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এমন মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হচ্ছেন অনেকে।
সবশেষ গত শুক্রবারও (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বাংলামোটর, উত্তরা ও মিরপুরে বড় ধরনের মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘বিএনপি এখন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভুলে গিয়ে আওয়ামী লীগের স্লোগান ধরেছে।’
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুল মাঠে এক জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শের ওপরে ভিত্তি করে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এবং বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন।
তারা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বর্তমানে তারা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ভুলে আওয়ামী লীগের স্লোগান ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’ বলতে শুরু করেছে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘বর্তমানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নিজেরাই নিজেদের খুন করতে শুরু করেছে। তারা দেশব্যাপী চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
তাই বাংলাদেশে ইসলামী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ইসলামী দল ক্ষমতায় আসলে দেশের কেউ খুন, হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার হবে না। দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণপন্থীদের বিস্তীর্ণতায় বিএনপির আজ মন খারাপ। এ দক্ষিণপন্থীরাই জীবনভর বিএনপিকে ভোট দিয়েছে। সেই দক্ষিণপন্থীদের সম্মান ইজ্জত রক্ষা করতে পারে নাই তারা। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের কথা বলে ধোকা দিয়েছে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটে কেউ পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তা না হলে একটি মার্জিন ভোটের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।
‘সব মার্কা দেখা শেষ ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশ’ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।’
ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে জনসভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা শোয়াইব হোসেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আলহাজ মো. আব্দুল হালিম মিয়া ও সেক্রেটারি মোহাম্মাদ আলী সরদার, ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাস্টার আব্দুল আলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘বিএনপি এখন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভুলে গিয়ে আওয়ামী লীগের স্লোগান ধরেছে।’
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুল মাঠে এক জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শের ওপরে ভিত্তি করে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এবং বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন।
তারা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বর্তমানে তারা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ভুলে আওয়ামী লীগের স্লোগান ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’ বলতে শুরু করেছে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘বর্তমানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নিজেরাই নিজেদের খুন করতে শুরু করেছে। তারা দেশব্যাপী চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
তাই বাংলাদেশে ইসলামী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ইসলামী দল ক্ষমতায় আসলে দেশের কেউ খুন, হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার হবে না। দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণপন্থীদের বিস্তীর্ণতায় বিএনপির আজ মন খারাপ। এ দক্ষিণপন্থীরাই জীবনভর বিএনপিকে ভোট দিয়েছে। সেই দক্ষিণপন্থীদের সম্মান ইজ্জত রক্ষা করতে পারে নাই তারা। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের কথা বলে ধোকা দিয়েছে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটে কেউ পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তা না হলে একটি মার্জিন ভোটের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।
‘সব মার্কা দেখা শেষ ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশ’ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।’
ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে জনসভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা শোয়াইব হোসেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আলহাজ মো. আব্দুল হালিম মিয়া ও সেক্রেটারি মোহাম্মাদ আলী সরদার, ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাস্টার আব্দুল আলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.