primary-ads

ঝালকাঠি

ঘুমাইতে পারিনা, বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় 

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ জুন, ২০২৫ ২০:৫১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঘুমাইতে পারিনা, বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় 

থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট,একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে, ঘুমাতে পারিনা। করমু কি, করার কিছু উপায় আছে? মানুষে দিলে খাই, না দিলে না খেয়ে থাকি। বন্যা হলে অনেক ভয় করে তারপরও ভাঙা ঘরে বসে থাকি, পরের ঘরে গেলে তারা কি আমার জন্য বারবার দুয়ার (দরজা) খুলবে। তাই নিজের ঘরেই বসে থাকি। আর অসুখ বিসুখ হলে আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকি এমনটাই বলছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর  গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী আমেনা খাতুন। 

৭০ বছর বয়সি এই বৃদ্ধা বিধবা হয়েছেন ৩০ বছর আগে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে তারাও  প্রতিবন্ধী। ছেলদের স্ত্রী  মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাদের সংসার চালান।আর  মেয়ে থাকেন তার শ্বশুর বাড়িতে।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আমেনা খাতুনের স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র সম্বল এই ঘরে একা বাস করেন।  ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেটিও  ভেঙে যায়।একটু বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যায়।নিরুপায় হয়ে এই ভাঙা ঘরে আশেপাশের মানুষ যে খাবার দেয় তা দিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি।

প্রতিবেশীরা জানান, আমেনা খাতুনের ছেলে মেয়েরা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তারা তার খোঁজ খবর নিতে পারছেন না। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। । সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন যায় তার। মাঝেমধ্যে চাল-ডাল যা পারেন, দেন। সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর পাশে দাঁড়ালে তিনি শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারবেন।

মির্জাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন শরীফ বলেন, ‘ আমেনা বেগম  খুবই অসহায়। বৃদ্ধ মহিলা তিনি একাই থাকেন। ঝুপড়িতে বৃষ্টি-বাদল আর শীতের দিনে খুব কষ্ট হয় তাঁর। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই একটা ঘর হলে তিনি ভালোভাবে থাকতে পারবেন।সরকারি  চাল ও আর বিধবা ভাতা পান, এছাড়া আশেপাশের মানুষ কিছু দিলে সেটা দিয়ে তিনি খেয়ে বেঁচে থাকেন।’

আরও পড়ুন:

হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় ঝালকাঠি আদালত চত্বরে সাক্ষীকে হাতুড়িপেটা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় ঝালকাঠি আদালত চত্বরে সাক্ষীকে হাতুড়িপেটা

ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে আব্দুল মন্নান মৃধা ওরফে চুন্নু (৫২) নামে এক সাক্ষীকে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করেছে আসামিরা। আজ রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ঝালকাঠি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামানকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহেব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী আব্দুল মন্নান মৃধা জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য। তার বাড়ি উপজেলার কয়া গ্রামে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার কয়া গ্রামের একটি ইটভাটার সামনে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রুবেল গাজী (২২) নামের এক তরুণ মারা যান। এ ঘটনায় রুবেল গাজীর বাবা জসিম গাজী ১৮ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা করেন। নলছিটি থানার পুলিশ রুবেল হত্যা মামলা তদন্ত করে চলতি বছরের ৩ মে ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, অহিদুল ইসলাম মৃধা (২৭), মো. রফিক মৃধা (৩২), সোহেল মাঝি (৩৬), সাইদুল ফকির (২৩), মো. সালাম ফকির (২৩), এনায়েতুর রহমান (৪৬), কালাম খান (৩২), নাসির খান (৪৮), মো. এরশাদ হাওলাদার (৩০), মো. রবিউল হাওলাদার (২০), মো. বাবুল মৃধা (৪৭) ও মো. সোহরাব মৃধা (৪৫)। ওই মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ইউপির সাবেক সদস্য আবদুল মন্নান আদালতে সাক্ষী দিয়ে হত্যাকারী হিসেবে আসামিদের চিহ্নিত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা আদালতের কাঠগড়া থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের সামনে হাতুড়ি দিয়ে আবদুল মন্নানের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করা হয়। পরে বিচারপ্রার্থীরা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল মন্নানকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে নিয়ে যান। জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম ভুক্তভোগীর বিস্তারিত জবানবন্দি নেন।

আহত আব্দুল মন্নান মৃধা বলেন, রুবেল হত্যা মামলায় আসামিদের চিহ্নিত করে আজ আমি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে।

মামলার বাদী জসিম গাজী বলেন, মামলার সাক্ষীকে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে চান আসামিরা।

জেলা জজ আদালতের পিপি মাহেব হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আবদুল মন্নান আদালতে সাক্ষী দিয়ে আসামিদের চিহ্নিত করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম এ ঘটনায় সদর থানার ওসিকে দ্রুত মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশনা হাতে পেয়েছি। এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ঝালকাঠির শহর-গ্রামাঞ্চলে ঢুকছে পানি, বন্যার শঙ্কায় স্থানীয়রা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠির শহর-গ্রামাঞ্চলে ঢুকছে পানি, বন্যার শঙ্কায় স্থানীয়রা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝালকাঠির বিভিন্ন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার সবগুলো উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে খালে ঢুকে এবং তীর উপচে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, বাসন্ডা, ধানসিঁড়ি নদী ও গাবখান চ্যানেলের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ২-৩ মিটার। ইতোমধ্যে জেলার চার উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বিশেষভাবে ঝালকাঠি সদরের কেওড়া, কৃত্তিপাশা, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, রাজাপুরের বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা, নলছিটির নাচনমহল ও ভবানিপুর এবং কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও পাটিকালঘাটা এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বিষখালীর জোয়ারের পানি সদর উপজেলার বৈদারাপুর, ভাটারাকান্দা, সাচিলাপুর, কিস্তাকাঠি, মানকিসুন্দর, নাপিতেরহাট এবং কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করেছে। কাঁঠালিয়ার চিংড়াখালী, জয়খালী, মশাবুনিয়া, ছৈলারচর, কচুয়া, রঘুয়ারদরি চর ও জাঙ্গালিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ পানির নিচে। ডুবে গেছে আউরা ও শৌলজালিয়া আশ্রয়ণ এলাকা, কাঁঠালিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর।

এতে কৃষিজমি, মাছের ঘের এবং কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি শহরের পুরাতন কলাবাগ, লঞ্চঘাট ও পৌর মিনিপার্ক এলাকা থেকেও সুগন্ধা নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, শুধুমাত্র বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, পানি আরও বাড়লে প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

নলছিটিতে কৃষক দলের কমিটি গঠন

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নলছিটিতে কৃষক দলের কমিটি গঠন

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কৃষক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে  কমিটি ঘোষণা করেন  জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক চাষি মোঃনান্না খলিফা। এসময় জেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। 

কমিটিতে হাজী মোহাম্মদ শামীম মল্লিককে আহবায়ক ও মোঃ মোস্তফা কামাল মিন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়। এতে দশটি ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক  উপস্থিত থেকে  প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।  এ সময় মঞ্জুরুল ইসলাম সুইট,  রফিকুল ইসলাম সবুজ আকন,  কাজী খোরশেদ আলম,  মুজিবুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.