০২ জুন, ২০২৫ ২০:২১
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।
এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।
ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।
আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’
এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।
এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।
এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।
ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।
এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।
ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।
আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’
এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।
এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।
এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।
ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৮
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ করার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
এক বছর ধরে দুই বাহিনী নানা আলোচনার জন্ম দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডিআইজিকে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) চিঠি দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি পুলিশে ক্ষোভ দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে অ্যাভসেক। এ বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ‘আনসার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা অ্যাভসেক সদস্যরা। এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্য বিরোধ দেখা দেয়। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়।
অ্যাভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল।
পুলিশ ও বেবিচক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দফতরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এ কাজগুলো করতে পারে না। সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে। এপিবিএন এবং অ্যাভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে। আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন।
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে। সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে। সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ করার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
এক বছর ধরে দুই বাহিনী নানা আলোচনার জন্ম দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডিআইজিকে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) চিঠি দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি পুলিশে ক্ষোভ দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে অ্যাভসেক। এ বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ‘আনসার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা অ্যাভসেক সদস্যরা। এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্য বিরোধ দেখা দেয়। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়।
অ্যাভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল।
পুলিশ ও বেবিচক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দফতরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এ কাজগুলো করতে পারে না। সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে। এপিবিএন এবং অ্যাভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে। আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন।
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে। সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে। সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
ইউসিবিএল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারের মালিকানায় থাকা শিল্পগ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯-২০ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আরামিট পিএলসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পাল।
দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আর দুদকের তদন্তে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা উঠে আসায় আরামিটের এজিএম (হিসাব) উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আরামিটের কর্মকর্তাদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য ‘টাইম লোন’ আবেদন করেন। নিজ পরিবারের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) এ আবেদন করা হয়।
ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা একই ব্যাংকে বাকি চারটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট নম্বরে বিভিন্ন অঙ্কে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেই টাকা পাচার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের নামে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা টাকার কিছু অংশ সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে আর পরবর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগমুহূর্তে জাবেদ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ইউসিবিএল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারের মালিকানায় থাকা শিল্পগ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯-২০ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আরামিট পিএলসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পাল।
দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আর দুদকের তদন্তে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা উঠে আসায় আরামিটের এজিএম (হিসাব) উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আরামিটের কর্মকর্তাদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য ‘টাইম লোন’ আবেদন করেন। নিজ পরিবারের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) এ আবেদন করা হয়।
ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা একই ব্যাংকে বাকি চারটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট নম্বরে বিভিন্ন অঙ্কে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেই টাকা পাচার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের নামে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা টাকার কিছু অংশ সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে আর পরবর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগমুহূর্তে জাবেদ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৩
গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।
গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.