https://joinnavy.navy.mil.bd/

জাতীয়

‘মেয়র’ ইশরাকের মেয়াদ শেষ, নগর ভবনে এখনো তালা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০২ জুন, ২০২৫ ২০:২১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

‘মেয়র’ ইশরাকের মেয়াদ শেষ, নগর ভবনে এখনো তালা

৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।

এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।

নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।

ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।

আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’

এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।

তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।

এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।

আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।

এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’

ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।

ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

বহিষ্কৃত ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিল বিএনপি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বহিষ্কৃত ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিল বিএনপি

বিভিন্ন সময় দল থেকে বহিষ্কার হওয়া ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। রবিবার বিকেলে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় যথাক্রমে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন কামু; ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মিজানুর রহমান মিঠু; ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ; ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-ফরহাদ চৌধুরী শামীম; ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. সাঈদুর রহমান জুবের; ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আব্দুর রহিম মতছির; ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মুনিম; ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. মুজিবুর রহমান; ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা- এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী; ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বদরুল আজাদ রানা; ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান মামুন; ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির সুহিন; ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা অ্যাড. রুকশানা বেগম শাহনাজ; ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-সেলিম আহমদ রনি; ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আলী আব্বাস; ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান স্বপন; ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া; ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-মো. আব্দুল মুকিত; ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা- অ্যাড. হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ; ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-গউছ উদ্দিন পাখী ও দেলওয়ার হোসেন নাদিম; ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিলওয়ার হোসেন জয়; ৩৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা উসমান হারুন পনির; ৩৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা-আলতাফ হোসেন সুমন; ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল হাছিব; ৪২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সুমন আহমদ সিকদার; ২২,২৩,২৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সালেহা কবির শেলী; ১০,১১,১২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রুহেনা বেগম মুক্তা ও অ্যাড. জহুরা জেসমিন; ১৬,১৭,১৮ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কামরুন নাহার পিন্নিসহ ২নং ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতানা রাজিয়া ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব: ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব: ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। কিন্তু এ কর্মসূচি ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসি সচিব বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন... ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো... ইউ গট মাই আনসার।’

দিকে নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও দল নিবন্ধনের দাবিতে অনড় রয়েছেন তারেক রহমান। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মূল গেটের সামনে সরেজমিন দেখা যায়, তারেক রহমানের হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় শুয়ে আছে। তেমন কথাও বলছেন না।

তার আশপাশে মানুষের ভিড়। কেউ আসছেন তার সঙ্গে সংহতি জানাতে, কেউ আসছে শুধু তাকে দেখতে। এমন মানুষের ভিড়েই চোখ বন্ধ করে নীরবে শুয়ে আছেন তারেক। দুর্বল হয়ে এসেছে কণ্ঠস্বর, ঠিকমতো কথা আর বলতে পারছেন না তিনি।

এ সময় নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন কি না জানতে চাইলে খুবই ধীরে তারেক রহমান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।'

ইসি থেকে আর কেউ যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন (বৃহস্পতিবার) যে একজন উপসচিব এসেছিলেন... তিনি যে গিয়েছেন আর কেউ এরপর আসেনি।

কেউ যোগাযোগ করেনি। কোনো চিঠি বা কিছুই দেয়নি।'

শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই।’

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন প্রদান করা হবে। সেদিন দল নিবন্ধনের তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে তারেক রহমানের ‘আম জনতার দল’। এরপর বিকেল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে অনশনে বসে যান তারেক। সে অনশনের এখন ১২৩ ঘণ্টা চলমান রয়েছে।

জানা গেল রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জানা গেল রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ

বছর ঘুরে আবারও নিকটে এসে পড়ছে পবিত্র রমজান মাস। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) ইসলাম ধর্মবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইসলামিক ইনফরমেশন’ তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আসন্ন রমজান নিয়ে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে তারা জানায়, রমজান শুরু হতে ১০০ দিন বাকি আছে।

২০২৬ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজান মাস শুরু হতে পারে।

সেই অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) থেকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রোজা শুরু হতে পারে।

আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থা এমিরেট অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ আকাশে উঠবে। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের মাত্র ১ মিনিট পরই চাঁদটি অস্ত যাবে। ফলে এটি খালি চোখে দেখা যাবে না।

তাই ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু না হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে রমজান।’

আগামী বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কুয়েতে রমজানের শুরুর কয়েকদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে। রমজান যত শেষের দিকে যাবে এই সময় ততই বৃদ্ধি পাবে। এটি বাড়তে বাড়তে ১৩ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে।

সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানায়, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবে।

মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পরেই বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ শুরু হয়ে থাকে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথমদিন এবং ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.