
০২ জুন, ২০২৫ ২০:২১
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।
এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।
ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।
আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’
এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।
এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।
এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।
ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশ থেকে পলায়ন করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যেদিন চেয়ারে বসেছিলেন সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল রবিবার (১ জুন) পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
যে গেজেটের অধীনে তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সেই গেজেট অনুসারে ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে মেয়র পদে গেজেট পেলেও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের।
এ দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে রেখেছেন তারা। আজ সোমবারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক সমর্থকরা। এ সময় তারা বলেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে নগর ভবনের তালা খুলতে দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করা হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। এছাড়া এক মাস আগে সেই অনুযায়ী গেজেটও প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১২টি বাধার কথা সামনে এনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস। তবে ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন ইশরাক।
ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে ইসিকে নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত গেজেটেই ইশরাকের নাম প্রতিস্থাপন করে সংশোধন আনে গত ২৭ এপ্রিল। এ দিকে তাপস মেয়র হওয়ার পর প্রথম সভা করেন ২০২০ সালের ২ জুন।
আইনানুযায়ী, তখন থেকে পাঁচ বছর হিসাব করলে মেয়াদপূর্ণ করার দিন ২০২৫ সালের ১ জুন। আর তাপসের সময় থেকেই মেয়াদ হিসেব করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের যুক্তি, ইশরাকের নামে তো নতুন করে গেজেট হয়নি, আগের গেজেটেই কেবল তার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গতকাল রবিবার ইশরাক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইশরাকের ব্যাপারে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। অবজারভেশন ও নির্দেশনা যেটা আসবে সেই অনুযায়ী আমাদের এখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সর্বশেষ অবস্থা। আমি আপনাকে আবারো বলছি, কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আইনগতভাবে বিষয়টি কোনদিকে গড়াবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। কাজেই কাগজটা আগে হাতে পাই, তখন আইনগত সিদ্ধান্ত।’
এরআগে, গত ২৯ মে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল (আপিলর অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছিল, তা পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলা হয়, এই মামলা থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের সুরাহার বাধ্যবাধকতা সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের পরও ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়। শপথ নিয়ে তিনি এই পদে বসতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তিন পক্ষ তিন ধরনের কথা বলেন।
এদিন আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন আইনজীবী ইয়াসিন খান। লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। ইশরাকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান।
আদেশের পর লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন এখন যথা শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে (যে রায়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়) আপিল দায়ের করবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আবার আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘রিটের আদেশে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, যারা পক্ষ ছিল (মামলার) তারা আপিল করতে পারবে। আপিল করার ক্ষেত্রে তাদের যদি নির্ধারিত সময়সীমা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে সেই বাধ্যবাধকতা মার্জনা করে হলেও তাদের (পক্ষগুলোর) আপিল গ্রহণ করতে হবে। আর আজ আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে।
এখন হাইকোর্ট আর আপিল বিভাগের আদশ একসঙ্গে পড়লে এটাই দাঁড়ায় যে, আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছেন। ফলে ইশরাক হোসেনকে এখন আর শপথ পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ গেজেটের মেয়াদ শেষ।’
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলকারী গেজেট স্থগিত চেয়েছিলেন। আপিল বিভাগ সেটি স্থগিত করেননি। কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ ব্যাপারে ইসিই সিদ্ধান্ত নিবে।
ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে আপিল করতে বলেছিল। কিন্তু ইসি চিঠি দিয়ে বলেছে, এই মামলার (নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ না। আদালতের আদেশ অনুসারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি আপিল করবে না।’
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রিটে চাওয়া হয়।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৮
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অভিনেত্রী পরীমনির নাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে পরীমনি লেখেন, আজ এ দেশের মানুষ চায়… যখন বললেন একদম শিরদাঁড়ায় এসে বিঁধল। কী যে এক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে!
তিনি লেখেন, শান্তি নেমে আসুক সবার জীবনে, আর কিছু চাওয়ার নেই।
এর আগে, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আবারও স্বাগতম! বাংলাদেশ আপনার কাছ থেকে ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অভিনেত্রী পরীমনির নাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে পরীমনি লেখেন, আজ এ দেশের মানুষ চায়… যখন বললেন একদম শিরদাঁড়ায় এসে বিঁধল। কী যে এক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে!
তিনি লেখেন, শান্তি নেমে আসুক সবার জীবনে, আর কিছু চাওয়ার নেই।
এর আগে, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আবারও স্বাগতম! বাংলাদেশ আপনার কাছ থেকে ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৩
ব্ল্যাকমেইল, মামলা বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ তাহরিমা জান্নাত সুরভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের এক ব্যবসায়ীকে জুলাই আন্দোলনসংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তদন্তে উঠে আসে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত তাহরিমা জান্নাত সুরভীই এই চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এই চক্রটি বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট প্রায় ৫০ কোটি টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় সংঘটিত একাধিক হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে অর্থ আদায় করা হয়। আসামি বানানো, গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানির ভয় দেখানোর পাশাপাশি ‘মীমাংসা’ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয় চক্রটি।
প্রতারণা চক্রের মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত তাহরিমা জান্নাত সুরভী গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে তিনি আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভাইরাল পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে অর্থ আদায় করতেন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্ল্যাকমেইল, মামলা বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ তাহরিমা জান্নাত সুরভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের এক ব্যবসায়ীকে জুলাই আন্দোলনসংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তদন্তে উঠে আসে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত তাহরিমা জান্নাত সুরভীই এই চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এই চক্রটি বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট প্রায় ৫০ কোটি টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় সংঘটিত একাধিক হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে অর্থ আদায় করা হয়। আসামি বানানো, গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানির ভয় দেখানোর পাশাপাশি ‘মীমাংসা’ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয় চক্রটি।
প্রতারণা চক্রের মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত তাহরিমা জান্নাত সুরভী গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে তিনি আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভাইরাল পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে অর্থ আদায় করতেন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৮
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যাতে রাষ্ট্রের নজরদারি কাঠামোতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএসি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিচারিক ও জরুরি আইনানুগ ইন্টারসেপশনের বা নজরদারির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সংশাধনীর প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সংশোধনীতে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও সংশোধনী অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, জরুরি প্রাণরক্ষার প্রয়োজনে, বিচারিক বা তদন্তের প্রয়োজন এবং আন্তঃসীমান্ত সংক্রান্ত কাজে সুনির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে আইনানুগ ইন্টারসেপশন করতে পারবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সিম ও ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র ভবনে গঠিত হয় ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার – এনএমসি। পরে ২০১৩ সালে তা নাম বদলে এনটিএমসি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনেও সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এবং জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যাতে রাষ্ট্রের নজরদারি কাঠামোতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএসি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিচারিক ও জরুরি আইনানুগ ইন্টারসেপশনের বা নজরদারির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সংশাধনীর প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সংশোধনীতে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও সংশোধনী অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, জরুরি প্রাণরক্ষার প্রয়োজনে, বিচারিক বা তদন্তের প্রয়োজন এবং আন্তঃসীমান্ত সংক্রান্ত কাজে সুনির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে আইনানুগ ইন্টারসেপশন করতে পারবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সিম ও ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র ভবনে গঠিত হয় ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার – এনএমসি। পরে ২০১৩ সালে তা নাম বদলে এনটিএমসি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনেও সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এবং জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.