dreamliferupatolibarisal

পটুয়াখালী

কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকের প্রাণহানি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকের প্রাণহানি

কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্প দুই যুগেও বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু পরিকল্পনা প্রস্তাবনায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এছাড়া জরুরি মেরামতের নামে জিওব্যাগ, জিওটিউব স্থাপনসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়েও এখন চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কারণ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সৈকতে বালু খনন করে ওই বালু জিওব্যাগ ও জিওটিউবে দেওয়ায় সৈকতে কুয়া হয়ে গেছে। বিচটি এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে।

জোয়ারের সময় এসব কুয়া এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। সবশেষ শূন্য পয়েন্টে সরদার মার্কেট ঘেঁষা সৈকতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে পর্যটক মিয়া সামাদ সিদ্দিকী ওরফে পারভেজের (১৭) সলিল সমাধি ঘটে। ঘূর্ণিস্রোতে ভেসে যাওয়া ওই পর্যটককে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

নিহত পর্যটক মাগুরা জেলার হাজীপুর পশ্চিম বাড়িয়াল এলাকার অলিউল ইসলামের ছেলে। তিনি খুলনার খালিশপুরে ‘সেভ আওয়ার সোল (এসওএস) ইয়ুথ হাউস’ নামের একটি বেসরকারি এতিমখানায় অফিস প্রোগ্রামার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন।

এ বছরের ২৫ জুলাই ভেসে যাওয়ার প্রাক্কালে শূন্য পয়েন্টে তানভির (২৩) নামের এক পর্যটককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এভাবে প্রতি বছর সৈকতে গোসলে ভেসে যাওয়ার খবর মিলছে।

স্থানীয়রা ও পর্যটকরা কুয়াকাটা সৈকতের শূন্য পয়েন্ট থেকে আশপাশ এলাকাকে জোয়ারের সময় গোসলের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক মনে করছেন। কেউ কেউ মৃত্যুকূপও মনে করছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতটি এখন নদীর পাড়ের মতো হয়ে গেছে। জোয়ারের সময় ওয়াকিং জোন নেই। বিশেষ করে ট্যুরিজম পার্ক থেকে মিরাবাড়ি পর্যন্ত সৈকতটি জোয়ারের সময় পর্যটকের জন্য ঝুঁকি বহুগুণে বেড়েছে।

এই তিন কিলোমিটার এলাকার ভাঙন রক্ষার নামে গত এক যুগে যে যার মতো বালু উত্তোলন করে এবড়ো-থেবড়ো করে দিয়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলে বলা হয়েছে, জোয়ারের সময় লেভেল হয়ে যাবে। এছাড়া এই সৈকত থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বালু উত্তোলন করে ব্যবসা-বাণিজ্য করা হয়েছে। ফলে শূন্য পয়েন্টে গোসলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে গেছে।

অপরদিকে সৈকতের মিরাবাড়ি থেকে পশ্চিম দিকের খাজুরা পর্যন্ত এবং ট্যুরিজম পার্ক থেকে গঙ্গামতি পর্যন্ত জোয়ারের সময় সৈকত অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। একই অবস্থা ঝাউবাগান থেকে পূর্ব দিকের সৈকতের। এখানটার স্লোপ এবড়ো-থেবড়ো নয়। স্লোপ লেভেল ভাটার সময় চোখে দেখলেই এই ব্যত্যয় দেখা যায়।

আব্দুর রশিদ নামের এক খুটা জেলে দাবি করেন, বালু উত্তোলন ছাড়াও ২০২১ সাল থেকে পায়রা বন্দরের চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার পর থেকে সাগরের ভাঙন বহুগুণে বেড়ে গেছে। স্রোতের তোড় এখন কিনার থেকে যায়।

ফলে ভাঙন বেড়েছে। তবে তার এই ধারণাভিত্তিক অভিযোগের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা। কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম জানান, জরুরি প্রটেকশনের জন্য সঠিকভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানে জিওব্যাগ ও জিওটিউবের কোনো বিকল্প নেই।

এছাড়া বিচের বেলাভূমিতে দেওয়া পুরনো জিওব্যাগ এখন অপসারণ করা হবে আত্মঘাতী। কেননা, বালুতে অর্ধেক দেবে যাওয়া জিওব্যাগ ঢেউয়ের ঝাপটা প্রতিরোধ করছে।

আর তুলে ফেললে সৈকত আরও দ্রুত সাগরে বিলীন হবে। তবে পর্যটক-দর্শনার্থীকে গোসলের জন্য সতর্ক অবস্থান ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে সৈকতের বালু কেউ তুললে এটি বন্ধ করতে হবে। আর স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র মতে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮ নম্বর পোল্ডারের ১৭ দশমিক ২৫০তম কিলোমিটার থেকে ৩৭ দশমিক ২৫০তম কিমি পর্যন্ত বেড়িবাঁধের বাইরের দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার মূলত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকা নির্ধারণ করা রয়েছে।

এর মধ্যে গঙ্গামতি লেকের ২৪ দশমিক ২৫০তম কিমি থেকে আন্ধারমানিক নদী মোহনার ৩৪ দশমিক ৭৫০তম কিমি পর্যন্ত সাড়ে দশ কিলোমিটার সৈকত সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। যেখানে মূলত পর্যটকরা বিচরণ করেন।

এই সাড়ে দশ কিলোমিটারের মধ্যে ২৭ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার থেকে ৩২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাঁচ দশমিক এক কিলোমিটার সাগরের তীব্র ভাঙন এলাকা। বর্তমানে সৈকতে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ কিলোমিটার অংশের মধ্যে আড়াই কিলোমিটার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কখনোই ঝুঁকিপূর্ণ পুরো পাঁচ কিলোমিটার জরুরিভাবে প্রটেকশন দেওয়া হয়নি। মূলত শূন্য পয়েন্টের আশপাশের স্থাপনা রক্ষার নামে বর্ষা মৌসুমের আগে আগে এই জরুরি প্রটেকশন দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ বছরও বরাবরের মতো ট্যুরিজম পার্ক থেকে ২৯ দশমিক ৫০০ মিটার থেকে ৩০ দশমিক ৬০০তম অংশের এক কিলোমিটার একশ মিটার এলাকা খুবই বিধ্বস্ত দশায় রয়েছে।

কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড ট্যুরিজম পার্ক থেকে শূন্য পয়েন্ট পর্যন্ত দুই-তিন শ’ মিটার এলাকা জিওটিউব দিয়ে সাময়িক প্রটেকশন দিচ্ছে। যা নিয়েও স্থানীয়দের প্রশ্ন রয়েছে।

কারণ সাগরের বেলাভূমি থেকে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া কেন বর্ষা মৌসুমের আগেই এই প্রটেকশন দেওয়া হলো না, এ নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ মনোভাব পোষণ করেন।

পরিবেশ ও উন্নয়ন কর্মী কেএম বাচ্চু জানান, বর্তমানে সীবিচটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। প্রশস্ত বিচটি জোয়ারের সময় ব্যবহৃত হয় না, শুধু গোসল করতে পারে। ভাটায় পর্যটক বিচ ব্যবহার করতে পারে।

এই বিচকে পুঁজি করে অনেকে বালুর ব্যবসা করেছে। বর্তমানে ছেঁড়া, শ্যাওলা ধরা টিউব ও জিওব্যাগের মাঝখানে গর্ত হয়ে গেছে। জোয়ারের সময় ওই সমস্ত জায়গায় ঘূর্ণিস্রোত তৈরি হয়।

যেখানে পর্যটকরা ভেসে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেই চলছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষায় সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। স্থায়ী প্রটেকশন বাস্তবায়নের দাবি তার।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মোতালেব শরীফ জানান, সৈকতের শূন্য পয়েন্টে জিওব্যাগ দেওয়া হয়েছে সৈকতের বালু কেটে। সৈকত ঢালু হয়ে গেছে। ব্যাগের আশপাশে জোয়ারের সময় ঢেউয়ের তোড়ে ঘূর্ণিস্রোত হয়। সেখানে পর্যটকরা পড়ে যাচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে। স্থায়ী প্রটেকশন না দিলে বড় ধরনের সর্বনাশ হবে সৈকতের।

পাথর কিংবা ব্লক দিয়ে স্থায়ী প্রটেকশন দেওয়া প্রয়োজন বলে তার দাবি। তারা বিষয়টি বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে সরকারের কাছে জানিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা হতাশা ব্যক্ত করেন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইয়াসীন সাদেক জানান, বিচ থেকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে বালু তুললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া শূন্য পয়েন্টে গোসলে সতর্ক থাকার জন্য পর্যটক-দর্শনার্থীর জন্য সচেতনতামূলক বিলবোর্ড দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গোসলের জন্য শূন্য পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে এটি এড়ানো যায় কি না, তা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন:

জুলাইযোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায়, তিন আসামির সাজা

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

রাজিবুল ইসলাম, দুমকি

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুলাইযোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায়, তিন আসামির সাজা

পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্ত্রী-পুত্রসহ সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্ত্রী-পুত্রসহ সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।

সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।

এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। 

অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।

তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।

দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.