২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

কারারক্ষীকে ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগ: বরিশাল কারা সুপারসহ ৩ জনকে হাইকোর্টে তলব

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

কারারক্ষীর দায়ের করা আপিলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আজিজুল হকসহ তিন জনকে শোকজ করেছে হাইকোর্ট। কেন তাদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়া হবে না তার ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক এবং বিচারপতি মো. খোরশেদ আলম সরকারের বেঞ্চে এ আদেশ প্রদান করা হয়।

একই সাথে বরিশালের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত অভিযোগের নথিপত্রও তলব করা হয়েছে। সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আজিজুল হকসহ তিন বিবাদীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জারিকৃত নোটিশ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বরিশাল আদালতে এসে পৌছায় বলে নিশ্চিত করেছেন জুডিশিয়াল বেঞ্চ সহকারী মো. ইলিয়াস বালী।

বাদী শাম্মী আক্তার ২০০১ সালে নারী কারারক্ষী হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। গত বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা থেকে তিনি বদলি হয়ে বরিশালে আসেন।

বরিশালে এলে তার ওপর সিনিয়র জেল সুপার আজিজুল হকের কুদৃষ্টি পড়ে। ১৫ জানুয়ারি শাম্মী আক্তারকে ঝালকাঠি কারাগারে পোস্টিং দেওয়ার পরও আজিজুল হক ১৯ ফেব্র“য়ারি তাকে প্রেষণে বরিশাল নিয়ে আসেন।

শাম্মী আক্তারকে কারাগারে দায়িত্ব না দিয়ে নিজের কক্ষের পাশে বন্দি স্লিপ দেওয়ার জন্য পোস্টিং দেন আজিজুল হক। এরপর বিভিন্ন সময় কাজের অজুহাতে শাম্মীকে তার রুমে ডেকে কুপ্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন।

পরে যৌন নিপীড়নসহ তার সকল কথা না মেনে চললে অন্যত্র বদলি এমনকি চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দেন কারারক্ষী শাম্মীকে। গত ১৮ অক্টোবর রাতে কারারক্ষী নিজাম ও শেখ ফরিদ তার কাছে এসে শাম্মীকে সিনিয়র জেল সুপারের বাসভবনে যাওয়ার জন্য বলেন।

একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দু’জনের পাহারায় জেল সুপার আজিজুল হক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। চাকুরী হারানোর ভয়ে প্রাথমিক পর্যায় কারারক্ষী শাম্মি মুখ বুঝে থাকলেও আজিজুল হকের পর্যায়ক্রমে হুমকি ধামকিতে সইতে না পেয়ে গত ১৩ নভেম্বর বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন কারারক্ষী শাম্মি আক্তার।

ওই মামলায় সিনিয়র জেল সুপার আজিজুল হক ছাড়াও তার সহযোগী কারারক্ষী নিজাম ও শেখ ফরিদকে বিবাদী হিসেবে রাখা হয়।

তবে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুদিপ্ত দাস ওই মামলাটি খারিজ করে দেন। বরিশাল আদালত থেকে মামলাটি খারিজ করার পরপরই বাদি শাম্মি আক্তার তার ওপর জোর জুলুমের বিচার চেয়ে হাইকোর্টে একটি আপীল করেন।”

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন