২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালে মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন হয়রানি, সুপারের ছেলে গ্রেপ্তার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৩ অপরাহ্ণ, ১০ আগস্ট ২০১৮

বরিশাল শহরের একটি মাদ্রাসায় ১৩ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে আটকে মারধর ও যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসা সুপারের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) রাতে শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রুপাতলী হাউজিং এলাকার শের-ই বাংলা সড়কের জাহিদাতুন্নেছা মহিলা হাফেজী মাদরাসায়।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তার জাহিদুল ইসলাম ওই মাদ্রাসা সুপার জাহিদা বেগমের বড় ছেলে। যদিও এই যৌন হয়রানি অভিযোগ ও গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে পুরোপুরি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন মাদ্রাসা সুপার। কারণ স্থানীয় একটি মহল অনেক আগ থেকেই মাদ্রসাটিকে উৎখাত করতে মরিয়া ছিল।

যার অংশ হিসেবে এবারে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির খোড়া অজুহাতে পরিবেশ পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে। অবশ্য এই ষড়যন্ত্রে জনপ্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন ফায়দা লোটারও সুযোগ খুঁজছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলছেন- ওই মাদ্রাসার কুরসী বিভাগের ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার রাতে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় বাবুল ভান্ডারির দোকানে ওঠে। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নিয়ে তার বাসায় রাখেন। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

শিক্ষার্থী পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছে- মাদ্রাসা সুপারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম তাকে তিনদিন আটকে রেখে মারধরের পাশাপাশি যৌন হয়রানি করেন। এই ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রীর মা আফরোজা বেগম বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।

ওই মামলায় মাদ্রাসা সুপারের ছেলে জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান এসআই নজরুল ইসলাম। এই ঘটনার পর রাতে মাদ্রাসা সুপারের অরেক ছেলে আসাদুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি- মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছিল আসাদুল ইসলামের বাসায়। তখন তার বাসা থেকে ৩৮ পিস নেশাজাত মরফিন ইনজেকশন পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তবে ছেলেদের বিরুদ্ধে নেশাজাতদ্রব্য ও যৌন হয়রানির ঘটনাটিকে নিছক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে মা জাহিদা বেগম বলেন- মেয়েটিকে ৬ দিন আগে তার নানী ও বাবা মাদ্রাসায় ভর্তি করে গেছেন। কিন্তু তিনদিনের মাথায় একবার পালিয়ে বাসায় গেছে।

ওই সময় তাকে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে নিতে অসম্মতির বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু স্বজনেরা অনুরোধ করেছিলেন শিক্ষাগ্রহণের আরেকটি সুযোগ দিতে। যে কারণে তাকে দ্বিতীয়বার তিনদিন আগে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সুযোগ পেয়েই ফের মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান।

কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষ মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। পাশাপাশি বিষয়টিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে সুপারের দুই ছেলে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় পুরো বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত হতে পুলিশ প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাদ্রাসা সুপার।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন