২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বিসিসির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৬ পূর্বাহ্ণ, ২৮ জুলাই ২০১৮

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর কাজী মনিরুল ইসলাম সহিদের স্বজনদের গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৭ জুলাই) তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন- ‘আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফরিদ আহমেদ (ঠেলাগাড়ি প্রতীক) তার খালতো ভাই আব্দুল মান্নানকে দিয়ে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।

এতে আমার ভাই এনামুল হক, মো. জুবায়ের হোসেন দেওয়ান, নুরে আলম, লিটন আকনসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০জনকে আসামী করে বিমানবন্দর থানায় গত ২৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করেন। যাহার নম্বর জি আর ১৯৫/১৮। যার প্রেক্ষিতে ২৭ জুলাই দিবাগত রাতে আমার ভাই এনামুল হক ও আমার সমর্থক অত্র ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. মাহফুজ ও মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. জলিল তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়। যারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। কাজী মনিরুল ইসলাম আরও বলেন- ‘‘প্রচার-প্রচারণার প্রথম থেকেই আমার কর্মী সমর্থক বেশ কয়েকটি এলাকায় পোস্টার লাগাতে গেলেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকরা ছিড়ে ফেলেন। শুধু পোস্টার ছিড়েই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা আমার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং ভয়ভীতি দেখান।”

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- গত ২৬জুলাই সকালে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাশিপুর ইছাকাঠি এলকার লাদেন সড়কে সরদার বাড়ির আব্দুল মান্নানের কাছে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামীরা। যার প্রেক্ষিতে আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সহিদ বলেন- “আমি এখন পর্যন্ত নির্বাচন অফিসে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি। দায়ের করেই বা কি করবো? নির্বাচন আচার বিধির নিয়মানুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিটি প্রার্থীর একটি করে কার্যালয় থাকার কথা থাকলেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফরিদ আহমেদের রয়েছে পাঁচটি কার্যালয়। এটির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত কেন ব্যবস্থার নিচ্ছেন না তা আমার বোধগম্য নয়।”

এদিকে নির্বাচন কমিশনের পরিদর্শন টিম এসব দেখেও নিরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম সহিদ। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।’’

11 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন