বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, ০৩ মে ২০১৬
অদ্ভুত আর মজার সব জিনিসপত্র আবিষ্কার করার জন্য বেশ খ্যাতি জমিয়েছেন কলিন ফার্জ। প্রতিদিন ইউটিউবে লাখ লাখ দর্শক তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী সব আবিষ্কারগুলোর তৈরি এবং ব্যবহারের ভিডিও দেখার জন্য ভিড় করে থাকে। এবার তো রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। গবেষণা করতে করতে তিনি আবিষ্কার করে ফেলেছেন এমন এক হোভারবাইক, যেটি দিব্যি আকাশে উড়েছেও বেশ কিছুক্ষণ।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডারের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত মাসে এক থার্মাইট লঞ্চার আবিষ্কারের পরই ফার্জ জানিয়েছিলেন যে তিনি এরই মধ্যে তার জীবনের সবচেয়ে জটিল এবং বড় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন এবং এই প্রজেক্টটি স্পন্সর করার জন্য এগিয়ে এসেছে ফোর্ডের মতো প্রতিষ্ঠান, যে প্রজেক্টটি ছিল আসলে এই হোভারবাইক। গত ২৮ এপ্রিল এক ভিডিওতে দর্শকদের সামনে ফার্জ হাজির হন তাঁর তৈরি হোভারবাইক নিয়ে। শূন্যে ভেসে বেড়ালেও মাটি থেকে খুব বেশি ওপরে উঠতে পারেনি বাইকটি। কিন্তু ঘরে বসে এ রকম একটা জিনিস তৈরি করে প্রযুক্তি বিশ্বে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তরুণ আবিষ্কারক।
কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ না থাকলেও এটি অনস্বীকার্য যে কলিন ফার্জ একজন প্রসিদ্ধ কারিগর। কারণ তিনি যে শুধুমাত্র চমকপ্রদ আবিষ্কারগুলো নিয়ে সামনে এসে হাজির হন, সেটুকুই কেবল নয়! জিনিসগুলো তিনি কীভাবে তৈরি করেন, এর ভিডিও তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। এটি তাঁকে এনে দিয়েছে ব্যতিক্রমী জনপ্রিয়তা।
হোভারবাইক তৈরি করার সময়ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুরই ভিডিও প্রকাশ করেছেন ফার্জ। এমনকি তাঁর এই প্রজেক্টের কোন মোটরটি সঠিক হবে, সে ব্যাপারেও রয়েছে বিস্তর আলোচনা। তবে মোটর কেনার সময় তিনি ছিলেন খুবই সাবধান, কারণ খারাপ জিনিস তৈরি হলে শেষপর্যন্ত নিজের হাড়গোড়ের আর রক্ষা মিলবে না।
বিশাল দুটি পাওয়ারফ্যানের ওপর নির্ভর করেই মূলত ভেসে বেড়ায় এই বাইকটি। এ ছাড়া বাকি যন্ত্রাংশও বেশ সহজলভ্য। তবে ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবার নিজেই একটা উড়ন্ত বাইক তৈরি করে ফেলবেন না যেন! এই ব্যাপারে কড়াকড়ি নিষেধ রয়েছে স্বয়ং ফার্জেরই। কারণ যন্ত্রটি আসলে ঠিক কতটা ভেসে বেড়াতে পারবে এবং অক্ষত থাকবে, এ ব্যাপারে তিনি নিজেই নিশ্চিত নন।