মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী এমভি কালাম খান লঞ্চের ধাক্কায় নোঙর করা দুইটি লঞ্চ দুমড়ে মুচড়ে গেছে। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় দিকে ঘন কুয়াশার কারণে সদরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই সময় লঞ্চটিতে প্রায় ২ শতাধিক যাত্রী থাকলের কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী এমভি কালাম খাঁন-১ মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন নদীতে ছিল প্রচুর কুয়াশা। পাশাপাশি আরেকটি লঞ্চ আড়াআড়িভাবে চলতে থাকে।
ওই লঞ্চটিকে সাইড দিতে গিয়ে এমভি কালাম খাঁন লঞ্চের চালক লঞ্চটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করা অবস্থায় থাকা নারায়নগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে চলাচলকারী খাজা এক্সপ্রেস ও দারাশিকো লঞ্চে ধাক্কা লাগে।
মূহুর্তেই দুমড়ে মুচড়ে যায় খাজা এক্সপ্রেসের এক পাশের অংশ। একই সাথে দারাশিকো লঞ্চেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে এসময় লঞ্চে কোনো স্টাফ বা যাত্রী ছিল না। তাই কোন হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।
এদিকে ভোর ৪টার দিকে পাতারহাট থেকে ছেড়ে আসা পাতারহাট-১ লঞ্চটি ঘন কুয়াশায় পথ হারিয়ে ধলেশ্বরী নদীর শাহ সিমেন্ট সংলগ্ন চরে উঠে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সকালের দিকে ট্রলারযোগে লঞ্চে থাকা যাত্রীরা মুন্সীগঞ্জ ঘাটে এসে বিকল্প পথে ঢাকা চালে যায়। অনেক চেষ্টার পর লঞ্চটি তীর থেকে নামানো সম্ভব হয়নি। লঞ্চটির বেশিরভাগ অংশ চরে আটকে রয়েছে।
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির টু আইসি এসআই মো. জমশেদ আলী সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বরিশালটাইমসকে জানান, লঞ্চটি এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে রাতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে লঞ্চটি চর থেকে উদ্ধার করা হবে চেষ্টা করে লঞ্চ মালিক পক্ষ।
লঞ্চটিতে প্রায় ২ শতাধিক যাত্রী ছিল। সকলেই বিকল্প পথে গন্তব্যে চলে গেছে।’
শিরোনামOther