ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষে বরিশালে বিমান বাহিনীর পুর্নাঙ্গ ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ঘাঁটি স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধ বিমান এবং সরঞ্জামাদি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান সংসদকার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নুরজাহান বেগমের প্রশ্নে আনিসুল হক বাহিনীগুলো নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম। পাশাপাশি তিন বাহিনীতে এরই মধ্যে যেসব আধুনিক সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করেন।
সেনাবাহিনী নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, আগামী দুই অর্থ বছরে সিলেট সেনানিবাসে ১১টি ইউনিট (সদর দপ্তর) গঠন করা হবে। পরবর্তী তিন অর্থ বছরে রামু সেনানিবাসে গঠন করা হবে ১৪টি ইউনিট। ২০২৫ সাল নাগাদ মোট ৫৬টি ইউনিট দপ্তর গঠন করা হবে।
আনিসুল হক আরও জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামাইন উপজেলায় সেনানিবাস গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে একটি আরই ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া সেনাবাহিনীতে স্বতন্ত্র আর্মস হিসেবে স্পেশাল ফোর্স গঠনের লক্ষ্যে একটি সদর দপ্তর, প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড ও একটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়া বিওএফ-এর অধীনে চীন থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির জন্য ‘ভিসোরাদ’ মিসাইল উৎপাদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রশ্নোত্তরে নৌবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে নৌবাহিনী পরিচালিত চট্রগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডে (সিডিডিএল) এ বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফ্রিগেট যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশাল সমুদ্র এলাকা টহলের জন্য ছয়টি ফ্রিগেট নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারির জন্য দুটি এমপিএ কেনা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি দুটি হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, নৌবাহিনীর ভবিষ্যত সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আরও দুটি ফ্রিগেট,এমসিএমভি,সাবমেরিন রেসকিউ ভেসেল,লজিস্টিক শিপ,প্যাট্রোল ক্রাফট,ওশান টাগ,ফ্লোটিং ডক ইত্যাদি কেনা পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
বিমানবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বিমান উড্ডয়ন ও অবতরনের জন্য বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার,জহুরুল হক,বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও অগ্রবর্তী ঘাঁটি কক্সবাজারে চারটি এটিএস রাডার স্কোয়াড্রন স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব রাডার স্কোয়াড্রনের সংস্থাপন প্রস্তাবগুলো ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে মোতায়েনের জন্য এক স্কোয়াড্রন মাল্টি রোল যুদ্ধ বিমান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।’
শিরোনামOther