বরিশালে চিকিৎসকের সনদ জাল করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এবার আদালতের বিচারক বাদী হয়ে প্রতারক স্বামী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম।
আদালতের ভারাপ্রাপ্ত বিচারক মো. শামিম আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অভিযুক্তরা হলেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার খন্তাখালী এলাকার মৃত আব্দুল জয়নাল আবেদিনের ছেলে আব্দুল হক রাঢ়ী ও তার স্ত্রী রানু বেগম। এজাহার সূত্রে জানা গেছে- মেহেন্দিগঞ্জের খন্তাখালী এলাকার আব্দুল হক রাঢ়ীর সাথে তার প্রতিপক্ষ একই এলাকার আলাউদ্দিন রাঢ়ীসহ ১৩ জানের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ শত্রুতা চলে আসতেছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল আব্দুল হক রাঢ়ী বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসক প্রশান্ত কৃমার সাহার সনদ জাল করে তার স্ত্রী রানু বেগমকে জখমী দেখিয়ে আদালতে সেই সনদ উপস্থাপন করে মো. আলাউদ্দিন রাঢ়ীসহ ১৩ জন ফাঁসাতে একটি মিথ্যা মামলা করে। পরবর্তীতে ওই দিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। থানার ওসি মামলাটি ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে এবং থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাহেব আলীকে তদন্ত করার আদেশ দেন।
সাহেব আলী তদন্ত করে মামলাটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি চার্জ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় জখমী সনদ প্রদান করা সেই চিকিৎসক প্রশান্ত কুমার সাহা আদালতে হাজির হন। এবং তিনি সনদ দেখে আদালতকে জানায় যে জখমীর নামের যে সনদ আদালতে দাখিল করা হয়েছে সেটা তার দেয়া না।
এটি জাল আর সনদে যে তারিখ রয়েছে সে সময় তিনি বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে কর্মরত ছিল না। এ ঘটনায় আদালতের বিচারক বাদী হয়ে প্রতারক স্বামী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।”
Other