২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

উড়োজাহাজ লিজ দুর্নীতি: বিমানের পরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, ০৪ অক্টোবর ২০২২

উড়োজাহাজ লিজ দুর্নীতি: বিমানের পরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মিসর থেকে দুটি উড়োজাহাজ লিজ সংক্রান্ত ১১শ’ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক পরিচালক ও তিন জিএমসহ ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক নোটিশে তাদেরকে আগামী ১১ ও ১২ অক্টোবর হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তলবকৃতদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ম্যানেজার (প্লানিং) মোহাম্মদ আজাদ রহমান, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার জি এম ইকবাল ও লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্সের জিএম আজরা নাসরিন রহমানকে ১১ অক্টোবর হাজির হতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কস্ট অ্যান্ড বাজেট বিভাগের জিএম সি এম খায়রুল আলম, কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস এ এস এম মঞ্জুর ইমাম, চিফ অব টেকনিক্যাল হাসান ইমাম, কর্পোরেট প্লানিং বিভাগের জিএম মো. বেলায়েত হোসেন এবং ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড মেশিন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক এম এম আসাদুজ্জামানকে ১২ অক্টোবর হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ আর এম কায়সার জামানকে ১১ অক্টোবর হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি বিশেষ বিবেচনায় গত ২ অক্টোবর হাজির হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার (মিসর) থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর নামে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু বছর না যেতেই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

উড়োজাহাজটি সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ার থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হলে সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে। এতসব প্রক্রিয়ায় ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানিকে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের গচ্চা দিতে হয়েছে ১১শ’ কোটি টাকা।

জানা যায়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্তে এসব অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি দুদকে পাঠানোর সুপারিশ করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিষয়টি দুদকে আসার পর দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। বর্তমানে সংস্থার উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক ও সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের সমন্বয়ে একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন