বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, ২৬ মে ২০২০
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: করোনার মধ্যেই ঢাকার দোহারে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামাজিক সালিশ বসান। যেখানে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এ সালিশে উপস্থিত হওয়া এক ব্যক্তির সালিশের দু’দিনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ২২ মে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা এ সামাজিক সালিশ বসান। এ সময় সালিশের মধ্যে লাভলু শিকদার নামে এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যিনি সালিশের দু’দিন পর করোনা পজেটিভ হন। সালিশের এই জনসমাগম থেকে পুরো বিলাসপুরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি, যারা সালিশে উপস্থিত ছিলেন তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হোক, যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোহার থানার নির্বাহী অফিসার আফরোজা আক্তার রিবা জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এ বিষয়ে আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কোন চেয়ারম্যান বা মেম্বার জনসমাগম ঘটাতে পারে না বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে জনসমাগম ঘটানোর যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা জানান, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। ঘটনাটি আমি পরে জানতে পারি। জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল খাজার বাজারে যাই। এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করি। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
সালিশে উপস্থিত থাকা বিলাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মেম্বার জানান, একটা ঘটনা আমরা মৌখিকভাবে শুনেছি। তা হল আক্কাস শিকদারের মসজিদের ইমামের সঙ্গে একটা ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য আমরা কয়েকজন বসেছিলাম।
তিনি জানান, সালিশে উপস্থিত লাভলু শিকদার সালিশের দুই দিন পরে করোনা পজিটিভ হয়। তাই এই সালিশে যারা উপস্থিত ছিলেন, আমি সহ সবাইকে লকডাউনে থাকতে হবে। এই সালিশের মাধ্যমে বিলাসপুরে করোনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই আমি চাই সালিশে আগত সবাইকে লকডাউনে রাখা হোক।