২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

তদন্ত কমিটি গিয়ে দেখল ৮১ টন চাল ও সোয়া দুই লাখ খালি বস্তা নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, ০৬ এপ্রিল ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ভৈরব খাদ্যগুদামের দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠেছে। তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে বের হয়েছে গুদামে ৮১ মেঃ টন চাল ও এক লাখ ৭১ হাজার নতুন খালি বস্তা মজুদ কম রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সরকারিভাবে ৮১ টন চালের মূল্য ২৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ও এক লাখ ৭১ হাজার খালি বস্তার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ২৬ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৫ সদস্যের কমিটি ঘটনাটি তদন্তের পর এসব চাল ও খালি বস্তা গুদামে মজুদ কম পেয়েছে। যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয় বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সদস্যরা সোমবার নিশ্চিত করেন।

গত ২১ মার্চ শনিবার খাদ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক সারোয়ার মাহমুদ ভৈরব গুদাম পরিদর্শন করতে এসে গুদামে মাল কম মজুদ সন্দেহে ২ এবং ৩ নম্বর গুদাম সিলগালা করে দেন। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম এদিন রাতেই গুদামের সিলগালা ভেঙে শ্রমিক দিয়ে গুদামে মাল ঢুকান।

পরদিন রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির হোসেন ভৈরব খাদ্য গুদামে এসে দেখতে পান সিলগালা করা দুটি গুদামের ভেতর শ্রমিকরা চালের বস্তার খামাল নাড়াচারা করছে। এসময় বিষয়টি তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তারপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা তৎক্ষণাৎ গুদামে এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান, শ্রমিক সরবরাহকারী মো. ফারদুল্লাহসহ ১১ জনকে আটক করেন।

এরপর এদিন রাতেই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির হোসেন বাদী হয়ে আটক ১২ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুজনকে অন্যত্র বদলি করে এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তারপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৫ সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি করেন। এ কমিটিকে আরও ৬টি গুদামের মজুদ যাচাই করতে বলা হয়। তদন্ত কমিটি গত ১০ দিন যাবৎ ৬টি গুদামের মজুদ গণনা করে উল্লেখিত চাল ও খালি বস্তা কম পান।

ভৈরব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তদন্ত কমিটির সদস্য জাহাংগীর আলম জাগো নিউজকে উল্লেখিত চাল ও বস্তা মজুদ কমের কথা জানান।

এ বিষয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার খুদাদাদ হোসেন জানান, তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আরও দুই তিনদিন সময় লাগতে পারে। ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭১ হাজার খালি নতুন বস্তা মজুদ কম রয়েছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে চূড়ান্ত রিপোর্টে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে বলে তিনি জানান।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন