২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

তরমুজের কেজি ৩০ টাকা (!) তবুও নেই ক্রেতা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০/৯০ টাকা থেকে ৩০/৪০ টাকায় নেমেছে। এরপরও ক্রেতা না মেলায় ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে মানুষজন ইফতারিতে তরমুজ রাখতেন। এবার ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় ক্রেতারা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বাজার দর পড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে।

সান্তাহারের কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের জানান, রমজানের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বেশি থাকায় তরমুজের চাহিদা ছিল। এ কারণে মানভেদে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তখন দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকতো। সপ্তাহখানেক পর আবহাওয়া শীতল হওয়ায় চাহিদা কমে গেছে। ফলে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় নেমে আসে। এরপরও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও ক্রেতা মিলছে না। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

মানুষ কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় তরমুজের চাহিদা কমে গেছে জানিয়ে সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ ব্যবসায়ী রাঙ্গা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, পটুয়াখালী থেকে ১০ ব্যবসায়ী নওগাঁয় তরমুজ আমদানি করেন। সেখানকার আড়ত থেকে আমরা পাইকারি দরে কিনে আনি। এরপর রেলগেট এলাকায় খুচরা দরে বিক্রি করি। দাম কমার তিন দিন আগে প্রতি মণ ২৬০০ টাকায় কিনেছি। বেশি লাভের আশায় বেশি কিনেছিলাম। এখন ওই তরমুজের মণ ১২০০ টাকায় বিক্রি করছি। বিক্রি ও দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে আমাদের।

সান্তাহার রেলগেট এলাকায় তরমুজ কিনতে আসা ওই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, শাহজাহান আলী সাংবাদিকদের জানান, রোজার প্রথম দিকে মৌসুমি এই ফলের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা অধিক দামে বিক্রি করায় কেনা বন্ধ করে দেন তারা। প্রতি রোজায় তরমুজ রাখলেও এবার গত ১৫ দিনে এক কেজিও কেনেননি। দাম কমে গেছে শুনে কিনতে এসেছেন আজ। তবে এখনও ব্যবসায়ীরা পিস নয়, কেজি দরেই বিক্রি করছেন। এজন্য ক্রেতা নেই।

সান্তাহার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাগর খান বলেন, রমজানের শুরুতে তরমুজের কেজি ৮০/৯০ টাকা ছিল। বর্তমানে আড়তে আমদানি বেশি ও বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

দাম কমে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে সাগর খান সাংবাদিকদের বলেন, এবার রোজার শুরুতে দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষজন। ফলে বাজারে ধস নেমেছে।’

118 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন