২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ফরচুনের বুকে ফের ক্ষত, এবার পুলিশ কোন পথে হাঁটবে?

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৭ অপরাহ্ণ, ২৯ জানুয়ারি ২০২১

শাকিব বিপ্লব, বরিশাল >> স্থানীয় ক্ষমতাসীন মহলের প্রতিহিংসায় উত্তাপে উদগীরিত লাভা বরিশাল শিল্প নগরী বিসিকে আচঁড়ে পড়লেও সেখানকার কল-কারখানারগুলো এখন পর্যন্ত নিরাপদ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ওপর বয়ে যাচ্ছে টর্নেডোর ন্যায় একের পর এক আঘাত। বিশেষ করে মূল টার্গেট বিসিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও ‘ফরচুন সু’ কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে হয় বিসিক থেকে উৎখাত, নয়তো তাদের কজ্বায় নিতে পালাক্রমে কখনও মামলা আবার কখনও হামলার মাধ্যমে দৌড়ের ওপর রাখার কৌশল নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ বিসিকে সদ্য অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমানকে হেনস্তা করার উদ্যোগ নেওয়া হলে সম্ভবত সেখানে অথিতি হিসেবে নবাগত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার উপস্থিত থাকায় শেষমেষ তা সম্ভবপর না হলেও তারা যে সাহস দেখিয়েছে তাতে প্রশ্ন থেকে যায় পরিস্থিতি কতোটা ভয়ঙ্কর এবং বিসিক অচল করার পরিকল্পনার ছক ধরে এগোনো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ক্ষমতাসীন মহলের এক অংশের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে মাঠে থাকা কথিত ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যে দমিত নয়, সেই সতর্কবার্তাস্বরুপ ‘ফরচুন সু কোম্পানি’র দুই শ্রমিককে বিসিকের নিকট দূরত্বে পেয়ে আখেরী পিটুনি দিয়ে আহত করেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আজ শুক্রবার বিকেলে ঢকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনা বহুদূর গড়ালেও পুলিশ এখনও এই ঘটনায় আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে। পক্ষান্তরে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন দুই শ্রমিকের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরে কিছুটা কালক্ষেপণ করা হচ্ছে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রাদী সংগ্রহের জন্য। এমনটি জানা গেলো ব্যবসায়ী মহল থেকে।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রকাশ্যে হামলায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের ব্যানারে চিহ্নিত সেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আদৌতে কতটা আন্তরিকপূর্ণ ? অতীত ইতিহাস থেকেই এই প্রশ্নটি এখন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ইতিপূর্বে ‘ফরচুন সু কোম্পানি’র চেয়ারম্যানের ভাই শফিক রহমানের ওপর একই সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিলো এবং তার কাছে থাকা কোম্পানি’র বিপুল অঙ্কের অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিসিক অভ্যন্তরের এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ফরচুনের পক্ষ থেকে কাউনিয়া থানায় হামলা ও ছিনতাই অভিযোগ সংবলিত পৃথক দুটি এজহার দাখিল করা হলেও পুলিশ মামলা নিতে গরিমশি করে এধরনের অভিযোগ রয়েছে।

সূত্রের দাবি, শেষান্তে ঢাকা উচ্চমহলের নির্দেশে অথবা সুপারিশে পুলিশ হামলার এজহারটি কাটছাট করে মূল আসামীদের ব্যতিরেখে একটি মামলা নিলেও ছিনতাইয়ের অভিযোগটি আমলে নেয়নি। কথা প্রচার রয়েছে, ক্ষমতাসীন মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চাপ থাকায় পুলিশ এই ঘটনায় মামলা গ্রহণে যেমন কালক্ষেপণ করে, তদ্রুপ আটক অনিহার সুযোগে আসামীরা সহসায় জামিনে মুক্তবিহঙ্গে ঘোরার সুযোগ পেয়ে যায়। এর ফলেই বিসিক পরিস্থিতি দীর্ঘ উত্তপ্তের কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বিসিকে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর ধারাবাহিক জুলুম নিয়ে ক্ষমতাসীন মহলের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। একটি পক্ষ চাইছে, বর্হিবিশ্বে সু-রপ্তানিতে উৎপাদিত প্রতিষ্ঠান ফরচুন সু কোম্পানি’র মালিকপক্ষের ওপর হামলা-মামলা সংগঠনের জন্য সুখকর নয়। তাছাড়া এধরনের প্রতিষ্ঠানের কারণে দেশ ও দেশের বাহিরে বরিশালের সুনাম ও পরিচিতি এই জেলার জন্য ইতিবাচক একটি দিকও রয়েছে। যে কারণে এই অংশটি বিসিকের নিরাপত্তা জোরদার ও আগ্রাসী মনোভাব থেকে অপরপক্ষকে নিস্ক্রিয় করতে প্রশাসনিকভাবে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা দিতে বেশ তৎপর। কিন্তু তা প্রকাশ্যে নয়। বিপরীতে বিসিকের মূল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ক্ষমতাসীন দলের অংশটির আকাঙ্খা একান্তই স্বার্থগত এবং এক ব্যক্তি-বিশেষের জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাড়ানোর কারণে তিনি পিছু হটতে নারাজ। তিনি চাচ্ছেন অন্তত বিসিক তার নিয়ন্ত্রণে চলুক এবং ফরচুন প্রতিষ্ঠান তাকে সমীহ করুক।

বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, কৌশল হিসেবে শীর্ষ এই নেতা প্রকাশ্যে কোনো ভূমিকা বা মন্তব্য না রেখে ছাত্রলীগের মারদাঙ্গা গ্রুপকে অনেকটা চরের লাটিয়ালদের ন্যায় মাঠে নামিয়েছে। এরপরই বিসিক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গত ১ বছর যাবৎকাল।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিসিক কী কারণে উত্তপ্ত এবং ক্ষমতাসীন মহলের এই অংশটি কী চাচ্ছে সে বিষয়টি সচেতন জনগণ কিছূটা অবগত হলেও আমজনতার কাছে এর নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে এখনও অজানা। সেই সুযোগে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, বিসিক উন্নয়ন কাজ অনিয়ম রোধকল্পে ক্ষমতাসীন মহলের এই অংশটি প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে। কিন্তু দাঙ্গা-হাঙ্গামা ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় এখন পরিস্কার হয়ে উঠেছে, বিসিক উন্নয়নে ৮৪ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ কজ্বায় নিতে বহুমুখী চেষ্টা করে ব্যর্থতায় শীর্ষ ওই নেতার গাত্রদাহ থেকেই কৌশলে এই শিল্প নগরীকে উত্তপ্ত করতেই সংঘাত-মামলার নিত্যনতুন ঘটনার জন্ম নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফরচুন কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তাদের প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিবাদস্বরূপ অবস্থান নেওয়ার নানান নাটকীয়তার প্রেক্ষাপটে।

ওই সূত্রটি জানায়, গোটা বিসিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্নে টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অরাজকতা পরিস্থিতির মুখে কাজে অনিহা প্রকাশ করলে মিজানুর রহমান অপরাপর ব্যবসায়ীদের সহায়তায় তাদের প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিজেরাই সম্পন্নের উদ্যোগ নেয়। করোনাভাইরাস শুরুর আগে এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে টানা-হেচড়া শুরুর একপর্যায়ে মিজানুর রহমান বিসিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলে অপর একটি ছোট্ট পরিসরের ব্যবসায়ী গ্রুপ তার বিরোধীতায় ক্ষমতাসীন দলের ওই অংশের সাথে ঐক্য বেঁধে ফরচুন সু কোম্পানিকে বিতারিত করার পরিকল্পনা নেওয়া থেকেই নানাভাবে উৎপাত শুরু করে, দাবি করে চাঁদা। মিজানুর রহমান এতে অনঢ় অবস্থান নিলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব সংঘাত। সেই সাথে ভর করে আতঙ্ক। পরিস্থিতি জটিল করে তোলায় নিত্যদিনের উত্তেজনায় এতটাই আতঙ্ক ভর করেছে যে, এখানকার কলকারখানার উৎপাদনের গতিও বর্তমানে শ্লোথ হয়ে গেছে। কারণ অনেক ব্যবসায়ীরা হামলার ভয়ে বিসিক ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে থাকছেন। আবার কাউকে মামলা দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখা হয়েছে। স্বয়ং মিজানুর রহমানকেও এখন মামলার আসামী করায় তিনি দুইদিক থেকেই নিরাপদ নয়।

বিসিক সূত্র জানায়, প্রকল্পের কাজ সম্পন্নে প্রথমদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা নিরাপত্তা দিলেও এখন তাদের ভূমিকা অতটা জোরালো নয়। বিশেষ করে সম্প্রতি শ্রমিকলীগ নামধারী সোহাগ নামক এক যুবক বিসিকে এসে উচ্ছ্বঙ্খলতা করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করার প্রতিবাদে গত ২০ জানুয়ারি রাতে মহানগর আওয়ামী লীগ পেছনে থেকে ছাত্রলীগকে সামনে রেখে গোটা বরিশাল অচল করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একপ্রকার চাপের মুখে ফেলে দেয়। উল্টো সোহাগ ইস্যুতে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে যে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই আসামীর তালিকায় অজ্ঞাতদের নাম দীর্ঘায়িত করায় ব্যবসায়ীরাও এখন ক্ষমতার কাছে আর পেরে উঠছে না বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই রাতের ঘটনার পর থেকে প্রশাসনও এখন ক্ষমতাসীন দলের এই অংশকে সমীহ করায় তাদের অসহায়ত্বে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার প্রমাণ গত ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বিসিক পরিদর্শনে আসলে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে মিজানুর রহমান সেখানে উপস্থিত হওয়ার খবরে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা দল বেঁধে বিসিক কার্যালয়ের সামনে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেওয়ার মিশন নিয়ে সেখানে অবস্থানের খবর চাউড় হয়ে গেলেও স্বয়ং অনুষ্ঠানের অথিতি জেলা প্রশাসক নিজেও কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। এমনকি সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেলেও তারা ছিলো নির্লপ্ত! এর মাঝেই অন্তত ৩০ টি মোটরসাইকেলযোগে আসা ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বিসিকের ত্রিপ্রবেশ মুখে দাড়িয়ে ফরচুনের দুই শ্রমিককে পিটিয়েছে ইচ্চামতো।

সর্বশেষ আজ শুক্রবার সন্ধ্যারাতের খবরে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি দুজনে মধ্যেকার একজনের অবস্থা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছালে বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একদিকে বরিশাল অচল করার উদাহরণ সৃষ্টির সাহসিকতা, অন্যদিকে খুঁজে খুঁজে ফরচুন সু কোম্পানির মালিক থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার পরও র‌্যাব বা পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না কেনো বা কোনো উচ্চমহলের এবিষয়ে ইশারা বা নির্দেশনা রয়েছে কিনা, প্রশ্নবিদ্ধ এ বিষয়টিও এখন ঘুরেফিরে উচ্চারিত হতে শোনা যাচ্ছে। আ’লীগের আরেকটি শক্তিশালী পক্ষ বিসিকের অনুকূলে থাকার কথা শোনা গেলেও তারাও কেনো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বরিশাল প্রসঙ্গ কেনো তুলে ধরতে পারছে না, নাকি পারলেও কোনো সাড়া সৃষ্টি করতে পারেনি কিনা, তা নিয়েও কথা উঠেছে। দেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে এবার ৩টি সেরা প্রতিষ্ঠানের একটি স্বীকৃতি পাওয়া বর্হিবিশ্বে সু-রপ্তানিকারক ফরচুনের মতো কোম্পানি এবং সরকারী শিল্প অঙ্গনে অস্থিরতার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মিডিয়ায়ও কম লেখালেখি হয়নি, এখনও চলমান রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা বরিশাল বিসিকে আগ্রাসন এবং ফরচুন নিয়ে টানা-হেচড়ায় ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশের এক নেতার ইন্ধন এবং মাঠের ভূমিকায় কারা রয়েছে, তাদের সম্পর্কে তথ্যাদী সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে। তা সত্বেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চুপ থাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে যে, আসলে ঘটনা কোনদিকে গড়াচ্ছে?

এদিকে বরিশাল মেট্রো পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের অবস্থান নিয়েও কমবেশী সমালোচনা শুরু হয়েছে ফরচুনের বুকে আঘাত ইস্যু নিয়ে। উল্লেখ্য সদালাপী ও কঠোর মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ প্রশাসনে পরিচিত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই বলে আসছিলেন বরিশালে চাঁদবাজ ও ইভটিজারদের বিষয়ে তার অবস্থান জিরো টলারেন্স। এমনকি থানা ভিক্তিক প্রায়শই ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে মেট্রো পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একই বাক্য কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিলেও বিসিকের বিষয় তা সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। ফলে পরিস্থিতি বলছে বরিশাল নগরী কী এক রাজার একক রাজত্ব সৃষ্টি হলো কিনা? তা না হলে মিজানুর রহমানের মতো একজন শিল্প উদ্যোক্তা যেখানে ছাত্রলীগের কাছে অসহায়, সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে- এমন মন্তব্যই নগরীতে পা ফেললে অথবা রাজনৈতিক অঙ্গনে অলোচনার টেবিলে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।

কিন্তু এবিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সিভিল প্রশাসনের প্রধান জেলা প্রশাসকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কেহই সরল বক্তব্য না দিয়ে সতর্কভাবে ঘুরেফিরে আইনি ভাষায় কথা বলছেন। বাস্তবে আতঙ্কের শহর বরিশালে সেই বক্তব্য অন্তসারশূণ্য বলেই মনে হচ্ছে, সচেতন নাগরিক এমনটিই মনে করছে।’

36 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন