৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালের বাজারে নকল ডিম!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, ১৮ মে ২০১৬

বরিশাল: নকল ডিম আবিস্কারের খবরটি অবশ্য অনেক আগেই অনেকে শুনেছেন। কিন্তু এ ডিমটি দেখতে কেমন তা জানার কৌতুহল অনেক আগেই জনমনে জন্ম নিয়েছিলো। অবশ্য সকলের ধারণাও ছিলো আবিস্কারক দেশটি পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র চীন হওয়ার বাংলাদেশের এই ডিমের দেখা একদিন মিলবে। কিন্তু যদিও বলা হয় সেই এবার বরিশালের বাজারেও এসে পৌঁছেছে! সে কথা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কারণও নকল ডিমের নামই সকলে শুনেছেন, কিন্তু বাস্তবে দেখেননি। তাছাড়া বরিশালের মতো জেলায় এত তাড়াতাড়ি নকল ডিম বাজারজাত হবে বা হচ্ছে এটা ভাবাও যায় না। কারণ বরিশালের আশপাশ জেলার খামারগুলোতে প্রচুর পরিমান ডিম উৎপাদিত হয়।

 

তাতে পরিপূর্ণ চাহিদা না মেটলেও, বাংলাদেশের অন্য জেলাগুলো থেকে ডিম এনে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এমতাবস্থায় বরিশালের বাজারে নকল ডিম বিক্রি হচ্ছে, এমন কথা শুনলে অনেকে হয়তো ‘থ’ খেয়ে যাবেন এতে সন্দেহের কিছু নেই। অবশ্য হয়েছেও তাই। বরিশাল জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজ ‘সমস্যা ও সম্ভবনা’ এ সংক্রান্ত একটি লেখা নকল ডিমের ছবিসহ পোস্ট করায় তোলপাড় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পোস্টকারী তানসিম মাহমুদ সিয়াম তার ওই পোস্টে নকল ডিম বিক্রি রুখতে জেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এখন ওই পোস্টটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।

 

সিয়াম পোস্টে বলেছেন, গত সোমবার বারিশালে এসেই কাটপট্টি রোডের একটি মুদি দোকান থেকে ডিম কেনেন। কিন্তু ডিমগুলো বাসায় নিয়ে দেখলেন সব গুলইই নকল।’ দেখতে উদ্ভট এবং দুর্গন্ধযুক্ত। এমনকি চারপাশের আবরণটাও কাগজের খোসার ন্যায়। ফলশ্রুতিতে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে এগুলো নকল ডিম। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক দোকানী জানিয়েছেন, সম্প্রতি ডিমগুলো বরিশালে এসেছে। এগুলো প্রাকৃতিক ডিমের ন্যায় দেখতে হওয়ায় এবং দামটা একটু কমের কারণে বিক্রি করা যাচ্ছে সহজেই।

এই ডিমটি প্রাথমিকভাবে নকল বোঝা না গেলেও, বাসায় নিয়ে ভাঙার পরে বোঝা যায়। যে কারণে একবার কেউ এই ডিমটি কেনার পরে আর নিতে আগ্রহী নয়। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, এই নকল ডিম বরিশালের অধিকাংশ দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বাজার রোড, নতুন বাজার, বাংলা বাজার এবং সাগরদী বাজার এই ডিমে সয়লাব হয়ে গেছে।’

এমতাবস্থায় চিকিৎসাবীদদের অভিব্যক্তি হচ্ছে, কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত এই ডিম মানবদেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। এটি প্রথমে খাওয়ার পরে হজম শক্তি ব্যাঘাত ঘটাবে। পরবর্তীতে শরীরে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করবে। যা থেকে প্রাণঘাতি রোগের উদ্ভব ঘটবে। তাই এসব ডিম না খাওয়াটাই ভাল বনে মনে করা হচ্ছে।

এমনকি প্রাণঘাতি এই ডিম বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকারি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছে নগরবাসী। বিশেষ করে সচেতন মহল ভাবছেও তাই। কারণ বিষয়টি যেহেতু জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজ পর্যন্ত গিয়েছে, তাতে রোধের সিদ্ধান্ত আসাটাই স্বাভাবিক।

কারণ বরিশাল জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। তাছাড়া জেলার মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েও তার ভাবনার শেষ নেই। সুতরাং কালবিলম্ব না করে জেলা প্রশাসক অচীরেই এই ডিম বিক্রি বন্ধে ভুমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য তিনি জানিয়েছেনও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।’

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন