২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাউফলে ১৯ বছর ধরে চলছে শিক্ষার্থীবিহীন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা, দেখার কেউ নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, ২৭ মে ২০২২

বাউফলে ১৯ বছর ধরে চলছে শিক্ষার্থীবিহীন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা, দেখার কেউ নেই

মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রকূল ফিরোজা কামাল বালিকা দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯ বছর পূর্বে এমপিওভুক্ত হলেও চলছে শিক্ষার্থীবিহীন। ২০০৪ সালে ওই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে ৯ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারি থাকলেও সরেজমিনে একাধিকবার গিয়েও ১ জনও শিক্ষাথী পাওয়া যায়নি। কোন শিক্ষার্থী না থাকলেও সরকারি নিয়মানুযায়ী গত ১৯ বছর যাবৎ বেতনভাতা উত্তলন করলেও দেখার কেউ নেই।

গত বুধবার (২৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক জনও শিক্ষক, কর্মচারি ও শিক্ষথীকে পাওয়া যায়নি।

পরে খোজ নিয়ে প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম ও তার শশুর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল মোতালেবেে বাড়ি মাদ্রাসা সংলগ্ন। তাদেরকে ডাকা হলে সভাপতি আবদুল মতালেবের উপস্থিততে প্রধান শিক্ষক (সুপার) মাহফুজা বেগম বলেন, ২০০-২৫০ জন ছাত্রী তাদের প্রতিষ্ঠানে আছে।

আজ একটু তাড়াতাড়ি ছুটি দেওয়া হয়েছে তাই কোন শিক্ষার্থী নেই।

সত্যতা যাচাইয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ে একজনও শিক্ষাথী পাওয়া যায়নি। পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে চক, ডাস্টার, ব্লাকবোর্ড, ছাত্রী হাজিরা খাতাসহ কোন শিক্ষা উপকরণ দেখাতে পারেননি শিক্ষকরা।

প্রধান শিক্ষকের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোতালে। তিনি ওই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে কোন শিক্ষাথী না থাকলেও ১৩জন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিমাসে ২লাখ ৮হাজার টাকা বেতন উত্তলন করছেন।

প্রধান শিক্ষকের তথ্যমতে, খাতা কলমে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন। তার মধ্যে কাগজে কলমে প্রতিদিন উপস্থিতি গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন। থাকলেও ১ জনও নেই।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (সুপার) মাহফুজা বেগম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগে অনেক ছাত্রী ছিল। ২০০৯ সালের পর শিক্ষকদের মাঝে ঝামেল হওয়ায় আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থী একেবারে নেই। দুরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করে এখান থেকে দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহন করিয়ে বিদ্যালয় টিকিয়ে রাখেছেন।

এব্যপারে বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসাইন বলেন, শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকলে কোন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত থাকতে পারে না। আমরা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠাবো।

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন