নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দখলমুক্ত করা হয়েছে কলাপাড়া পৌরশহরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বড় পাইকারী মাছ বাজারটি। উপজেলা প্রশাসন বাজার থেকে আদায়কৃত অর্থ রাজস্ব খাতে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে খুশি সাধারণ মানুষ সহ খুচরা, পাইকারী মাছ বিক্রেতারা।

এর আগে, নিজেদের রেকর্ডীয় জমি দাবি করে টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু দীর্ঘদিন ধরে এ মাছ বাজারটি থেকে ভিটি ভাড়ার নামে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা করে আদায় করতো। যার কিছু অংশ চৌরাস্তা বাসষ্ট্যান্ড জামে মসিজদ পেলেও সরকার এ বাজার থেকে কোন রাজস্ব পেতনা।

জানা গেছে, কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে অবস্থিত এ বড় পাইকারী মাছ বাজারে ২৫-৩০টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। প্রতিদিন এ বাজারে লাখ লাখ টাকার মাছ নিলামে ক্রয়, বিক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা। শতকরা ৫ টাকা হারে ক্রেতা, বিক্রেতা উভয় পক্ষের কাছ থেকে খাজনার নামে টাকা উত্তোলন করা হতো।

এছাড়া চট প্রতি ২০০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা আদায় করা হতো এ বাজার থেকে, প্রতিমাসে যার অংক দাড়ায় দেড় থেকে তিন লাখ টাকা। মহাসড়কের পাশর্^বর্তী মাছ বাজারের ওই জমি সর্বশেষ বিএস জরিপে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের নামে জরিপ হয়েছে।

যা এক সময় পাউবো থেকে ব্যক্তি নামে বন্দোবস্ত দাবি করা হলেও আদালত থেকে ঘোষনামূলক ডিক্রী ছাড়া বর্তমানে এর কোন ভিত্তি নেই। এদিকে টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু বলেন, ’চৌরাস্তা মাছ বাজারের ওই জমি আমাদের ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় জমি। আমরা আইনী মোকাবেলার জন্য আদালতে যাবো।’

টিয়াখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, মাছ বাজারটি দখলমুক্ত হওয়ায় সাধারণ জনগন খুশি। টিয়াখালী ইউনিয়নের জনসাধারনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে ওই মাছ বাজার থেকে রাজস্ব আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেবে। এতে কেউ বিপত্তির চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজস্ব আদায় করার বৈধতা কেবল সরকারের। তবে সরকারের কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ইজারা নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে খাজনা আদায় করা যেতে পারে।