২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, ৪ বন্ধু আটক

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, ২৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: জেলার নলডাঙ্গায় মো. হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনের ভেতর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত হিমেল উপজেলার পিপরুল (সেন্টার) গ্রামের মো. ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া নিহত হিমেলের চারজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আটকরা হলো- একই এলাকার পার্থ, মেহেদী, সজুন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী বলে জানা গেছে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পার্থ নামে সহপাঠী একবন্ধু মোবাইল ফোনে হিমেলকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার স্বজনরা। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন।

কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে তারা থানা পুলিশকে জানান। এ অবস্থায় নিখোঁজ হিমেলকে উদ্ধারে অনুসন্ধানে নামেন পুলিশ। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া হিমেল অপর বন্ধু মেহেদীসহ শিমুল ও সুজন নামে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহত হিমেলের মাথায় আঘাত, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে মাথায় আঘাত ও চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তার মুখের ভেতর পলিথিন কাগজ ঢোকানো ছিল।

ওসি সাংবাদিকদের বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম, পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিমুদ্দিন।

94 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন