১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বাবুগঞ্জে ২ কিমি লম্বা মশারী জালসহ ট্রলার জব্দ

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আরিফ আহমেদ মুন্না বাবুগঞ্জের সুগন্ধা, আড়িয়াল খাঁ এবং মুলাদীর নয়া ভাঙ্গনী নদীর সংযোগ মুখের বিশাল এলাকাজুড়ে নিষিদ্ধ জাল ফেলে ধরা হচ্ছে রেণু-পোনা-জাটকা, -এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল অভিযান চালাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছে ওঠে মৎস্য কর্মকর্তাদের। সেখানে ৩ নদীর ত্রিমুখী মোহনায় প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মশারী জালের সাহায্যে ঘেরা দিয়ে নদী ছেঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রেণু, পোনা ও জাটকা।
শুধু মাছ নয়, মশারী জালে আটকে ছিল ব্যাঙাচি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র পোকা আর বিভিন্ন জলজ প্রাণির বাচ্চাও। এক জালেই নিশ্চিহ্ন হচ্ছিল ৩ নদীর মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য। জলজ প্রাণি ও নদীর জীববৈচিত্র্যের জন্য ভয়ঙ্কর ওই বিশালাকৃতির মশারী জাল দেখে তাজ্জব বনে যান উপস্থিত সবাই। এসময় প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা ওই মশারী জালটি এবং মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।

গতকাল মৎস্য অধিদপ্তরের ওই যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ। এসময় মুলাদী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম, বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম পারভেজ ছাড়াও বরিশাল নৌ-পুলিশ এবং বাবুগঞ্জ ও মুলাদী থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ওই মশারী জালটি পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমানের উপস্থিতিতে বকুলতলায় পুড়িয়ে ফেলা হয়।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ এবং হিজলা-মুলাদী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘এত বিশালাকৃতির মশারী জাল দেখে আমরা অবাক হয়েছি। এই মশারী জালে শুধু দেশের মৎস্য সম্পদই ধ্বংস হয় না, এই জাল সকল জলজ প্রাণি এবং নদীর জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই জালে মাছের রেণুপোনা ছাড়াও ব্যাঙাচি থেকে শুরু করে পানির ক্ষুদ্র পোকা পর্যন্ত আটকে যায়। এতে বিলুপ্ত হয় নদীর খাদ্যশৃঙ্খল এবং জীববৈচিত্র্য। তাই মশারী জালের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।’ #

165 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন