২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতের পার্লামেন্টে তিন তালাক বিল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৬ পূর্বাহ্ণ, ২২ জুন ২০১৯

বিরোধী দলের এমপিদের তুমুল বিরোধিতার মধ্যেই ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিতর্কিত তিন তালাক বিল উত্থাপন করা হয়েছে। গত মেয়াদে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিলটি আটকে গেলে সেটি পাস করাতে ব্যর্থ হয় বিজেপি। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই এই বিলটি প্রথম পার্লামেন্টে তুলেছে মোদির সরকার।

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লোকসভায় বিলটি উত্থাপিত হওয়ার পরপরই বিরোধী পক্ষের এমপিরা হইচই ও বাদানুবাদ শুরু করে। ষষ্ঠদশ লোকসভা পাস করাতে ব্যর্থ সেই বিলটি ফের উত্থাপন করা হয় শুক্রবার। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘এটি পক্ষপাতমূলক বিল।’

তিন তালাক নামের এই বিলটি পাস করাতে গত ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মুসলিমদে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। কিন্তু সেটি রাজ্যসভায় পাস করানো যায়নি। কেননা রাজ্যসভায় বিলের বিরোধীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

বিরোধীরা চেয়েছিলেন, পরীক্ষার জন্য একটি কমিটি করে তার কাছে বিলটি পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার পক্ষ সেই দাবি খারিজ করে দেয়। নতুন বিলটি সে সময় জারি সেই অধ্যাদেশেরই প্রতিরূপ। ওই অধ্যাদেশকে প্রতিস্থাপন করে নতুন ‘মুসলিম নারী বিল’উত্থাপন করা হয়েছে আজ।

গত ডিসেম্বরে লোকসভায় বিলটি পাস হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কোনো মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তিনবার তালাক বলে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটালে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলটির নাম হচ্ছে, ‘দ্য মুসলিম উইমেন বিল’ (প্রোটেকশন অফ রাইটন অন ম্যারেজ) ২০১৯।

বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, ‘সরকারের উচিত একটা অভিন্ন আইন প্রণয়ন করা। অন্য ধর্মের মানুষও তো তাদের স্ত্রীদের পরিত্যাগ করেন। ধর্ম নির্বিশেষে স্ত্রী পরিত্যাগ করা দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হোক। স্থায়ী কমিটির কাছে বিলটি পাঠান‌ো উচিত। এটি একটি পক্ষপাতমূলক বিল।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন