ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার স্বর্ণকারপট্টির মা স্বর্ণ শিল্পালয় এন্ড জুয়েলার্স নামক একটি দোকানে। ভীতিকর এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান মালিক নির্মল কর্মকার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
খবর পেয়ে গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে আটক ৩ জনকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত বেশ কয়েকটি বোমা ও একটি রিভলবার উদ্ধার করেছে। এই ঘানায় আটকরা হলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে কিবরিয়া, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুইশাখালী গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে আমীর হামজা ও বাকেরগঞ্জের জাহাঙ্গীর হোসেন।
পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী আরেকটি প্রতিষ্ঠানে হানা দেয়ার প্রাক্কালে ব্যবসায়িরা একত্রিত হয়ে ৩ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠান মালিক নির্মল কর্মকার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে কি পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুটপাট হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- এই ঘটনায় ৩ জনকে প্রাথমিকভাকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ডাকাতিতে আটক ৩ জন ছাড়াও কামাল ও নাননু নামে আরও দুই জন অংশ নিয়েছিল। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
বিশেষ করে থানা লাগোয়া বাজারে সন্ধ্যা রাতে ডাকাত পড়ার বিষয়টি ব্যবসায়িদের বেশি মাত্রায় আতঙ্কিত করে তুলেছে। এমতাবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের ভাষ্য হচ্ছে- আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। এটি একটি বিছিন্ন ঘটনা মাত্র।”
শিরোনামOther