২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভোলায় মুসুল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ, মামলায় আসামি ৫ হাজার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২১ অপরাহ্ণ, ২১ অক্টোবর ২০১৯

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মুসল্লিদের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও দেড় শতাধিক আহতের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকে বিশ্বনবী সা.কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে, যেখানে আসামি করা হয়েছে তিনজনকে।

সোমবার দুপুরে বরিশালের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ অ্যাসল্ট, কর্তব্য কাজে বাধা এবং চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানার এসআই আবিদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারীকে আসামি করা হয়েছে।

ডিআইজি জানান, এছাড়া ফেসবুকে বিশ্বনবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ, ইমন এবং শাকিল নামের তিনজনের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।

ছয় দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

এদিকে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিনের ওসিকে প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতারা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির ভোলা জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ এবং নবী-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তিকারীর বিরুদ্ধে যদি দেশে কঠিন শাস্তির আইন থাকতো তাহলে রবিবার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের গুলিতে চার মুসলিমকে নিহত হতে হতো না। আমরা এ ঘটনায় হতাহতের জন্য পুলিশকেই দায়ী করছি।’

তিনি তাদের ছয় দফা দাবি উল্লেখ করে বলেন, ‘মহানবী সা. ও মহান আল্লাহ তায়ালা এবং ইসলামের ব্যঙ্গ ও কটূক্তিকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করতে হবে। বিপ্লব চন্দ্র শুভকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা দিতে হবে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ ছয় দফা দাবি জানাচ্ছি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সব দাবি পূরণের সার্বিক ব্যবস্থা ও সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া না হলে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ বৃহত্তর কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’

এ সময় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা বশির উদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখার স্বার্থে আমাদের আজকের সরকারি স্কুল মাঠের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। মঙ্গলবার  বিকালে ভোলার প্রতিটি উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি, বুধবার বেলা ১১টায় জেলা শহরে মানববন্ধন এবং বৃহস্পতিবার বিকালে নিহতদের জন্য দোয়া মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ইয়াকুব আলী চৌধুরী, মাওলানা মো. ইউসুফ, মাওলানা আতাহার আলী, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা মাহাবুবুর রহমান, সংগঠনের সদস্য সচিব মাওলানা তাজুদ্দিন ফারুকী প্রমূখ।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন