আজ বুধবার বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, মঞ্চে উঠার পরপরই মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথির জন্য নির্ধারিত চেয়ারে (অন্য চেয়ারের চেয়ে একটু উঁচু) বসতে মহিবুল হাসানকে অনুরোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মহিবুল হাসান ওই চেয়ারে বসার জন্য মোকতাদির চৌধুরীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘আপনি আমার মুরুব্বী। আপনিই এখানে বসবেন।’ ভার্সিটির প্রস্তাবিত উপাচার্য ডা. মো. আনোয়ার হোসেনও এ সময় ব্যারিস্টার নওফেলকে অনুরোধ করলেও তিনি ওই চেয়ারে না বসে পাশের চেয়ারে বসেন। বিষয়টি উপস্থিত অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়।
এদিকে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অদিতি রায় উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানকে বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে শুরু করেন। কিন্তু হাসি দিয়ে অদিতিকে হাতের ইশারায় থামিয়ে বক্তব্য রাখতে মঞ্চের ডায়েসের দিকে চলে আসেন মহিবুল হাসান। এর আগে ভার্সিটির ট্রাস্টি ড. সাজ্জাদ হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে মহিবুল হাসানকে নিয়ে কথা বলতে চাইলে তখনও থামিয়ে দেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোকতাদির চৌধুরীকে পিতৃতুল্য বলে উল্লেখ করেন মহিবুল হাসান। পরে মোকতাদির চৌধুরী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে মহিবুল হাসানকে স্নেহ ধন্য ও তাঁর পিতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে শ্রদ্ধেয় নেতা বলে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জেলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী।’
এ ছাড়াও প্রশিক্ষিত সন্তানের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ভার্সিটির সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান।
জাতীয় খবর