বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০২:৫৬ অপরাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে চীন থেকে তড়িঘড়ি করে নিয়ে যাওয়া কিট ঠিকঠাক কাজ করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্পেনের জীববিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, যেসব র্যাপিড টেস্ট কিট নেয়া হয়েছে সেগুলো পজিটিভ কেস সঠিকভাবে ধরতে পারছে না।
জীববিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওইসব কিটে করোনাভাইরাসের যে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছে, সেগুলোতে মাত্র ৩০ শতাংশ সংবেদনশীলতা (সেনসিটিভিটি) ছিল। এর অর্থ মাত্র ৩০ শতাংশ বার তারা ভাইরাস আক্রান্ত লোককে শনাক্ত করতে পেরেছে।
সাধারণত র্যাপিড টেস্ট কিটে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফল মিলে যায়, তবে অন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলোর মতো এই পরীক্ষার ফল পুরোপুরি সঠিক হয় না। করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি এই টেস্ট কিট উৎপাদন করছে। উৎপাদন করছে চীনা কোম্পানিগুলোও।
উহান থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস সামলাতে চীন যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে প্রেরণা পেয়ে স্পেনও সেখানকার প্রতিষ্ঠান ‘বায়োইজি’ থেকে র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে আসে। কিন্তু সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দিশেহারা স্প্যানিশ বিজ্ঞানীরা এখন চোখে যেন অন্ধকার দেখছেন।
এল পাই জানিয়েছে, ওই গবেষণার ফলে স্প্যানিশ সোসাইটি অব ইনফেকশাস ডিজিজেস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজির তরফ থেকে কিটগুলো আর ব্যবহার না করার সুপারিশ যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্য কিট ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হতে পারে। সেসব টেস্টের ফল পেতে অবশ্য অনেক সময় লাগে।
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই টেস্টের ফলাফলের বিষয়টি অবহিত বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম।
এ বিষয়ে সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র জানান, বায়োইজির সেসব কিটের বদলে নতুন টেস্ট কিটের অনুমোদন দেবে সরকার।
‘বায়োইজি’ কোম্পানি থেকে র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়েছে জর্জিয়াসহ আরও কিছু দেশ। তবে সেসব দেশের তরফ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।
এ বিষয়ে মাদ্রিদে চীনের দূতাবাস বলেছে, চীন সরকার বিভিন্ন দেশে যেসব মেডিকেল সামগ্রী দিচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে ‘বায়োইজি’র কোনো পণ্য নেই।
করোনাভাইরাস চীনে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন ইতালির পর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে স্পেনেই। সবশেষ হিসাব অনুসারে, দেশটিতে ৪ হাজার ৩৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ। গোটা বিশ্বে এতে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজারের বেশি মানুষের। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ।