৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভাঙনের কবলে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ: ঝুঁকিতে ১০ গ্রামের মানুষ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪২ অপরাহ্ণ, ২৮ মার্চ ২০২৩

ভাঙনের কবলে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ: ঝুঁকিতে ১০ গ্রামের মানুষ

সংবাদদাতা, তালতলী:: বরগুনার তালতলীতে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর বেড়িবাঁধে নতুন করে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে প্রবল জোয়ারে প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে চলে গেছে। বাঁধের এই অংশে এক ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। তাৎক্ষণিক মেরামত করা না গেলে পরবর্তী যে কোন জোয়ারে পুরোপুরি ধসে গিয়ে প্লাবিত হতে পারে পুরো এলাকা। এছাড়াও এই এলাকার সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছরই তারা ভাঙনের কবলে পড়েন। আর এজন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের প্রলঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় বরগুনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে তালতলী উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি জানমালের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এরপর থেকেই ঝড় ও জলোচ্ছাস থেকে বাঁচতে জরুরী ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সাবেক ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর আগেও কয়েকবার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি ঢুকলে সব ধরনের ফসল ও গাছ-গাছালি মারা যায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। তখন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। বাঁধ ঠিক হলে আবার ঘর ঠিক করে বসবাস শুরু করি। একটু গুছিয়ে উঠতেই দেখা যায় আবার বাঁধ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় আবারও বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি গ্রাম লোনা পানিতে তলিয়ে যাবে। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হবে, দূষিত পানির কারণে ডায়রিয়াসহ নানান রোগ ব্যধি ছড়িয়ে পড়বে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ পেয়ে ভাঙন কবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য বলা হয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে সার্ভে করতে পাঠিয়েছি। সার্ভে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন