১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৫৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল -২ (বানারীপাড়া, উজিরপুর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল মান্নান''র উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে ঢাকাস্থ
বানারীপাড়া ফোরামের উদ্যোগে রাজধানীর ইকোনোমিক রিপোর্টাস ফোরাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাস্টার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা আপনাদেরকে সাথে নিয় মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত সবার বসবাস উপযোগী একটি মানবিক বানারীপাড়া গড়তে চাই।
ঢাকাস্থ বানারীপাড়া ফোরামের সভাপতি মো:রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হাসানুল ইসলাম স্বপন এবং শাহাদাৎ হোসেন শাহজালালের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাজধানীতে অবস্থানরত বানারীপাড়ার সকল ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহাদাৎ,পৌর জামায়াতের আমির কাওছার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশিকুল ইসলাম আজাদ,
বানারীপাড়া ফোরামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেজবাউদ্দিন লিটন,উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ মেহেদী হাসানসহদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিতে ছিলেন।
সভার শুরুতে প্রধান অতিথি বরিশাল-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাষ্টার আব্দুল মান্নানকে ঢাকাস্থ বানারীপাড়া ফোরামের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে বরণ করে নেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল -২ (বানারীপাড়া, উজিরপুর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল মান্নান''র উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে ঢাকাস্থ
বানারীপাড়া ফোরামের উদ্যোগে রাজধানীর ইকোনোমিক রিপোর্টাস ফোরাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাস্টার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা আপনাদেরকে সাথে নিয় মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত সবার বসবাস উপযোগী একটি মানবিক বানারীপাড়া গড়তে চাই।
ঢাকাস্থ বানারীপাড়া ফোরামের সভাপতি মো:রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হাসানুল ইসলাম স্বপন এবং শাহাদাৎ হোসেন শাহজালালের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাজধানীতে অবস্থানরত বানারীপাড়ার সকল ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহাদাৎ,পৌর জামায়াতের আমির কাওছার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশিকুল ইসলাম আজাদ,
বানারীপাড়া ফোরামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেজবাউদ্দিন লিটন,উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ মেহেদী হাসানসহদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিতে ছিলেন।
সভার শুরুতে প্রধান অতিথি বরিশাল-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাষ্টার আব্দুল মান্নানকে ঢাকাস্থ বানারীপাড়া ফোরামের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে বরণ করে নেন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের নিকট একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়ে তারা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই -আগস্ট আন্দোলনবিরোধী কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদোন্নতি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এটিকে “ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আপোষ করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে, যার ফলে তাঁর প্রশাসনিক পতন দ্রুত ঘটে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট ও শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। ৫১টি প্রভাষক পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ প্রশাসন একাডেমিক সংকট সমাধান না করে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনে ব্যস্ত।
তারা অভিযোগ করে বলেন , বহুবার পত্রপত্রিকায় মারফত উপাচার্যকে অসংখ্যবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের বিরোধীতাকারী ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে তথ্যপ্রমাণের রেফারেন্স সহ সংযুক্তি প্রদান করেছি। অথচ শিক্ষার্থীদের এসব চাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদেরকে পদায়নের মাধ্যমে বরাবরই পুরষ্কৃত করা হয়েছে। যেটা জুলাই-আগস্ট শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার শামিল।
সর্বশেষ তারা উপাচার্যের কাছে দাবি জানান, শিক্ষক সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক।
ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন—এস. এম. ওয়ালিদুর রহমান, মোঃ শরীফ উল্লাহ, রবিউল ইসলাম এবং মো. মাইনুল ইসলাম।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীতাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের নিকট একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়ে তারা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই -আগস্ট আন্দোলনবিরোধী কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদোন্নতি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীরা এটিকে “ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি সদ্য বিদায়ী উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আপোষ করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে, যার ফলে তাঁর প্রশাসনিক পতন দ্রুত ঘটে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট ও শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। ৫১টি প্রভাষক পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ প্রশাসন একাডেমিক সংকট সমাধান না করে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনে ব্যস্ত।
তারা অভিযোগ করে বলেন , বহুবার পত্রপত্রিকায় মারফত উপাচার্যকে অসংখ্যবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের বিরোধীতাকারী ফ্যাসিস্টদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে তথ্যপ্রমাণের রেফারেন্স সহ সংযুক্তি প্রদান করেছি। অথচ শিক্ষার্থীদের এসব চাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদেরকে পদায়নের মাধ্যমে বরাবরই পুরষ্কৃত করা হয়েছে। যেটা জুলাই-আগস্ট শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার শামিল।
সর্বশেষ তারা উপাচার্যের কাছে দাবি জানান, শিক্ষক সংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক।
ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন—এস. এম. ওয়ালিদুর রহমান, মোঃ শরীফ উল্লাহ, রবিউল ইসলাম এবং মো. মাইনুল ইসলাম।’
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৫৭
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১৯৯০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিষ্ঠিত হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা জায়, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের উদ্যোগে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত মোসলেম আলী বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রায় করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর সেখানে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। প্রথমেই পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলম গোরস্থানের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করন। নির্মানাধীন পৌর গোরস্থানের উপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নোর। এরপর তার লোকজন দিয়ে ওই মসজিদ দখল করে একটি গৃহ নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার ৮০ শতাংশ পুরো জমি দখলে নিয়ে নেয় এই আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম আয়নো।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আনোয়ারা বেগম আয়নো তার মৃত্যু পিতা আব্দুর রশিদ দরবেশের নামে ওই সম্পত্তি কবুলিয়ত মূলে মালিকানা দাবি করে আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি দীর্ঘ সময় পড়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পেলে পরবর্তীতে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া পৌর গোরস্থানের পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু মৃত ব্যক্তিদের ওই গোরস্থানের দাফন দেয়া হয়। এমনকি সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নিজ অর্থায়নে ওই গোরস্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ২০২২ সাল থেকে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থানের উন্নয়ন কাজ শুরু করলে আবারো মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী পৌর কাউন্সিল আয়নো বরিশাল আদালতে আবার একটি মামলা দায়ের করে উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এরপর আবারও পৌর গোরস্থান নির্মাণ কাজ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় গোরস্থানটি বর্তমানে দখলদারদের কবলে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নো দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে গোরস্থানের জমি দখল করে বসত ঘর, গোয়ালঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। এবং ওই গোরস্থানে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষের বাগানের গাছ অনেক আগেই বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। এতে কবরস্থানটির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফনেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। গোরস্থানের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। গোরস্থানের মধ্যে থাকা কবর গুলো জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে।
সরেজমিনে পৌর গোরস্থানে গেলে দেখা যায় জলিল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পৌর গোরস্থানের মধ্যে বসতঘর ও গোয়ালঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।
এ সময় জলিল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আয়নোর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় মৌখিকভাবে তিনি জমি ক্রয় করেছিলেন। তার জমি সে বুঝে না পেলে গোরস্থানের জমি দখল করে রেখেছেন।
তবে এ বিষয়ে পৌরসভায়ে জমি বিক্রেতা মোসলেম আলী বেপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, এখানে জলিল কোন জমি ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর নেতৃত্বে তিনি পৌরসভার জমি অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর নির্মাণ করে রেখেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গোরস্থানে প্রবেশের রাস্তা থেকে শুরু করে ভেতরের অনেক অংশই আগাছায় ঢেকে গেছে। কোথাও কোথাও আবার দখলদারদের স্থাপনা নির্মাণ করায় গোরস্থানের মূল সৌন্দর্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় কবর রক্ষণাবেক্ষণেও পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ছে। গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে প্রবেশ করছে দখলকারীরা। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই সম্পত্তি কবুলিয়ত
রয়েছে তার বাবার নামে। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক রুমানা আফরোজ বলেন, পৌর গোরস্থান উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে পৌরসভার একমাত্র গোরস্থান উন্নয়ন করার।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ১৯৯০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় প্রতিষ্ঠিত হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা জায়, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের উদ্যোগে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত মোসলেম আলী বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রায় করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর সেখানে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থান নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। প্রথমেই পৌর চেয়ারম্যান মাহবুব আলম গোরস্থানের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করন। নির্মানাধীন পৌর গোরস্থানের উপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নোর। এরপর তার লোকজন দিয়ে ওই মসজিদ দখল করে একটি গৃহ নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার ৮০ শতাংশ পুরো জমি দখলে নিয়ে নেয় এই আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম আয়নো।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আনোয়ারা বেগম আয়নো তার মৃত্যু পিতা আব্দুর রশিদ দরবেশের নামে ওই সম্পত্তি কবুলিয়ত মূলে মালিকানা দাবি করে আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি দীর্ঘ সময় পড়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় পেলে পরবর্তীতে পৌরসভার তৎকালীন মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া পৌর গোরস্থানের পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু মৃত ব্যক্তিদের ওই গোরস্থানের দাফন দেয়া হয়। এমনকি সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নিজ অর্থায়নে ওই গোরস্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ২০২২ সাল থেকে পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থানের উন্নয়ন কাজ শুরু করলে আবারো মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নারী পৌর কাউন্সিল আয়নো বরিশাল আদালতে আবার একটি মামলা দায়ের করে উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এরপর আবারও পৌর গোরস্থান নির্মাণ কাজ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় গোরস্থানটি বর্তমানে দখলদারদের কবলে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নারী কাউন্সিলর আয়নো দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে গোরস্থানের জমি দখল করে বসত ঘর, গোয়ালঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। এবং ওই গোরস্থানে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষের বাগানের গাছ অনেক আগেই বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। এতে কবরস্থানটির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফনেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। গোরস্থানের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। গোরস্থানের মধ্যে থাকা কবর গুলো জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে।
সরেজমিনে পৌর গোরস্থানে গেলে দেখা যায় জলিল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পৌর গোরস্থানের মধ্যে বসতঘর ও গোয়ালঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।
এ সময় জলিল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আয়নোর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় মৌখিকভাবে তিনি জমি ক্রয় করেছিলেন। তার জমি সে বুঝে না পেলে গোরস্থানের জমি দখল করে রেখেছেন।
তবে এ বিষয়ে পৌরসভায়ে জমি বিক্রেতা মোসলেম আলী বেপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, এখানে জলিল কোন জমি ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর নেতৃত্বে তিনি পৌরসভার জমি অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর নির্মাণ করে রেখেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গোরস্থানে প্রবেশের রাস্তা থেকে শুরু করে ভেতরের অনেক অংশই আগাছায় ঢেকে গেছে। কোথাও কোথাও আবার দখলদারদের স্থাপনা নির্মাণ করায় গোরস্থানের মূল সৌন্দর্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় কবর রক্ষণাবেক্ষণেও পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ছে। গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে প্রবেশ করছে দখলকারীরা। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়নোর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই সম্পত্তি কবুলিয়ত
রয়েছে তার বাবার নামে। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক রুমানা আফরোজ বলেন, পৌর গোরস্থান উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে পৌরসভার একমাত্র গোরস্থান উন্নয়ন করার।
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৫৩
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রদলের উদ্যোগে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ফিরতি ম্যাচ বাংলাদেশ বনাম হংকংয়ের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচটি সরাসরি বড় পর্দায় দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যার পর থেকেই প্রজেক্টরে খেলা দেখার জন্য শিক্ষার্থীরা গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভিড় জমাতে থাকেন। খেলার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বাংলাদেশের গোলের মুহূর্তে করতালি, চিৎকার আর পতাকা নাড়ানোর উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্থানটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা মো.রায়হান বলেন , শিক্ষার্থীদের বিনোদন ও ঐক্যের বার্তা ছড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলা শুধু বিনোদন নয়, এটি আমাদের ঐক্য ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে।
ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য আশিক আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একত্রে বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলার মাধ্যমে সবাই একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেছে, যা ক্যাম্পাসের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রদলের উদ্যোগে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ফিরতি ম্যাচ বাংলাদেশ বনাম হংকংয়ের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচটি সরাসরি বড় পর্দায় দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যার পর থেকেই প্রজেক্টরে খেলা দেখার জন্য শিক্ষার্থীরা গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভিড় জমাতে থাকেন। খেলার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বাংলাদেশের গোলের মুহূর্তে করতালি, চিৎকার আর পতাকা নাড়ানোর উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্থানটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা মো.রায়হান বলেন , শিক্ষার্থীদের বিনোদন ও ঐক্যের বার্তা ছড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলা শুধু বিনোদন নয়, এটি আমাদের ঐক্য ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে।
ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য আশিক আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একত্রে বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলার মাধ্যমে সবাই একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেছে, যা ক্যাম্পাসের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৪৮
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:০২
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৫৭