২১ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৪১
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসন জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, 'শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে উঠেছিলেন। নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিলেন। পরিবারতন্ত্র কায়েম করে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন। গত ১৫-১৬ বছর একটি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। আমরা সেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি না হয়। আর কোনো সরকার যেন ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য রাষ্ট্রকাঠামোর কিছু মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সেই মৌলিক সংস্কার হতে হবে। জরুরি কিছু মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আবার এদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন প্রতিরোধ করতে হবে। শনিবার (১৯ জুলাই) বরিশালে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে বরিশাল বিভাগীয় নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, 'একটি জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সাল থেকেই চেষ্টা করে আসছিল অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন 'সুজন'। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু আলাপ-আলোচনাও হয়েছিল। তবে তারা তাতে সাড়া না দেওয়ার সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে। কিছু বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। একটি রাষ্ট্রে নাগরিকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ নেই। তাই জাতীয় সনদ তৈরিতে নাগরিকদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সুজন। সেজন্য আমরা নিজেদের উদ্যোগে সারাদেশে ১৫টি নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে জনগণের ভাবনা, মতামত, পরামর্শ এবং প্রস্তাবগুলো জানার চেষ্টা করছি।'
শনিবার সকাল ১০টায় বরিশালের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) হলরুমে জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক ওই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সুজনের বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওই নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। নাগরিক সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজনের বরিশাল মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মোতালেব হাওলাদার। এসময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত, ভোলা জেলা সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ, বরিশাল জেলা সম্পাদক রণজিৎ দত্ত, বরগুনা জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের, ঝালকাঠি সদর সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশালের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা।
নাগরিক সংলাপে এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস, বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার, রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু জাফর শিকদার, বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের অধ্যাপিকা টুনু রাণী কর্মকার, অধ্যাপিকা দীপ্তি ঘোষ, বরগুনা সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের অধ্যাপক জিয়াউল করিম, অধ্যাপক জুলফিকার আমিন বাবু, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা'র বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী লিংকন বাইন, নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারী সুপ্রিয় দত্ত, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার বেপারী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা, সাংবাদিক নাসরিন শিপু, পটুয়াখালী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাব, সুজনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, গৌরনদী উপজেলা সুজন সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, বানারীপাড়া সুজন সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল, আগৈলঝাড়া সুজনের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ঝালকাঠি জেলা সুজন সদস্য কবিতা হালদার, বরিশালের ক্রীড়া সংগঠক জাকির হোসেন পান্নু, নারী নেত্রী পারভীন বেগম, সিনিয়র ইয়্যুথ লিডার তানজিলা জেরিন অমি প্রমুখ। এসময় বক্তারা জাতীয় সনদ তৈরি, বাস্তবায়ন এবং সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। ওই নাগরিক সংলাপে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং শতাধিক সুজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নে নাগরিকদের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ওই নাগরিক সংলাপে জাতীয় সংসদ কাঠামো ও সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, মৌলিক অধিকার রক্ষা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার, রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মোট ৪০ দফা প্রস্তাবের উপরে সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধান অতিথি সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। এসময় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন, সংসদের নিম্নকক্ষ ৩০০ থেকে ৪০০ আসনে উন্নীতকরণ, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ আসন থেকে ১০০ আসনে বৃদ্ধি করে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচন, উচ্চকক্ষের ১০০ আসনে সিনেট সদস্য নিয়োগে নিম্নকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের আনুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে সিনেট সদস্য নির্বাচন, সকল নির্বাচনে না ভোটের বিধান রাখা এবং সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান চালু, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট বাধ্যতামূলক করা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনী নীতিমালা সংস্কার, পৃথক পুলিশ কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন ও স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন, প্রতি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন, সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রবর্তন, রাজনৈতিক দলসমূহের সংস্কার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবিত ৪০ দফার উপরে বিস্তারিত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর এবং মতামত প্রদান করেন বক্তারা। জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সারাদেশে সুজনের ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় এই জনমত যাচাই কার্যক্রমকে অভাবনীয় এবং গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল। রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের এই জনমত সংগ্রহের নাগরিক সংলাপকে ঐতিহাসিক এবং সকল সরকারের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। #
বরিশালে সুজন'এর বিভাগীয় নাগরিক সংলাপ
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসন জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, 'শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে উঠেছিলেন। নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিলেন। পরিবারতন্ত্র কায়েম করে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন। গত ১৫-১৬ বছর একটি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। আমরা সেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি না হয়। আর কোনো সরকার যেন ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য রাষ্ট্রকাঠামোর কিছু মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সেই মৌলিক সংস্কার হতে হবে। জরুরি কিছু মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আবার এদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন প্রতিরোধ করতে হবে। শনিবার (১৯ জুলাই) বরিশালে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে বরিশাল বিভাগীয় নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, 'একটি জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সাল থেকেই চেষ্টা করে আসছিল অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন 'সুজন'। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু আলাপ-আলোচনাও হয়েছিল। তবে তারা তাতে সাড়া না দেওয়ার সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এখন আলাপ-আলোচনা চলছে। কিছু বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। একটি রাষ্ট্রে নাগরিকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ নেই। তাই জাতীয় সনদ তৈরিতে নাগরিকদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সুজন। সেজন্য আমরা নিজেদের উদ্যোগে সারাদেশে ১৫টি নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে জনগণের ভাবনা, মতামত, পরামর্শ এবং প্রস্তাবগুলো জানার চেষ্টা করছি।'
শনিবার সকাল ১০টায় বরিশালের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) হলরুমে জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক ওই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সুজনের বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওই নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। নাগরিক সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজনের বরিশাল মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মোতালেব হাওলাদার। এসময় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত, ভোলা জেলা সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ, বরিশাল জেলা সম্পাদক রণজিৎ দত্ত, বরগুনা জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের, ঝালকাঠি সদর সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশালের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা।
নাগরিক সংলাপে এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস, বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার, রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু জাফর শিকদার, বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের অধ্যাপিকা টুনু রাণী কর্মকার, অধ্যাপিকা দীপ্তি ঘোষ, বরগুনা সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের অধ্যাপক জিয়াউল করিম, অধ্যাপক জুলফিকার আমিন বাবু, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা'র বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী লিংকন বাইন, নাগরিক উদ্যোগের সমন্বয়কারী সুপ্রিয় দত্ত, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার বেপারী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা, সাংবাদিক নাসরিন শিপু, পটুয়াখালী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাব, সুজনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, গৌরনদী উপজেলা সুজন সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির, বানারীপাড়া সুজন সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল, আগৈলঝাড়া সুজনের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ঝালকাঠি জেলা সুজন সদস্য কবিতা হালদার, বরিশালের ক্রীড়া সংগঠক জাকির হোসেন পান্নু, নারী নেত্রী পারভীন বেগম, সিনিয়র ইয়্যুথ লিডার তানজিলা জেরিন অমি প্রমুখ। এসময় বক্তারা জাতীয় সনদ তৈরি, বাস্তবায়ন এবং সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। ওই নাগরিক সংলাপে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং শতাধিক সুজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নে নাগরিকদের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ওই নাগরিক সংলাপে জাতীয় সংসদ কাঠামো ও সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন পরিচালনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, মৌলিক অধিকার রক্ষা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার, রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মোট ৪০ দফা প্রস্তাবের উপরে সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধান অতিথি সুজন সম্পাদক প্রফেসর ড. বদিউল আলম মজুমদার। এসময় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন, সংসদের নিম্নকক্ষ ৩০০ থেকে ৪০০ আসনে উন্নীতকরণ, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ আসন থেকে ১০০ আসনে বৃদ্ধি করে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচন, উচ্চকক্ষের ১০০ আসনে সিনেট সদস্য নিয়োগে নিম্নকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের আনুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে সিনেট সদস্য নির্বাচন, সকল নির্বাচনে না ভোটের বিধান রাখা এবং সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান চালু, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট বাধ্যতামূলক করা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনী নীতিমালা সংস্কার, পৃথক পুলিশ কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন ও স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন, প্রতি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন, সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রবর্তন, রাজনৈতিক দলসমূহের সংস্কার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবিত ৪০ দফার উপরে বিস্তারিত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর এবং মতামত প্রদান করেন বক্তারা। জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সারাদেশে সুজনের ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় এই জনমত যাচাই কার্যক্রমকে অভাবনীয় এবং গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল। রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের এই জনমত সংগ্রহের নাগরিক সংলাপকে ঐতিহাসিক এবং সকল সরকারের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। #
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৮
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ করার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
এক বছর ধরে দুই বাহিনী নানা আলোচনার জন্ম দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডিআইজিকে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) চিঠি দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি পুলিশে ক্ষোভ দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে অ্যাভসেক। এ বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ‘আনসার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা অ্যাভসেক সদস্যরা। এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্য বিরোধ দেখা দেয়। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়।
অ্যাভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল।
পুলিশ ও বেবিচক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দফতরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এ কাজগুলো করতে পারে না। সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে। এপিবিএন এবং অ্যাভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে। আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন।
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে। সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে। সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ করার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া হচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর।
এক বছর ধরে দুই বাহিনী নানা আলোচনার জন্ম দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতিরিক্ত ডিআইজিকে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) চিঠি দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি পুলিশে ক্ষোভ দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে অ্যাভসেক। এ বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দফতরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ‘আনসার বিদ্রোহের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর অক্টোবরের শেষ দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা অ্যাভসেক সদস্যরা। এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় জিডিও করা হয়।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্য বিরোধ দেখা দেয়। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়।
অ্যাভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল।
পুলিশ ও বেবিচক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দফতরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এ কাজগুলো করতে পারে না। সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে। এপিবিএন এবং অ্যাভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে। আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন।
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে। সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে। সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
ইউসিবিএল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারের মালিকানায় থাকা শিল্পগ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯-২০ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আরামিট পিএলসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পাল।
দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আর দুদকের তদন্তে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা উঠে আসায় আরামিটের এজিএম (হিসাব) উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আরামিটের কর্মকর্তাদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য ‘টাইম লোন’ আবেদন করেন। নিজ পরিবারের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) এ আবেদন করা হয়।
ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা একই ব্যাংকে বাকি চারটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট নম্বরে বিভিন্ন অঙ্কে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেই টাকা পাচার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের নামে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা টাকার কিছু অংশ সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে আর পরবর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগমুহূর্তে জাবেদ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ইউসিবিএল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারের মালিকানায় থাকা শিল্পগ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯-২০ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আরামিট পিএলসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আব্দুল আজিজ ও উৎপল পাল।
দুদক কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আর দুদকের তদন্তে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা উঠে আসায় আরামিটের এজিএম (হিসাব) উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আরামিটের কর্মকর্তাদের নামে পাঁচটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির জন্য ১৮০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য ‘টাইম লোন’ আবেদন করেন। নিজ পরিবারের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবিএল) এ আবেদন করা হয়।
ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা একই ব্যাংকে বাকি চারটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্ট নম্বরে বিভিন্ন অঙ্কে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেই টাকা পাচার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের নামে ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা টাকার কিছু অংশ সেই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর তাকে আর পরবর্তী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যায়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগমুহূর্তে জাবেদ তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৩
গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।
গাজীপুরের কাশিমপুরে কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর নামা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রস্তুত করা প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূজারিরা। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যান তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রতিমাগুলো সবসময় পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। তবে দুপুরে খাবারের জন্য সাময়িকভাবে সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায় তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আবু নাসের মো. আল আমিন বলেন, বুধবার সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গেছে। এর বাইরে কিছু নয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.