২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৪:০৭
কক্সবাজার সদরের পূর্ব মুক্তারকুল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক যাত্রীবাহী বাস বিলে পড়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার খরুলিয়ার পূর্ব মুক্তারকুল দরগাহ পাড়া এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ‘কিং অব কমিউনিটি সেন্টার’-এর পূর্ব পাশে মারসা পরিবহন নামে একটি দ্রুতগামী বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী ছিল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানা পুলিশ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বাসটি খরুলিয়া এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বিলে পড়ে সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে প্রায় ২০ জন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
দরগাহপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল হক বলেন, বাসটি অনেক দ্রুতগতিতে আসছিল। হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি, বাসটি বিলে পড়ে আছে। যাত্রীরা বলছিলেন, চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাসটি সোজা রাস্তা ছেড়ে হঠাৎ বাঁ দিকে সরে যায় এবং বিলের পানিতে পড়ে যায়।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেকেই মাথায় ও পিঠে আঘাত পেয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পর্যাপ্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ ও বিশ্রামের অভাব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, চালকরা দীর্ঘ সময় ঘুম ছাড়া গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। আবার অনেক বাস কোম্পানি ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটছে। ওসি নাসির উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর বাস চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চালকের লাইসেন্স, বাসের ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সদরের পূর্ব মুক্তারকুল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক যাত্রীবাহী বাস বিলে পড়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার খরুলিয়ার পূর্ব মুক্তারকুল দরগাহ পাড়া এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ‘কিং অব কমিউনিটি সেন্টার’-এর পূর্ব পাশে মারসা পরিবহন নামে একটি দ্রুতগামী বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামমুখী ছিল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানা পুলিশ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বাসটি খরুলিয়া এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বিলে পড়ে সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে প্রায় ২০ জন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
দরগাহপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল হক বলেন, বাসটি অনেক দ্রুতগতিতে আসছিল। হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি, বাসটি বিলে পড়ে আছে। যাত্রীরা বলছিলেন, চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাসটি সোজা রাস্তা ছেড়ে হঠাৎ বাঁ দিকে সরে যায় এবং বিলের পানিতে পড়ে যায়।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেকেই মাথায় ও পিঠে আঘাত পেয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পর্যাপ্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ ও বিশ্রামের অভাব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, চালকরা দীর্ঘ সময় ঘুম ছাড়া গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। আবার অনেক বাস কোম্পানি ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটছে। ওসি নাসির উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর বাস চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চালকের লাইসেন্স, বাসের ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.