Bkash

ঝালকাঠি

মাদক সেবনের অপরাধে ৪ জনের ১ বছরের কারাদণ্ড 

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মাদক সেবনের অপরাধে ৪ জনের ১ বছরের কারাদণ্ড 

ঝালকাঠিতে মাদক সেবনের অপরাধে ৪ জনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।  রবিবার (১০ আগস্ট)  বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শহরের থানা রোডের বিসমিল্লাহ হাউস ভবনে একটি কক্ষ থেকে তাদের আটক করে ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ বছরের কারাদণ্ড দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন।

 কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন,সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠি এলাকার মৃত তৈয়ব আলী খানের ছেলে হাকিম (৩২), শহরের বাকলাই সড়কের আঃ খালেক মোল্লার ছেলে মনির হোসেন (৪৫), দিয়াকুল এলাকার মাসুম হাওলাদারের ছেলে  সাগর (৩২) ও কিস্তাকাঠি এলাকার মৃত আনসার আলী হাওলাদারের ছেলে হুমায়ন হাওলাদার (৪০)।

 ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে অভিযান চালিয়ে চারজকে আটক করা হয়।এসময় ১০০ গ্রাম বিদেশি মদ, ৪ পিস ইয়াবা ও ৪০ গ্রাম শুকনো গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পরে  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, মাদকসেবনের অপরাধে ৪ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে  ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

৫০ বছর ধরে সুগন্ধা নদীতে ভাঙন,রোধে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

৫০ বছর ধরে সুগন্ধা নদীতে ভাঙন,রোধে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা

‘আমার স্বামীর একটা বাড়ি ছিলো সেটি নদীতে চলে গেছে অনেক আগেই পরে একটু দূরে আরেকটা বাড়ি করছিলো আমার ছেলেরা সেটিও ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে , এছাড়া আমাদের যে শেষ সম্বল ছিলো সব সুগন্ধা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

এমনকি আমার স্বামীর যে কবর ছিল তাও নদীতে। বর্তমানে আমারা অন্যের জমিতে কোনোরকম একটু ঘর উঠিয়ে থাকি। আমাদের কেউ কোনো খোঁজ-খবর নেননি। আমরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।’—কথাগুলো বলেছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের সরই গ্রামের নদীর তীরের বাসিন্দা মাকসুদা বেগম (৭০)।

একই এলাকার রশিদ মোল্লা (৫০) বলেন,প্রায় ৫০ বছর ধরে নদী ভাঙন চলতে আছে এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।শতশত পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতঘর, গাছপালা, পানের বরজ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। 

সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও জনপদ। নদীপারের ১০ গ্রামে তীব্র ভাঙনে দিশেহারা শত শত পরিবার। দফায়  দফায় বাড়ি ছেড়েও রক্ষা মিলছে না। বর্ষা মৌসুম এলেই শঙ্কায় দিন কাটে নদীপারের মানুষের। 

এলাকাবাসী জানায়, সুগন্ধা নদীর ভাঙনে শতাধিক পরিবার তাদের মাথা গোঁজার শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়েছে। একসময়ের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নদীর ভয়াল গ্রাসে সব হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। জেলার তিমিরকাঠি, দরিরচর, খোজাখালী, মল্লিকপুর, সিকদারপাড়া, বহরমপুর, ষাটপাকিয়া, কাঠিপাড়া, অনুরাগসহ ১০টিরও বেশি গ্রামের বড় অংশ নদীর পেটে গেছে। এর মধ্যে খোজাখালী, দরিরচর, তিমিরকাঠি, সিকদারপাড়া গ্রামের সবচেয়ে বেশি অংশ বিলীন হয়েছে নদীতে। 

হেপী বেগম (৩৮) বলেন, নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন ঘরের সঙ্গে এসেছে। এখন আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমাদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। কোথায় যাবো কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। 

মগড় ইউনিয়নের কাঠিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ হাওলাদার (৭০) বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ২০-৩০টা বসতবাড়ি ছিল, সব নদীতে এখন ২-৩টা পরিবার আমরা এখানে আছি। তাও বিলীনের পথে আমরা কিছুই চাইনা আমাদের নদী ভাঙ্গনটা রোধ করে দিলেই হবে। 

কুলকাঠি ইউনিয়নের সরই গ্রামের বাসিন্দা জামাল ফকির বলেন, আমার বাপ-দাদার বাড়ি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে। এখন কিছু অর্থ জমিয়ে নতুন বাড়ি করেছি। আমাদের এখানে এতবছর ধরে ভাঙন, তা রোধ করতে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।  

অবসরপ্রাপ্ত তহসিলদার হাজী আব্দুল হক তালুকদার বলেন, যে জায়গাটায় আমি অনেক বসতঘর দেখেছি, সেখান থেকে এখন লঞ্চ চলাচল করে। নদী এখন আমার বাড়ির কাছাকাছি চলে আসছে। আমি হয়তো ভবিষ্যতে নিজ ভিটায় থাকতে পারবো না।

সরই গ্রামের ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ভাঙনকূলে থাকা আমার অনেক স্বজনরা তাদের বাপ-দাদার বাড়ির চিহ্নটুকু রাখতে পারেনি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি। কিন্তু হচ্ছে-হবে বলে আজ পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো সুরাহা পাইনি। 

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ঝালকাঠি ও নলছিটির ভাঙন এলাকা আমাদের একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। অন্যান্য ভাঙন স্থানে প্রাথমিক জরিপ সম্পাদনা করা হয়েছে। প্রকল্প কার্যক্রম অনুমোদন পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারব।

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঝালকাঠিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৪৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঝালকাঠিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঝালকাঠিতে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি। বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে বিজয় র‍্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমুহ প্রদক্ষিণ করে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন র‍্যালির নেতৃত্ব দেন।

বিজয় র‍্যালিতে জেলা বিএনপির আওতাধীন ৬টি  ইউনিট এবং যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, ওলমাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক  কর্মী সমর্থক  অংশ নেন। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং জাতীয় ও দলীয় পতকা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোষরদের ফাসির দাবিতে স্লোগানসহ জুলাই বিপ্লবে শহীদের স্মরণ করেন।  বিজয় র‍্যালি শেষে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাৎ হোসেন, ঝালকাঠি পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান,  জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মুবিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রফেসর এস.এম এজাজ হাসান প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন মল্লিক, ঝালকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান তাপু, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম গাজী, নলছিটি পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নুর হোসেন, কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলিম মুন্সি, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. রবিউল হোসেন তুহিন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মুশফিকুর রহমান বাবু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস সরদার দিপু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সাকিনা আলম লিজা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি টিপু সুলতান, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন অর রশিদ, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক চাষী নান্না খলিফা, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মো. বাচ্চু হাসান খান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. বাদশা মিয়া, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক সরদার মো. শহিদুল্লাহ, জেলা ওলমা দলের আহবায়ক মাওলানা সাইদুর রহমান, জেলা জাসাসের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল বিশ্বাসসহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তরা বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন। এই দিনে ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধিনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করে সরকার গঠনের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হবে।

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নলছিটিতে বিজয় র‍্যালি 

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

০৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নলছিটিতে বিজয় র‍্যালি 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিজয় র‍্যালি করেছে নলছিটি উপজেলা বিএনপি।

বুধবার  (৬ আগস্ট) বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের  সামনে থেকে র‍্যালি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু। নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক  তৌহিদুল আলম মান্না ও সদস্য সচিব  সাইদুল কবির রানার সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিচুর রহমান খান হেলাল,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য সরদার এনামুল হক এলিন,যুবদলের জিয়াউল কবির মিঠু,  এনায়েত করিম মিশু, সরোয়ার তালুকদার, সাবেক বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার ওহিদুল ইসলাম বাদল,উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক  সুজন খান, ফয়সাল, রনি তালুকদার, সাব্বির, শ্রমিকদলের জামাল খান প্রমুখ।


custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.