২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:০০
গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৩২ হাজার সিরিয়ালে অবস্থান করা সত্ত্বেও পোষ্য কোটার সুবিধায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ভর্তি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের কন্যা।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মাত্র ৪০ নম্বর অর্জন করে তিনি প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অনুষদে স্থানান্তরিত হন।
অথচ চলতি বছর ওই অনুষদে মেধা তালিকার সর্বোচ্চ ৫০৩৫ ক্রম পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পোষ্য কোটার মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন তিনজন শিক্ষার্থী। উপাচার্যের মেয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখার কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (প্রাপ্ত নম্বর ৩৯.৫০) এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (প্রাপ্ত নম্বর ৫৩.৫০) একই কোটায় জীববিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন কোটার সুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ জন।
গত বছর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি উঠলেও সেটি কার্যকর হয়নি। বরং এ বছর উপাচার্যের নিজের সন্তানকে কোটায় ভর্তি করানোয় নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের মতে, একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তির যোগ্য না হন, তবে কেন তাকে আলাদা সুবিধা দেওয়া হলো? একইসঙ্গে তারা জানতে চাইছেন— দরিদ্র কৃষক বা সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য কেন এই ধরণের সুযোগ রাখা হয় না?
এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, নিয়ম মেনেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই নির্ধারিত কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে বাড়তি সুবিধা পাননি।
চলতি বছর কোটায় ভর্তি হওয়া বাকি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে—‘এ’ ইউনিটে: প্রতিবন্ধী কোটায় ৩ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন।‘বি’ ইউনিটে: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪ জন, প্রতিবন্ধী ২ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ জন।‘সি’ ইউনিটে: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ২ জন, বিকেএসপি ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা ১ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, প্রতিবন্ধী ১ জন।
গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৩২ হাজার সিরিয়ালে অবস্থান করা সত্ত্বেও পোষ্য কোটার সুবিধায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ভর্তি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের কন্যা।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মাত্র ৪০ নম্বর অর্জন করে তিনি প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অনুষদে স্থানান্তরিত হন।
অথচ চলতি বছর ওই অনুষদে মেধা তালিকার সর্বোচ্চ ৫০৩৫ ক্রম পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পোষ্য কোটার মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন তিনজন শিক্ষার্থী। উপাচার্যের মেয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখার কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (প্রাপ্ত নম্বর ৩৯.৫০) এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (প্রাপ্ত নম্বর ৫৩.৫০) একই কোটায় জীববিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন কোটার সুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ জন।
গত বছর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি উঠলেও সেটি কার্যকর হয়নি। বরং এ বছর উপাচার্যের নিজের সন্তানকে কোটায় ভর্তি করানোয় নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের মতে, একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তির যোগ্য না হন, তবে কেন তাকে আলাদা সুবিধা দেওয়া হলো? একইসঙ্গে তারা জানতে চাইছেন— দরিদ্র কৃষক বা সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য কেন এই ধরণের সুযোগ রাখা হয় না?
এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, নিয়ম মেনেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই নির্ধারিত কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে বাড়তি সুবিধা পাননি।
চলতি বছর কোটায় ভর্তি হওয়া বাকি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে—‘এ’ ইউনিটে: প্রতিবন্ধী কোটায় ৩ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন।‘বি’ ইউনিটে: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪ জন, প্রতিবন্ধী ২ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ জন।‘সি’ ইউনিটে: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ২ জন, বিকেএসপি ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা ১ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, প্রতিবন্ধী ১ জন।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৫
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৪
বরিশালে থানা হেফাজত থেকে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামি পালিয়ে গেছেন। জয় সাহা নামের ত্রিশোর্ধ্ব এই যুবক রোববার রাতে কোতয়ালি মডেল থানা হাজতখানার নিরাপত্তা কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ আসামি পলায়নের বিষয়টি লুকোচাপা রাখার পাশাপাশি তাকে ধরতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কোনো সুখবর দিতে পারেনি।
কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে থানা হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের অপরাপর সদস্যদের মধ্যেকার কানাঘুষা চলছে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত জয় সাহাকে রোববার অপরাহ্নে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। রাত ১০টার দিকে হাজতখানার তালা খুলে তাকে খাবার সরবরাহ করতে গেলে তিনি নিরাপত্তা কর্মী পুলিশ কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে থানা হেফাজত থেকে আসামি পলায়নের উদাহরণ খুব কম রয়েছে। তবে অভিযান গ্রেপ্তার আসামি পালিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু নজীর থাকলেও পরবর্তীতে তাদের বেশিক্ষণ পালিয়ে থাকার সুযোগ দেয়নি, গ্রেপ্তার করে একই স্থানে রাখা হয়।
কিন্তু এবার থানা হেফাজত থেকে আসামি পলায়ন এবং তাকে ২৪ ঘণ্টায়ও গ্রেপ্তার করতে না পারার বিষয়টিকে পুলিশের দুর্বলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি লুকোচাপা রাখতে গিয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন।
প্রাসঙ্গিক এই বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানকে ফোনে পাওয়া না গেলেও পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আইচ সাংবাদিকদের কাছে একদিন বাদে সোমবার বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং তিনি জানান, নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ কনস্টেবলের অসতর্কতায় আসামি হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের একাধিক টিম রোববার রাত থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’
বরিশালে থানা হেফাজত থেকে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামি পালিয়ে গেছেন। জয় সাহা নামের ত্রিশোর্ধ্ব এই যুবক রোববার রাতে কোতয়ালি মডেল থানা হাজতখানার নিরাপত্তা কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ আসামি পলায়নের বিষয়টি লুকোচাপা রাখার পাশাপাশি তাকে ধরতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কোনো সুখবর দিতে পারেনি।
কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে থানা হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের অপরাপর সদস্যদের মধ্যেকার কানাঘুষা চলছে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত জয় সাহাকে রোববার অপরাহ্নে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। রাত ১০টার দিকে হাজতখানার তালা খুলে তাকে খাবার সরবরাহ করতে গেলে তিনি নিরাপত্তা কর্মী পুলিশ কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে থানা হেফাজত থেকে আসামি পলায়নের উদাহরণ খুব কম রয়েছে। তবে অভিযান গ্রেপ্তার আসামি পালিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু নজীর থাকলেও পরবর্তীতে তাদের বেশিক্ষণ পালিয়ে থাকার সুযোগ দেয়নি, গ্রেপ্তার করে একই স্থানে রাখা হয়।
কিন্তু এবার থানা হেফাজত থেকে আসামি পলায়ন এবং তাকে ২৪ ঘণ্টায়ও গ্রেপ্তার করতে না পারার বিষয়টিকে পুলিশের দুর্বলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি লুকোচাপা রাখতে গিয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন।
প্রাসঙ্গিক এই বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানকে ফোনে পাওয়া না গেলেও পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আইচ সাংবাদিকদের কাছে একদিন বাদে সোমবার বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং তিনি জানান, নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ কনস্টেবলের অসতর্কতায় আসামি হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের একাধিক টিম রোববার রাত থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪২
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন আজ কেবল পরিবেশের সংকট নয়, বরং মানুষের জীবন-জীবিকারও বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে এগিয়ে এসেছেন এক তরুণ সংগঠক—আরিফুর রহমান শুভ।
২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া তাঁর পথচলা আজ পৌঁছে গেছে দেশের ৫২ জেলায়। গড়ে উঠেছে একটি সক্রিয় নেটওয়ার্ক, যেখানে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার তরুণ। বর্তমানে তিনি ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেখা শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ে আগ্রহী করতে শুভ চালু করেছেন একটি অভিনব আয়োজন—‘ইকো অলিম্পিয়াড’। এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীরা কুইজ ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জাস্ট ট্রানজিশান (ন্যায্য রূপান্তর) সম্পর্কে শিখছে। ঝালকাঠি জেলার ১০টি স্কুলে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তিন ধাপের বাছাই শেষে নির্বাচিত হয়েছে সেরা ২০০ জন যার মধ্যে সেরা ৬জন নির্বাচিত পেয়েন সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টেফিকেট এবং পুরুষ্কার। একই সময়ে বরিশাল জেলার ১০টি স্কুলেও চলছে এই আয়োজন, যেখানে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অংশ নিয়েছে। নেতৃত্বের নতুন প্ল্যাটফর্ম: ইকো অলিম্পিয়াড শেষ হয়েছে, তবে এর ফল থেমে নেই।
এই উদ্যোগ থেকেই ঝালকাঠি জেলায় গঠিত হয়েছে প্রথমবারের মতো ‘ইয়ুথ ক্লাইমেট ক্লাব’। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ক্লাব গড়ে তোলা হবে—যেখানে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এই ক্লাব এখন শিক্ষার্থীদের হাতে দিয়েছে কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্ব। বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক বর্জন প্রচার কিংবা জলবায়ু সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া—সব আয়োজন করছে তারাই। ফলে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছে পরিবেশ আন্দোলনের দূত। মাঠ থেকে নীতি পর্যন্ত আরিফুর রহমান শুভর কাজ কেবল সচেতনতা তৈরিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপেও প্রভাব ফেলছে।
পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণ: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপ ও ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে বরিশাল বিভাগে তার টিম প্রচারণা চালায়।
নদী রক্ষায় পদক্ষেপ: বরিশালের কীর্তনখোলা নদী রক্ষায় নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টদের একত্রিত করেছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে: মানতা সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হয়েছেন তাদের আস্থার প্রতীক। শুভর ভাষায় স্বপ্ন: আরিফুর রহমান শুভ বলেন আমার স্বপ্ন তরুণদের হাতে সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। ইকো অলিম্পিয়াড আর ইয়ুথ ক্লাইমেট ক্লাব সেই স্বপ্ন পূরণের এক ধাপ।”
তাঁর লক্ষ্য শুধু পরিবেশ সচেতনতা নয়; বরং তরুণদের নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা। প্রশাসনের চোখে শুভ: পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, “আমার দেখা মতে তাঁর মতো পরিবেশপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ বিরল। আমরা প্রতিটি পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রমে তাঁকে পাশে পেয়েছি। তাঁর ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করি।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন আজ কেবল পরিবেশের সংকট নয়, বরং মানুষের জীবন-জীবিকারও বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে এগিয়ে এসেছেন এক তরুণ সংগঠক—আরিফুর রহমান শুভ।
২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া তাঁর পথচলা আজ পৌঁছে গেছে দেশের ৫২ জেলায়। গড়ে উঠেছে একটি সক্রিয় নেটওয়ার্ক, যেখানে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার তরুণ। বর্তমানে তিনি ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেখা শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ে আগ্রহী করতে শুভ চালু করেছেন একটি অভিনব আয়োজন—‘ইকো অলিম্পিয়াড’। এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীরা কুইজ ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জাস্ট ট্রানজিশান (ন্যায্য রূপান্তর) সম্পর্কে শিখছে। ঝালকাঠি জেলার ১০টি স্কুলে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তিন ধাপের বাছাই শেষে নির্বাচিত হয়েছে সেরা ২০০ জন যার মধ্যে সেরা ৬জন নির্বাচিত পেয়েন সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টেফিকেট এবং পুরুষ্কার। একই সময়ে বরিশাল জেলার ১০টি স্কুলেও চলছে এই আয়োজন, যেখানে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অংশ নিয়েছে। নেতৃত্বের নতুন প্ল্যাটফর্ম: ইকো অলিম্পিয়াড শেষ হয়েছে, তবে এর ফল থেমে নেই।
এই উদ্যোগ থেকেই ঝালকাঠি জেলায় গঠিত হয়েছে প্রথমবারের মতো ‘ইয়ুথ ক্লাইমেট ক্লাব’। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ক্লাব গড়ে তোলা হবে—যেখানে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এই ক্লাব এখন শিক্ষার্থীদের হাতে দিয়েছে কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্ব। বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক বর্জন প্রচার কিংবা জলবায়ু সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া—সব আয়োজন করছে তারাই। ফলে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছে পরিবেশ আন্দোলনের দূত। মাঠ থেকে নীতি পর্যন্ত আরিফুর রহমান শুভর কাজ কেবল সচেতনতা তৈরিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপেও প্রভাব ফেলছে।
পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণ: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপ ও ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে বরিশাল বিভাগে তার টিম প্রচারণা চালায়।
নদী রক্ষায় পদক্ষেপ: বরিশালের কীর্তনখোলা নদী রক্ষায় নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টদের একত্রিত করেছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে: মানতা সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হয়েছেন তাদের আস্থার প্রতীক। শুভর ভাষায় স্বপ্ন: আরিফুর রহমান শুভ বলেন আমার স্বপ্ন তরুণদের হাতে সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। ইকো অলিম্পিয়াড আর ইয়ুথ ক্লাইমেট ক্লাব সেই স্বপ্ন পূরণের এক ধাপ।”
তাঁর লক্ষ্য শুধু পরিবেশ সচেতনতা নয়; বরং তরুণদের নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা। প্রশাসনের চোখে শুভ: পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, “আমার দেখা মতে তাঁর মতো পরিবেশপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ বিরল। আমরা প্রতিটি পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রমে তাঁকে পাশে পেয়েছি। তাঁর ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করি।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:০৮
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী বরিশাল নগরীতে মশাল মিছিল করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল বের করার এক মিনিটের মধ্যেই তাঁদের ধাওয়া করে চারজনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মিছিলটি বের করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি কার্যালয়ের সামনে একদল আওয়ামী লীগ কর্মী স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। তাঁরা সংখ্যায় ১৫ থেকে ২০ জন ছিলেন। মিছিলটি বাস টার্মিনালের দিকে এক মিনিটের পথ অগ্রসর হলে ছাত্র-জনতা হামলা চালায়। মিছিলকারীরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চহঠা গ্রামের শাহদত হোসেন অপু তালুকদার, দক্ষিণ চহঠা গ্রামের মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের দড়িকর গ্রামের সজীব হাওলাদার (৩৭) এবং বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের মোহাম্মদ শাহিন শেখ (৪০)।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার বরিশালটাইমসকে জানান, মিছিল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী বরিশাল নগরীতে মশাল মিছিল করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল বের করার এক মিনিটের মধ্যেই তাঁদের ধাওয়া করে চারজনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মিছিলটি বের করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি কার্যালয়ের সামনে একদল আওয়ামী লীগ কর্মী স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। তাঁরা সংখ্যায় ১৫ থেকে ২০ জন ছিলেন। মিছিলটি বাস টার্মিনালের দিকে এক মিনিটের পথ অগ্রসর হলে ছাত্র-জনতা হামলা চালায়। মিছিলকারীরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চহঠা গ্রামের শাহদত হোসেন অপু তালুকদার, দক্ষিণ চহঠা গ্রামের মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের দড়িকর গ্রামের সজীব হাওলাদার (৩৭) এবং বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের মোহাম্মদ শাহিন শেখ (৪০)।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার বরিশালটাইমসকে জানান, মিছিল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.