
০৯ জুলাই, ২০২৫ ২১:৫২
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেছেন, মা বোনেরা ঘর সংসার ঠিক রাখবেন, সাথে সাথে প্রতি বাড়ি গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইবেন। ধানের শীষে জোয়ার আনতে হবে। ধানের শীষে মা বোনেরা ভোট দেয় সেই ব্যবস্থা আপনাদের করতে হবে। আমি আপনাদের কাছে এই অনুরোধ রেখে গেলাম।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কাউন্সিলের দিন, আমার নেতা তারেক রহমান এক ঘণ্টা আপনাদের সম্মুখে বক্তৃতা দিয়েছেন। আপনাদের কাছে তিনি বলেছেন যে, আপনাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দোয়ার আহ্বান জানাতে হবে। নেতা বলেছেন, দেশে ১২ কোটি ৫০ লক্ষের অর্ধেক ভোট হয়েছে মা-বোনদের ভোট।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সাহাবুদ্দিন নান্নুর সভাপতিত্বে (৯ জুলাই) বুধবার, উপজেলার সুবিদখালী বন্দরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে ও এক নজর দেখার জন্য বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সর্বস্তর থেকে বিপুলসংখ্যক লোক সমাবেত হয় এই সময়।
জেলা সভাপতি কুট্টি সরকার আরও বলেন, অন্যায়ভাবে কেউ জায়গা দখল করে, কেউ ঘর দখল করে, কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কেস-মামলা করে। এগুলো কেউ করবেন না। এটা কিন্তু আমরা কেউ পছন্দ করি না, আর করবোও না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সিনিয়র সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জাফরুজ্জামান খোকন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন নান্নু, সাবেক সদস্য বশির মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সিকদার এবং মাধব খালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পলাশ হাওলাদার প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মো. মিজানুর রহমান, খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, পটুয়াখালী মিডিয়া সেল প্রধান কাজল খন্দকার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম চৌধুরী প্রমুখ।’
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেছেন, মা বোনেরা ঘর সংসার ঠিক রাখবেন, সাথে সাথে প্রতি বাড়ি গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইবেন। ধানের শীষে জোয়ার আনতে হবে। ধানের শীষে মা বোনেরা ভোট দেয় সেই ব্যবস্থা আপনাদের করতে হবে। আমি আপনাদের কাছে এই অনুরোধ রেখে গেলাম।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মির্জাগঞ্জ উপজেলায় আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কাউন্সিলের দিন, আমার নেতা তারেক রহমান এক ঘণ্টা আপনাদের সম্মুখে বক্তৃতা দিয়েছেন। আপনাদের কাছে তিনি বলেছেন যে, আপনাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দোয়ার আহ্বান জানাতে হবে। নেতা বলেছেন, দেশে ১২ কোটি ৫০ লক্ষের অর্ধেক ভোট হয়েছে মা-বোনদের ভোট।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সাহাবুদ্দিন নান্নুর সভাপতিত্বে (৯ জুলাই) বুধবার, উপজেলার সুবিদখালী বন্দরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে ও এক নজর দেখার জন্য বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সর্বস্তর থেকে বিপুলসংখ্যক লোক সমাবেত হয় এই সময়।
জেলা সভাপতি কুট্টি সরকার আরও বলেন, অন্যায়ভাবে কেউ জায়গা দখল করে, কেউ ঘর দখল করে, কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কেস-মামলা করে। এগুলো কেউ করবেন না। এটা কিন্তু আমরা কেউ পছন্দ করি না, আর করবোও না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সিনিয়র সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জাফরুজ্জামান খোকন, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন নান্নু, সাবেক সদস্য বশির মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সিকদার এবং মাধব খালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পলাশ হাওলাদার প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মো. মিজানুর রহমান, খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, পটুয়াখালী মিডিয়া সেল প্রধান কাজল খন্দকার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম চৌধুরী প্রমুখ।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।
জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।
জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।
জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।
জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৪
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।
২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।
পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।
শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।
শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।
২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।
পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।
শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।
শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৭
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।
এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।
এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.