২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা নিশ্চিতে স্থাপিত হলেও এখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
মূল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত ঘরে সীমিত সেবা দেয়া হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবার জন্য আসা রোগীদের নানামুখী ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের অধিকাংশ জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে, ছাদ দিয়ে চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি। এতে ভিজে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আর নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ওষুধপত্র।
দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরায় ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন একমাত্র উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৫ নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত চিঠি দিয়েছি এবং মৌখিকভাবেও জানিয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, বৃষ্টির সময় ভেতরে পানি পড়ে, তখন চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হয়।
ওষুধও ভিজে যায়। নতুন ভবন হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। রোগীর স্বজন রহিম মিয়া বলেন, এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসা নিতে ভয় লাগে। কিন্তু এই ইউনিয়নের মানুষের আর কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয়রা আরও জানান, শুধু ভবন নয়, পর্যাপ্ত জনবল আর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামও প্রয়োজন এই দ্বীপ ইউনিয়নে। তারা আশা করছেন, দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ হলে চিকিৎসা সেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তিও কমবে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ভবনটি সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা নিশ্চিতে স্থাপিত হলেও এখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
মূল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত ঘরে সীমিত সেবা দেয়া হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবার জন্য আসা রোগীদের নানামুখী ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের অধিকাংশ জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে, ছাদ দিয়ে চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি। এতে ভিজে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আর নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ওষুধপত্র।
দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরায় ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন একমাত্র উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৫ নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত চিঠি দিয়েছি এবং মৌখিকভাবেও জানিয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, বৃষ্টির সময় ভেতরে পানি পড়ে, তখন চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হয়।
ওষুধও ভিজে যায়। নতুন ভবন হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। রোগীর স্বজন রহিম মিয়া বলেন, এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসা নিতে ভয় লাগে। কিন্তু এই ইউনিয়নের মানুষের আর কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয়রা আরও জানান, শুধু ভবন নয়, পর্যাপ্ত জনবল আর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামও প্রয়োজন এই দ্বীপ ইউনিয়নে। তারা আশা করছেন, দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ হলে চিকিৎসা সেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তিও কমবে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ভবনটি সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৫
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৪
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে বেতাগী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শাহ আলম হাওলাদার (৬৫) বেতাগী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন ও মৃত বরু জান বিবির সন্তান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দশমিনা থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬ মার্চ ইউনিয়ন বিএনপির এক কাউন্সিল অধিবেশনে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, ওইদিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সভায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনার তিন বছর পর, ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সবুজ ঢালী বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শাহ আলম হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন,
“অভিযান ডেভিল হান্ট চলমান রয়েছে। শাহ আলম হাওলাদারকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে বেতাগী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শাহ আলম হাওলাদার (৬৫) বেতাগী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন ও মৃত বরু জান বিবির সন্তান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দশমিনা থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬ মার্চ ইউনিয়ন বিএনপির এক কাউন্সিল অধিবেশনে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, ওইদিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সভায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনার তিন বছর পর, ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সবুজ ঢালী বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শাহ আলম হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন,
“অভিযান ডেভিল হান্ট চলমান রয়েছে। শাহ আলম হাওলাদারকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২১
পটুয়াখালীর বাউফলে মোবাইলে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে জোরপর্বূক এক তরুণীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণিরশিক্ষার্থী। তার বাবা পেশায় একজন জেলে। এ ঘটনা দামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রভাব বিস্তার করছেন বলেন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার দিন (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে ওই তরণীর মা ডাক্তারের কাছে। এ সময় সে (তরুণী) ঘরে একা ছিল।
এই সুযোগে ইন্টারনেট ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে একই বাড়ির আহাজার আলীর ছেলে মো. রাশেদ (২০) ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায় হাতপা চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি, যা এলাকাবাসী সবাই জেনে গেছে।
এখন আমি বাড়ির বাহিরে বের হতে পারি না। মাদ্রাসায় যেতে পারি না। আমাকে যদি ওই ছেলে বিয়ে না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। ওই তরুণীর মা বলেন, ছোট মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। বাড়িতে আমার বড় মেয়ে একা ছিল। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে এসে দেখি সামনের দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে ওই ছেলে।
পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি দুজন উলঙ্গ অবস্থায়। তখন ওই ছেলেকে আটকে রাখার চেষ্টা করি। তখন সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। ছেলে পক্ষ টাকা দিয়ে নেতা ধরছে। তাই তারা কোনো সালিশ মানে না। এখন আমরা আইনের কাছে বিচার চাইবো। ওই ভুক্তভোগী তরুণীর চাচা বলেন, চেয়ারম্যান দুই পক্ষ নিয়ে বসে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে ছেলে পক্ষ টাকার বিনিয়মে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেছেন। তাই তারা বিচার মানে না। এবিষয়ে অভিযুক্ত ছেলের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা জানিয়েছেন তাকে ( ছেলেকে) ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। ছেলের বাবা আজাহার আলী বলেন, আমরা একই বাড়ির মানুষ। আমার ছেলে নেট ঠিক করতে গেছেন।
কোনো অপকর্ম করেনি। তার ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এবিষয়ে ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের পরিবার পরিষদে আসছিল। নারী ও দমন আইন অনুযায়ী এর বিচার আদালতের মাধ্যমে হয়, সালিশের মাধ্যমে নয়। তাই তাদের আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এবিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর বাউফলে মোবাইলে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে জোরপর্বূক এক তরুণীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণিরশিক্ষার্থী। তার বাবা পেশায় একজন জেলে। এ ঘটনা দামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রভাব বিস্তার করছেন বলেন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার দিন (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে ওই তরণীর মা ডাক্তারের কাছে। এ সময় সে (তরুণী) ঘরে একা ছিল।
এই সুযোগে ইন্টারনেট ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে একই বাড়ির আহাজার আলীর ছেলে মো. রাশেদ (২০) ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায় হাতপা চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি, যা এলাকাবাসী সবাই জেনে গেছে।
এখন আমি বাড়ির বাহিরে বের হতে পারি না। মাদ্রাসায় যেতে পারি না। আমাকে যদি ওই ছেলে বিয়ে না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। ওই তরুণীর মা বলেন, ছোট মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। বাড়িতে আমার বড় মেয়ে একা ছিল। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে এসে দেখি সামনের দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে ওই ছেলে।
পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি দুজন উলঙ্গ অবস্থায়। তখন ওই ছেলেকে আটকে রাখার চেষ্টা করি। তখন সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। ছেলে পক্ষ টাকা দিয়ে নেতা ধরছে। তাই তারা কোনো সালিশ মানে না। এখন আমরা আইনের কাছে বিচার চাইবো। ওই ভুক্তভোগী তরুণীর চাচা বলেন, চেয়ারম্যান দুই পক্ষ নিয়ে বসে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে ছেলে পক্ষ টাকার বিনিয়মে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেছেন। তাই তারা বিচার মানে না। এবিষয়ে অভিযুক্ত ছেলের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা জানিয়েছেন তাকে ( ছেলেকে) ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। ছেলের বাবা আজাহার আলী বলেন, আমরা একই বাড়ির মানুষ। আমার ছেলে নেট ঠিক করতে গেছেন।
কোনো অপকর্ম করেনি। তার ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এবিষয়ে ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের পরিবার পরিষদে আসছিল। নারী ও দমন আইন অনুযায়ী এর বিচার আদালতের মাধ্যমে হয়, সালিশের মাধ্যমে নয়। তাই তাদের আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এবিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৬
পটুয়াখালীর বাউফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের দেশের অবদান তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী প্রচারণা শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সারে ৪টার সময় বাউফল পাবলিক মাঠ সংলগ্ন রিস্কা স্টান্ড থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের প্রায় সহস্রাধিক হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে প্রতিদিন এই প্রচারণা চালানো হবে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ধানের শীষ প্রতীকের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্যামুয়েল আহম্মেদ লেনিন বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জনের জন্য আমরা ঘরে ঘরে প্রচারণা চালাচ্ছি।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে আমরা একটি বিশেষ টিম গঠন করেছি। এই টিম প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বাজারে ধারাবাহিকভাবে প্রচারণা চালাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সাধারণ মানুষের সমর্থন বৃদ্ধি করা। নির্বাচন হবে প্রতীকে, তাই বাউফলে কে প্রার্থী হবেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধানের শীষকে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলের ঐক্য বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে লেনিন বলেন, “গ্রুপিং ভুলে সবাইকে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ২০০১ সালের মতো বাউফল আবারও বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রজেক্টরভিত্তিক এই প্রচারণার পাশাপাশি শিগগিরই ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা বিএনপি।
পটুয়াখালীর বাউফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের দেশের অবদান তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী প্রচারণা শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সারে ৪টার সময় বাউফল পাবলিক মাঠ সংলগ্ন রিস্কা স্টান্ড থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের প্রায় সহস্রাধিক হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে প্রতিদিন এই প্রচারণা চালানো হবে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ধানের শীষ প্রতীকের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্যামুয়েল আহম্মেদ লেনিন বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জনের জন্য আমরা ঘরে ঘরে প্রচারণা চালাচ্ছি।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে আমরা একটি বিশেষ টিম গঠন করেছি। এই টিম প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বাজারে ধারাবাহিকভাবে প্রচারণা চালাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সাধারণ মানুষের সমর্থন বৃদ্ধি করা। নির্বাচন হবে প্রতীকে, তাই বাউফলে কে প্রার্থী হবেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধানের শীষকে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলের ঐক্য বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে লেনিন বলেন, “গ্রুপিং ভুলে সবাইকে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ২০০১ সালের মতো বাউফল আবারও বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রজেক্টরভিত্তিক এই প্রচারণার পাশাপাশি শিগগিরই ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা বিএনপি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.