০৫ জুলাই, ২০২৫ ১১:৪৪
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত আরও ৬২৫ বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে তুর্কিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। শুক্রবারের হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ৩৫টির বেশি রক্তাক্ত গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই আমেরিকার মধ্যস্থতায় দখলদার নেতানিয়াহু প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গাজার শাসক দল হামাসের আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের হামাস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন- ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলোতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও জানান, দুই মাস সময়ের মধ্যে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রটি যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চলবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বারবার বলেছেন, হামাসকে অবশ্যই অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। যদিও তার এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে এখন পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানিয়েছে গাজার শাসক দলটি।
ওয়াশিংটনে আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। হোয়াইট হাউজে শুক্রবার সকালে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমরা জানতে পারব।’
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ অবকাঠামো।
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত আরও ৬২৫ বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে তুর্কিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। শুক্রবারের হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ৩৫টির বেশি রক্তাক্ত গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই আমেরিকার মধ্যস্থতায় দখলদার নেতানিয়াহু প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গাজার শাসক দল হামাসের আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের হামাস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন- ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলোতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও জানান, দুই মাস সময়ের মধ্যে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রটি যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চলবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বারবার বলেছেন, হামাসকে অবশ্যই অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। যদিও তার এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে এখন পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানিয়েছে গাজার শাসক দলটি।
ওয়াশিংটনে আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। হোয়াইট হাউজে শুক্রবার সকালে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমরা জানতে পারব।’
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ অবকাঠামো।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৩৫
ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙ্গে চারটি গাড়ি মহিসাগর নদীতে পড়ে যাওয়ার মতো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে ভদোদরা জেলায় এ ঘটনায় ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ওই সময় সেতুটি দিয়ে ২টি ট্রাক, ১টি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার পার হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ করে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে এবং গাড়িগুলো নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
জানা যায়, এই সেতুতে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি চলাচল করত। তার মধ্যে ভারী পণ্যবাহী লরি যেমন থাকত, তেমনই ছিল ছোট-বড় গাড়ি। নিত্যদিন যানজট লেগে থাকত। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু দিয়ে যাতায়াত দিন দিন ভয়ের হয়ে উঠছিল। যানজট তো লেগেই থাকত। এখন ওই সেতু সুইসাইড পয়েন্ট! নিত্যদিন দুর্ঘটনা হয়। সেতুর অবস্থা নড়বড়ে। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেননি কেউ।’
বুধবার দুর্ঘটনার সময় যে সব ছবি এবং ভিডিও দেখা গেছে- তা এককথায় ভয়ঙ্কর। দেখা যায়, সেতুর একটি গোটা অংশ নিমেষে ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। একের পর এক গাড়ি নদীতে পড়ে। একটি তেলের ট্যাঙ্কার সেতুর কোণে ছিল, একটুর জন্য এটি রক্ষা পেয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হঠাৎ বিকট আওয়াজ পেলাম। আমার চোখের সামনেই চার-চারটি গাড়ি নদীতে পড়ল। দুটো লরি, একটি বোলেরো এবং একটি পিক আপ ভ্যান সেতু থেকে পড়ল...।’
ভদোদরা প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে সেতু বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। ক্রেন, ডুবুরি লাগানো হয়েছে উদ্ধারকাজে। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ প্যাটেল অবশ্য দাবি করেছেন, রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিয়েছিল সরকার। তিনি বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু তৈরি হয় ১৯৮৫ সালে। প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছে। বিপর্যয়ের আসল কারণ খোঁজা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতু বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২ লাখ করে রুপি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার করে।
ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙ্গে চারটি গাড়ি মহিসাগর নদীতে পড়ে যাওয়ার মতো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে ভদোদরা জেলায় এ ঘটনায় ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ওই সময় সেতুটি দিয়ে ২টি ট্রাক, ১টি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার পার হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ করে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে এবং গাড়িগুলো নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
জানা যায়, এই সেতুতে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি চলাচল করত। তার মধ্যে ভারী পণ্যবাহী লরি যেমন থাকত, তেমনই ছিল ছোট-বড় গাড়ি। নিত্যদিন যানজট লেগে থাকত। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু দিয়ে যাতায়াত দিন দিন ভয়ের হয়ে উঠছিল। যানজট তো লেগেই থাকত। এখন ওই সেতু সুইসাইড পয়েন্ট! নিত্যদিন দুর্ঘটনা হয়। সেতুর অবস্থা নড়বড়ে। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেননি কেউ।’
বুধবার দুর্ঘটনার সময় যে সব ছবি এবং ভিডিও দেখা গেছে- তা এককথায় ভয়ঙ্কর। দেখা যায়, সেতুর একটি গোটা অংশ নিমেষে ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। একের পর এক গাড়ি নদীতে পড়ে। একটি তেলের ট্যাঙ্কার সেতুর কোণে ছিল, একটুর জন্য এটি রক্ষা পেয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হঠাৎ বিকট আওয়াজ পেলাম। আমার চোখের সামনেই চার-চারটি গাড়ি নদীতে পড়ল। দুটো লরি, একটি বোলেরো এবং একটি পিক আপ ভ্যান সেতু থেকে পড়ল...।’
ভদোদরা প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে সেতু বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। ক্রেন, ডুবুরি লাগানো হয়েছে উদ্ধারকাজে। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ প্যাটেল অবশ্য দাবি করেছেন, রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিয়েছিল সরকার। তিনি বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু তৈরি হয় ১৯৮৫ সালে। প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছে। বিপর্যয়ের আসল কারণ খোঁজা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতু বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২ লাখ করে রুপি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার করে।
০৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:২৮
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-বিরোধী সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চলমান এই সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির হাজার হাজার শরণার্থী পালিয়ে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের কৌশলগত বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেদিন থেকেই চিন রাজ্যের হাজার হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকতে শুরু করেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, চিন রাজ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় ৪ হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে পাড়ি জমিয়েছেন।
মিয়ানমারের চিন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকা বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। মিজোরামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন জনগোষ্ঠীর জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে মিজোরাম।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা মিয়ানমারের নতুন শরণার্থীদের ওই রাজ্যে পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা ৩ হাজার হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাপদাঙ্গা বলেন, ‘‘চিন রাজ্যের এই সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ চলে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের পানি, খাদ্য ও আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি।’’
আর ভারতীয় ওই নিরাপত্তা বলেছেন, রোববার রাত পর্যন্ত রাজ্যের চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামে মোট ৩ হাজার ৯৮০ জন শরণার্থীকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের এই সংখ্যা প্রাথমিক এবং ক্রমাগত তা পরিবর্তন হচ্ছে। শুরুতে অল্প-সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন। তবে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করায় ও সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় আরও বেশিসংখ্যক মানুষ আসতে শুরু করেন। এই বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রকে টেলিফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স।
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-বিরোধী সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চলমান এই সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির হাজার হাজার শরণার্থী পালিয়ে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের কৌশলগত বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেদিন থেকেই চিন রাজ্যের হাজার হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকতে শুরু করেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, চিন রাজ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় ৪ হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে পাড়ি জমিয়েছেন।
মিয়ানমারের চিন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকা বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। মিজোরামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন জনগোষ্ঠীর জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে মিজোরাম।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা মিয়ানমারের নতুন শরণার্থীদের ওই রাজ্যে পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা ৩ হাজার হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাপদাঙ্গা বলেন, ‘‘চিন রাজ্যের এই সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ চলে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের পানি, খাদ্য ও আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি।’’
আর ভারতীয় ওই নিরাপত্তা বলেছেন, রোববার রাত পর্যন্ত রাজ্যের চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামে মোট ৩ হাজার ৯৮০ জন শরণার্থীকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের এই সংখ্যা প্রাথমিক এবং ক্রমাগত তা পরিবর্তন হচ্ছে। শুরুতে অল্প-সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন। তবে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করায় ও সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় আরও বেশিসংখ্যক মানুষ আসতে শুরু করেন। এই বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রকে টেলিফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স।
০৬ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৩০
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তিনি জানান, ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। দলটিকে তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নাটকীয় বিরোধে জড়িয়ে পড়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এ ঘোষণা দিলেন তিনি। তবে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্ম নেওয়ায় মাস্ক নিজে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য। দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তাও উল্লেখ করেননি তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর সময়ই মাস্ক প্রথম এই দল গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং তার সাবেক মিত্র ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন।
সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক্স-এ একটি মতামত জরিপ চালান, যেখানে তিনি অনুসারীদের জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কি না। শনিবার সেই জরিপের প্রসঙ্গ টেনে মাস্ক লেখেন, ‘জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ নতুন দল চেয়েছেন এবং সেটাই আপনারা পেতে চলেছেন!’
এক্সে তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশকে অপচয় ও দুর্নীতিতে দেউলিয়া করে ফেলার ক্ষেত্রে আমরা একদলীয় শাসনে বাস করি, কোনও প্রকৃত গণতন্ত্রে নয়। আজ আমেরিকা পার্টি গঠিত হলো আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে।’
শনিবার পর্যন্ত দলটির নিবন্ধনের কোনো কাগজপত্র যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইলেকটোরাল কমিশন প্রকাশ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত দুই প্রধান দলের বাইরে থেকে রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলার চেষ্টা আগে অনেকেই করেছেন। তবে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বাস্তব হুমকি হয়ে ওঠা তাদের জন্য বরাবরই কঠিন হয়েছে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিবার্টারিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টি এবং পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ট্রাম্প বা তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ঠেকাতে ব্যর্থ হন।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাস্ক গত বছর নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের সঙ্গে নাচতেও দেখা গেছে তাকে। এমনকি তার চার বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে সাক্ষাৎ করেন।
মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান আর্থিক পৃষ্ঠপোষকও। তিনি ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচনের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ নামে একটি নতুন দফতরের প্রধান করা হয়। দফতরটির কাজ ছিল ফেডারেল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁটের পরিকল্পনা করা।
তবে মে মাসে মাস্ক প্রশাসন ত্যাগ করলে এবং ট্রাম্পের কর ও ব্যয় পরিকল্পনার প্রকাশ্য সমালোচনা করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত এই বিল সম্প্রতি কংগ্রেসে খুব অল্প ব্যবধানে পাস হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিলটিতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বরাদ্দ এবং কর ছাড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং আগামী এক দশকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতিতে অতিরিক্ত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি যুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘বিলটি যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে।’ টেসলার মালিক হিসেবে মাস্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিলটিতে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বা ইলেকট্রিক গাড়ির মতো পণ্যের জন্য কোনও প্রণোদনা রাখা হয়নি।
ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘ইতিহাসে কোনও মানুষ এত বেশি ভর্তুকি পেয়েছেন বলে জানা যায় না, যতটা মাস্ক পেয়েছেন। ভর্তুকি ছাড়া ইলন সম্ভবত দোকান বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতেন।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি দক্ষতা বিভাগকে মাস্কের কোম্পানিগুলোর জন্য দেওয়া ভর্তুকি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হবে। ট্রাম্প মাস্কের অন্যান্য ব্যবসার দিকেও ইঙ্গিত করেন।
এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন এবং ট্রাম্পের করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধি বিলের সমর্থন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের পরবর্তী নির্বাচনে হারাতে অর্থ ব্যয় করবেন।
রিপাবলিকানদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তিনি জানান, ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। দলটিকে তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নাটকীয় বিরোধে জড়িয়ে পড়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এ ঘোষণা দিলেন তিনি। তবে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্ম নেওয়ায় মাস্ক নিজে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য। দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তাও উল্লেখ করেননি তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর সময়ই মাস্ক প্রথম এই দল গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং তার সাবেক মিত্র ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন।
সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক্স-এ একটি মতামত জরিপ চালান, যেখানে তিনি অনুসারীদের জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কি না। শনিবার সেই জরিপের প্রসঙ্গ টেনে মাস্ক লেখেন, ‘জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ নতুন দল চেয়েছেন এবং সেটাই আপনারা পেতে চলেছেন!’
এক্সে তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশকে অপচয় ও দুর্নীতিতে দেউলিয়া করে ফেলার ক্ষেত্রে আমরা একদলীয় শাসনে বাস করি, কোনও প্রকৃত গণতন্ত্রে নয়। আজ আমেরিকা পার্টি গঠিত হলো আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে।’
শনিবার পর্যন্ত দলটির নিবন্ধনের কোনো কাগজপত্র যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইলেকটোরাল কমিশন প্রকাশ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত দুই প্রধান দলের বাইরে থেকে রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলার চেষ্টা আগে অনেকেই করেছেন। তবে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বাস্তব হুমকি হয়ে ওঠা তাদের জন্য বরাবরই কঠিন হয়েছে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিবার্টারিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টি এবং পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ট্রাম্প বা তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ঠেকাতে ব্যর্থ হন।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাস্ক গত বছর নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের সঙ্গে নাচতেও দেখা গেছে তাকে। এমনকি তার চার বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে সাক্ষাৎ করেন।
মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান আর্থিক পৃষ্ঠপোষকও। তিনি ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচনের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ নামে একটি নতুন দফতরের প্রধান করা হয়। দফতরটির কাজ ছিল ফেডারেল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁটের পরিকল্পনা করা।
তবে মে মাসে মাস্ক প্রশাসন ত্যাগ করলে এবং ট্রাম্পের কর ও ব্যয় পরিকল্পনার প্রকাশ্য সমালোচনা করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত এই বিল সম্প্রতি কংগ্রেসে খুব অল্প ব্যবধানে পাস হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিলটিতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বরাদ্দ এবং কর ছাড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং আগামী এক দশকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতিতে অতিরিক্ত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি যুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘বিলটি যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে।’ টেসলার মালিক হিসেবে মাস্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিলটিতে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বা ইলেকট্রিক গাড়ির মতো পণ্যের জন্য কোনও প্রণোদনা রাখা হয়নি।
ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘ইতিহাসে কোনও মানুষ এত বেশি ভর্তুকি পেয়েছেন বলে জানা যায় না, যতটা মাস্ক পেয়েছেন। ভর্তুকি ছাড়া ইলন সম্ভবত দোকান বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতেন।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি দক্ষতা বিভাগকে মাস্কের কোম্পানিগুলোর জন্য দেওয়া ভর্তুকি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হবে। ট্রাম্প মাস্কের অন্যান্য ব্যবসার দিকেও ইঙ্গিত করেন।
এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন এবং ট্রাম্পের করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধি বিলের সমর্থন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের পরবর্তী নির্বাচনে হারাতে অর্থ ব্যয় করবেন।
রিপাবলিকানদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.