১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:১৫
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সরকারি আবুল কালাম কলেজে বর্ণাঢ্য নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কলেজের একাদশ শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কলেজ ক্যাম্পাসকে মাদক ও স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই নবীন বরণ ও বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ইসহাক শরীফ। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক তারকা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেলের সঞ্চালনায় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যাপক অনুপম রায়, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রোকন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম বাহাদুর, আলী হোসেন, রোজিনা আক্তার, সেলিম হোসেন, রাকুদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান তালেব, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এইচ.এম রিয়াজ মাহমুদ, কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ হাসান হৃদয়, সম্পাদক আব্দুল্লাহ নুর নোমান, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সম্পাদক তাজিম আহমেদ, কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি রাকিব শিকদার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান বলেন, 'বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করার পরে একজন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক হিসেবে আমাকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত এবং স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখতে চাই। মাদকের থাবা এবং মোবাইলের আসক্তি আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিচ্ছে স্মার্টফোন। ছাত্র ও যুবসমাজের জীবনীশক্তি ধ্বংস করে দিয়ে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদক। তাই মাদক এবং মোবাইলের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, তাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।'
নবীন বরণ ও শিক্ষার্থী সংবর্ধনা শেষে কলেজ মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বরিশালের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সজীব আহমেদ ও তার ছোঁয়া ব্যান্ডদল। এসময় উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধে গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠান মাতান নব্বই দশকের জনপ্রিয় এভারগ্রীণ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা অতিথি কণ্ঠশিল্পী ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। নব্বই দশকে ভারতীয় আগ্রাসন ও পানিচুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে গণআন্দোলনের থিম সং এভারগ্রীণ ব্যান্ডের 'ভেঙে দাও ফারাক্কা' নামের প্রতিবাদী গান এবং তুমুল জনপ্রিয় নন্দিনীসহ নিজের স্বরচিত কয়েকটি গান গেয়ে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা করেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, আবৃত্তিকার, নাট্যনির্মাতা ও সরকারি আবুল কালাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। #
বাবুগঞ্জে সরকারি আবুল কালাম কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সরকারি আবুল কালাম কলেজে বর্ণাঢ্য নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কলেজের একাদশ শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কলেজ ক্যাম্পাসকে মাদক ও স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই নবীন বরণ ও বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ইসহাক শরীফ। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক তারকা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেলের সঞ্চালনায় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যাপক অনুপম রায়, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রোকন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম বাহাদুর, আলী হোসেন, রোজিনা আক্তার, সেলিম হোসেন, রাকুদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান তালেব, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এইচ.এম রিয়াজ মাহমুদ, কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ হাসান হৃদয়, সম্পাদক আব্দুল্লাহ নুর নোমান, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সম্পাদক তাজিম আহমেদ, কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি রাকিব শিকদার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সরকারি আবুল কালাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম আহসান খান বলেন, 'বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করার পরে একজন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক হিসেবে আমাকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত এবং স্মার্টফোনের অপব্যবহার মুক্ত রাখতে চাই। মাদকের থাবা এবং মোবাইলের আসক্তি আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিচ্ছে স্মার্টফোন। ছাত্র ও যুবসমাজের জীবনীশক্তি ধ্বংস করে দিয়ে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদক। তাই মাদক এবং মোবাইলের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, তাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।'
নবীন বরণ ও শিক্ষার্থী সংবর্ধনা শেষে কলেজ মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বরিশালের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সজীব আহমেদ ও তার ছোঁয়া ব্যান্ডদল। এসময় উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধে গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠান মাতান নব্বই দশকের জনপ্রিয় এভারগ্রীণ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা অতিথি কণ্ঠশিল্পী ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। নব্বই দশকে ভারতীয় আগ্রাসন ও পানিচুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে গণআন্দোলনের থিম সং এভারগ্রীণ ব্যান্ডের 'ভেঙে দাও ফারাক্কা' নামের প্রতিবাদী গান এবং তুমুল জনপ্রিয় নন্দিনীসহ নিজের স্বরচিত কয়েকটি গান গেয়ে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা করেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, আবৃত্তিকার, নাট্যনির্মাতা ও সরকারি আবুল কালাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল। #
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।
জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৩
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.