https://joinnavy.navy.mil.bd/

পটুয়াখালী

হাসপাতালে ৬৫১ কোটি টাকায় ভবন, তবু মেঝেতে চিকিৎসা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হাসপাতালে ৬৫১ কোটি টাকায় ভবন, তবু মেঝেতে চিকিৎসা

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী।

জানা গেছে, ৫৪৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। তখন নির্ধারণ ছিল, ২০২০ সাল নাগাদ হাসপাতালটি চালু করা হবে। কিন্তু করোনা মহামারি, নির্মাণসংক্রান্ত ত্রুটি, বিদ্যুৎ-সংযোগের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে কাজ বারবার পিছিয়ে যায়।

বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫১ কোটি টাকা এবং নতুন সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায় ঝালকাঠির খান বিল্ডার্স ও বঙ্গ বিল্ডার্স (জেভি)। কাজ বাস্তবায়ন করেন ঠিকাদার নাসির খান।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ভবনের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনো ভবনে বিদ্যুৎ-সংযোগ ও অক্সিজেন সরবরাহ লাইন স্থাপিত হয়নি। এসব কারণে হাসপাতাল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগে হস্তান্তর হয়নি। ফলে পাশের পুরোনো ২৫০ শয্যার হাসপাতালেই ৩ গুণ রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শয্যাসংকটের কারণে অনেক রোগীকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। এ সময় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি এক শিশুর মা নিলুফা বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, একটা বেডে তিনটা বাচ্চা আর তাদের মায়েদের থাকতে হচ্ছে। এই কষ্ট কোনোভাবেই সহনীয় নয়। একই কষ্টের কথা জানান আরেক রোগীর স্বজন শেফালী বেগম ও সিরাজ মিয়া। সিরাজ বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংটা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আমরা মেঝেতে। এটা খুবই দুঃখজনক।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ‘নতুন ভবনটি চালু হলে আমরা ৫০০ শয্যার সুবিধা দিতে পারব। এতে করে রোগীদের চাপ অনেকটাই কমে আসবে। আমরা আগেও শুনেছিলাম, জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তর হবে, কিন্তু এখন জুলাইয়ের শেষ দিকেও তা হয়নি।

প্রতি মাসেই শুনছি, দুই সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে হস্তান্তর হবে। বাস্তবে ভেতরের অবকাঠামো ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সাবস্টেশন ও অক্সিজেনের লাইন স্থাপন এখনো চলছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভবনটি বুঝে পাব।’

এ বিষয়ে ঠিকাদার নাসির খানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, ‘নানা কারণে কাজ পিছিয়েছে। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ পেলে নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষ করেছি। এখন বড় বাধা বিদ্যুৎ-সংযোগ। এর জন্য আমাদের সাবস্টেশন দরকার ছিল, সেটিও এনে ফেলেছি। অনুমোদন ও সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগের খুলনার প্রধান কার্যালয়ে রয়েছে। অনুমোদন পেলেই ১৫-২০ দিনের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।’

আরও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পটুয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।

 জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।

জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
 এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
 
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা

এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।

২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।

পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।

শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।

শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।

জেলের জালে ধরা পড়লো ২১ কেজির 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জেলের জালে ধরা পড়লো ২১ কেজির 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।

এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.