Bkash

বরিশাল

বরিশাল শিল্পকলায় সিলেটের সেই ফ্যাসিবাদের দোসর অসিত বরণ দাস

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ জুন, ২০২৫ ২৩:৫৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশাল শিল্পকলায় সিলেটের সেই ফ্যাসিবাদের দোসর অসিত বরণ দাস

ফ্যাসিবাদের দোসর, অনিয়ম, দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা, নারী শ্লীলতাহানি ও শিল্পী-সম্মানী আত্মসাতের অভিযোগে সিলেট থেকে বদলি হয়ে বরিশালে এসেছেন বরিশাল শিল্পকলার জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাসগুপ্ত। সিলেটেও তিনি ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার। ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সিলেট থেকে তাকে বদলি করতে বাধ্য হয় শিল্পকলার তৎকালীন মহাপরিচালক। কেননা ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে তার অপকর্মের জন্য সিলেট জেলার প্রায় সকলেই ফুঁসে উঠেছিল।

এমনকি সরকার পরিবর্তনের পর সিলেটের পুণ্যভূমি থেকে আন্দোলনের পর বরিশালে বদলি করা হয়। সিলেটে থাকাকালীন সময়ে অসিতের বিরুদ্ধে অনেক গুণি সংস্কৃতিজনদের অপমান, দুর্নীতি, অনিয়ম, নারীর প্রতি অশালীন আচরণ, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল।  সেই অসিত এখন বরিশাল শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কালচারাল অফিসার।

আওয়ামী সরকারের সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও নারীর প্রতি অশোভন আচরণের কারণে তার বিরুদ্ধে সিলেটে একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। অসিতের বিরুদ্ধে সিলেট শিল্পকলা মিলনায়তন বরাদ্দসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অযাচিত হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেটের নাট্যকর্মীসহ সংস্কৃতিকর্মীদের একটা বড় অংশ গত বছর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। লাগাতার আন্দোলন করেছিলেন।

সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে অসিত বরণ দাসগুপ্তের সিলেটে থাকার মতো অবস্থা ছিল না। তৎকালীন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ অসিত বরুণ দাসগুপ্তকে বরিশালে বদলি করেন।

তিনি বরিশালে এসেই চাকরি বাদ দিয়ে গ্রুপিং শুরু করেছেন। নিজেকে ভাবেন শিল্পকলার মালিক হিসেবে। তার কাজের ধরণ, ভঙ্গি- সংস্কৃতিকর্মীদের থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তিনি মালিক মনোভব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে চান।

লিয়াকত আলী লাকী শিল্পকলার মহাপরিচালক থাকার সময়, ক্ষমতার দাপট ও অপকর্মের জন্য  কেউ পছন্দ করেনি। লাকীর আস্থাভাজন হিসেবে অসিত বরণ দাসগুপ্ত দেশের শ্রেষ্ঠ কালচারাল অফিসারের পুরস্কারও পান। বরিশালে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি অসিতকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বলে সাধারণ সংস্কৃতিকর্মীরা জানান।

যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা তাকে সিলেট থেকে তাড়াতে আন্দোলন করেন, তখন অসিত বরুণকে পুরস্কৃত করা হয়। সেই একই বন্দোবস্ত কি বরিশালেও চলবে? এমন প্রশ্ন তাদের।

সংস্কৃতিকর্মীদের অভিযোগ অসিত একজন চরম সাম্প্রদায়িক ও স্বজন, গোত্র প্রিয় মানুষ।তিনি বরিশালে যোগদান করেই ফ্যাসিবাদের লোকজনদের জড়ো করে নিরাপদ স্থান তৈরি করছেন শিল্পকলা অ্যাকাডেমিকে। বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি এখন ফ্যাসিস্ট ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিরাপদ জায়গা।

ফ্যাসিবাদের দোসর অসিতের ব্যাপারে বরিশালের ছাত্র -জনতা ও জাতীয়তাবাদ আদর্শের লোকজনের পদক্ষেপ দ্রুত দেখতে চায় সংস্কৃতিকর্মীরা।

এ ব্যাপারে সিলেট থেকে আন্দোলনের মুখে চলে আসা বরিশাল শিল্পকলার কালচারাল অফিসার অসিত বরন দাস গুপ্ত বলেন, বদলি হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই।৩৫ জনের সাথে আমাকে বদলি করা হয়।সরকারের নির্দেশ মেনে কাজ করেছি।আমাকে যারা অপছন্দ করতো তারাই আমার বিরুদ্ধে সিলেটে আন্দোলন করেছে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, নারী শ্লীলতাহানি, শিল্পী-সম্মানী আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ এনে সিলেট জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের অপসারণ দাবি করে সিলেটের ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’। এ দাবিতে তারা গণ স্বাক্ষর অভিযান শুরু করে২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।  সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে তারা স্মারকলিপি সহ গণস্বাক্ষরের কপি হস্তান্তর করেন।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেন গণস্বাক্ষর কর্মসূচির অন্যতম সমন্বয়ক কবি, নাট্যকার সুফি সুফিয়ান। সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সিলেট জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত শুরু থেকেই নানান অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। তার স্বেচ্ছাচারী ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য ২০১৬ সালে শিল্পকলার সকল প্রশিক্ষক কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন।

সেখানে ছিলেন সংগীত গুরু হিমাংশু বিশ্বাস, প্রবীণ চিত্রশিল্পী অরবিন্দ দাস গুপ্ত, গীতবিতান বাংলাদেশ সিলেটের অধ্যক্ষ ও সংগীত প্রশিক্ষক অনিমেষ বিজয় চৌধুরীসহ প্রায় নয়জন। যাঁদের প্রত্যেকেই তাঁদের কর্মপরিধিতে বিখ্যাত। তাঁদের সাফ ঘোষণা ছিল-‘অসিত বরণ দাস গুপ্তের ব্যক্তিগত আচরণ, অফিসার সুলভ হম্বিতম্বি সুষ্ঠু অফিস পরিচালনায় ব্যর্থ। সিলেটে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে অসিতকে বরিশালে বদলি করা হয় সিলেট থেকে। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তিনি বরিশালে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন:

হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ এম ব্যারিস্টার মাসুম

সেলিম রাঢ়ী, হিজলা

সেলিম রাঢ়ী, হিজলা

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ এম ব্যারিস্টার মাসুম

বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা ডাকবাংলোয় হিজলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকার অসহায় দুঃস্থ গরিব মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন গরু ছাগল সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দান করে আসছেন।

জানাযায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা সহ অনেক প্রতিষ্ঠা করেন। এ এম বরিস্টার মাসুম মতবিনিময় সভায় বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে আকাঙ্ক্ষা আগামী নির্বাচনে ক্লিন দূর্নীতি মুক্ত দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আমি দলের জন্য যোগ্য মনে করি। তাছাড়া দলের জন্য তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মনে করবো।


বরিশালে ৯২ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ৯২ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলার ২১১নং দক্ষিণ শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন। আর তাদের পাঠদান করেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

অভিভাবকরা বলেছেন, মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় তিনি একাই সব শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে তাকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালগুনি গ্রামে ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯২ জন এবং শিক্ষক পদসংখ্যা ৬টি, এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, কাওসার হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক গত বছরের নভেম্বর থেকে পিটিআই ট্রেনিং করেছেন, অপর দুজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান আছেন ৬ মাস ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন শিক্ষক মাধবী আক্তার এক বছর ধরে সাসপেনশনে আছেন। বাকি দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একজন এবং সহকারী শিক্ষক একজনের পদ শূন্য রয়েছে।

বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই শিফটে ক্লাস হয়। কোনোভাবে চালাই। আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে স্কুল ছুটি দিয়ে যায়। এ ছাড়া করার তো আর কিছু নাই।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এই উপজেলায় দুই সপ্তাহ হলো যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।

বাবুগঞ্জে অসহায় শাহিনুরের পাশে মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবুগঞ্জে অসহায় শাহিনুরের পাশে মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ

পঞ্চাশোর্ধ শাহিনুর বেগমকে তার স্বামী ত্যাগ করেছেন বহুকাল আগেই। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তার ঠাঁই হয় পাংশা গ্রামের বাবার বাড়িতে। দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও শাহিনুর তার ছেলেকে ঘিরে বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন। ছেলে বড় হয়ে তার সব অভাব অনটন দূর করে দেবে। কিন্তু অভাগিনী যেদিকে তাকায় সেদিকে সাগরও নাকি শুকিয়ে যায়! শাহিনুর যখন ভেবেছিলেন ছেলে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেই সংসারের হাল ধরবে, ঠিক তখনই ছেলে রাহাত হাওলাদার (১৭) অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। প্রথমে জ্বীন-ভূতের আছর মনে করে ঝাড়ফুঁক করানো হয় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রাহাত এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার জানায়, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে হলে এক দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা দরকার। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে শাহিনুরের। যেখানে তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়, সেখানে সন্তানের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয়বহুল চিকিৎসা হবে কীভাবে?

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের শাহিনুর বেগমের দুঃখের গল্পটা ছিল এমনই। তবে এই কষ্টের গল্পটা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাবুগঞ্জের মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যার হৃদয় কেঁদে ওঠে সেই মানবিক ইউএনও এই খবর শুনে কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারেন? তিনি ছুটে যান শাহিনুর বেগমের জীর্ণ কুটিরে। তার দুরবস্থা দেখে তাকে একটি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শাহিনুর বেগমের হাতে তার সন্তানের চিকিৎসা অনুদানের সেই চেক তুলে দেন তিনি। ইউএনওর এই অনন্য মানবিক কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকেন বাবুগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই অনুদানের চেক বিতরণকালে বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুর রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাহিনুর বেগমকে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে খালি থাকা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্য থেকে তার সুবিধাজনক এলাকায় একটি ঘর বেছে নেওয়ার অপশন দেন মানবিক ইউএনও ফারুক আহমেদ। তবে শাহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ি পাংশা গ্রামেই থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে পৈত্রিক জমিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। সাধ্যমতো সেটা করে যেতে চাই। মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা অনেক। সব পূরণ করার ইচ্ছা থাকলেও আমার সাধ্য সীমিত। তবুও সবসময় চেষ্টা করি সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি বিধিবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের খেদমত করা যায়। স্বামী পরিত্যক্তা শাহিনুর বেগমের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেওয়া হয়েছে। এখন তার চাহিদা তাদের পৈত্রিক জমিতে একটি পাকা বসতঘর। ভবিষ্যতে জমি আছে ঘর নাই এমন ক্যাটাগরির জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.