১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৩৯
'নদী টিকলে টিকবে দেশ,নদী দখল ও দূষণকারীদের চিহ্নিত করুন, মৎস্য সম্পদ ও প্রকৃতি বাঁচাতে নদী দুষন ও দখলমুক্ত চাই, উপকূল বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধ চাই' নানা শ্লোগান নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস'র বাস্তবায়নে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা স্লুইজ বাজারে কয়েক শতাধিক মৎস্যজীবী ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছগির আলম, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, পদ্মা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল সরকার প্রমুখ।
এ সময় শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে নদী দুষন, দখল ও নদীর তলদেশ উচ্চতা হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাশাপাশি লবনাক্ত পানির কারনে উপকূলের কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিবছর জলোচ্ছ্বাসে কম-বেশি প্রাণহানিও হচ্ছে। পরিকল্পিত এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে এসব ক্ষতি থেকে মুক্তি মিলবে উপকূলবাসীর। টেকসই বেড়িবাঁধ এখন সময়ের দাবি।
'নদী টিকলে টিকবে দেশ,নদী দখল ও দূষণকারীদের চিহ্নিত করুন, মৎস্য সম্পদ ও প্রকৃতি বাঁচাতে নদী দুষন ও দখলমুক্ত চাই, উপকূল বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধ চাই' নানা শ্লোগান নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস'র বাস্তবায়নে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা স্লুইজ বাজারে কয়েক শতাধিক মৎস্যজীবী ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছগির আলম, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, পদ্মা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল সরকার প্রমুখ।
এ সময় শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে নদী দুষন, দখল ও নদীর তলদেশ উচ্চতা হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাশাপাশি লবনাক্ত পানির কারনে উপকূলের কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিবছর জলোচ্ছ্বাসে কম-বেশি প্রাণহানিও হচ্ছে। পরিকল্পিত এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে এসব ক্ষতি থেকে মুক্তি মিলবে উপকূলবাসীর। টেকসই বেড়িবাঁধ এখন সময়ের দাবি।
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:০৫
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৪৯
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৪৮
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:০২
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৪৭
বরগুনার বামনায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ । সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। ঘন্টা ব্যাপি চলা মানববন্ধনে প্রভাষক মোঃ জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বামনা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অবঃ অধ্যক্ষ সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির বামনা উপজেলা আমির হাফেজ মাওঃ মোঃ সাইদুর রহমান, বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান, বামনা সদর আর রশিদ ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যাক্ষ মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নুর হোসেন, খোলপটুয়া মাহমুদিয়া আলিম মাদ্ধসঢ়;রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ আবু জাফর, লক্ষীপুরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ মোঃ মফিদুল ইসলাম, লতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
বরগুনার বামনায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ । সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। ঘন্টা ব্যাপি চলা মানববন্ধনে প্রভাষক মোঃ জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বামনা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অবঃ অধ্যক্ষ সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির বামনা উপজেলা আমির হাফেজ মাওঃ মোঃ সাইদুর রহমান, বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান, বামনা সদর আর রশিদ ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যাক্ষ মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নুর হোসেন, খোলপটুয়া মাহমুদিয়া আলিম মাদ্ধসঢ়;রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ আবু জাফর, লক্ষীপুরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ মোঃ মফিদুল ইসলাম, লতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৫০
বরগুনার আমতলীতে পুকুরের পানিতে ডুবে আয়েশা মনি নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আয়েশা মনি গোসলের জন্য বাড়ির সামনের পুকুরে নামার পর পানিতে তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা তাকে কোথাও না দেখে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে।
পরে বাড়ির সামনের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশু আয়েশা মনিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, পানিতে ডুবে এক শিশু নিহতের ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ না থাকায় দাফনের জন্য মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলীতে পুকুরের পানিতে ডুবে আয়েশা মনি নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আয়েশা মনি গোসলের জন্য বাড়ির সামনের পুকুরে নামার পর পানিতে তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পরিবারের সদস্যরা তাকে কোথাও না দেখে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে।
পরে বাড়ির সামনের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশু আয়েশা মনিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, পানিতে ডুবে এক শিশু নিহতের ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ না থাকায় দাফনের জন্য মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
০৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৪০
বরগুনায় মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর বরগুনার পাথারঘাটা উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের শক দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং এলাচী বেগমের ছেলে সুজন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কবিরর তালুকদার প্রায় ৩০ বছর আগে মহিমা বেগমকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার চলছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন কবির।
মেয়ে রেখা বেগমকে বিয়ে দেওয়ার পর কবির মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে রেখা বাবা ও তার শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করে। ফলে শাশুড়ি এলাচী বেগম এবং স্বামী সুজন রেখার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
একপর্যায়ে রেখা ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার চার বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রী মহিমার অমতে মৃত মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কবির। তবে বিয়ে করলেও কবির প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিতে পারেননি।
আর এ কারণেই প্রথম স্ত্রী মহিমা বেগমকে বিভিন্ন দাবিতে নির্যাতন করতে শুরু করে করিব তালুকদার। একপর্যায়ে কবিরসহ দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম ও তার ছেলে সুজন মহিমা বেগমকে বিদ্যুতের শক দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মহিমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিমা বেগমের ছেলে হেলাল তালুকদার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং তার ছেলে সুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।
মামলার বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, ঘটনার দিন আমার অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যেতে বলেন আমার বাবা কবির তালুকদার। পরে আমার ছোট ভাইসহ আমি সেখানে গেলে খবর পাই বিদ্যুতের শক লেগে আমার মা মারা গেছেন।
তবে বাড়িতে গিয়ে শুনতে পাই মাকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় মামলা করলে আদালত আমার বাবাসহ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মায়ের হত্যায় জড়িত আমার বাবার ফাঁসির আদেশ হলেও সঠিক বিচার হওয়ায় আমি খুশি। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই ছেলে হয়ে আর কারো যেন কখনো কোনো বাবার বিরুদ্ধে যেতে না হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বিজ্ঞ আদালতে বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আসামিদেরকে মৃত্যদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ রায়ে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আমি সন্তুষ্ট।
বরগুনায় মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর বরগুনার পাথারঘাটা উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের শক দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং এলাচী বেগমের ছেলে সুজন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কবিরর তালুকদার প্রায় ৩০ বছর আগে মহিমা বেগমকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার চলছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন কবির।
মেয়ে রেখা বেগমকে বিয়ে দেওয়ার পর কবির মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে রেখা বাবা ও তার শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করে। ফলে শাশুড়ি এলাচী বেগম এবং স্বামী সুজন রেখার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
একপর্যায়ে রেখা ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার চার বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রী মহিমার অমতে মৃত মেয়ের শাশুড়ি এলাচী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কবির। তবে বিয়ে করলেও কবির প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিতে পারেননি।
আর এ কারণেই প্রথম স্ত্রী মহিমা বেগমকে বিভিন্ন দাবিতে নির্যাতন করতে শুরু করে করিব তালুকদার। একপর্যায়ে কবিরসহ দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম ও তার ছেলে সুজন মহিমা বেগমকে বিদ্যুতের শক দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মহিমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিমা বেগমের ছেলে হেলাল তালুকদার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কবির তালুকদার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং তার ছেলে সুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।
মামলার বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, ঘটনার দিন আমার অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যেতে বলেন আমার বাবা কবির তালুকদার। পরে আমার ছোট ভাইসহ আমি সেখানে গেলে খবর পাই বিদ্যুতের শক লেগে আমার মা মারা গেছেন।
তবে বাড়িতে গিয়ে শুনতে পাই মাকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় মামলা করলে আদালত আমার বাবাসহ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মায়ের হত্যায় জড়িত আমার বাবার ফাঁসির আদেশ হলেও সঠিক বিচার হওয়ায় আমি খুশি। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই ছেলে হয়ে আর কারো যেন কখনো কোনো বাবার বিরুদ্ধে যেতে না হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বিজ্ঞ আদালতে বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আসামিদেরকে মৃত্যদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ রায়ে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আমি সন্তুষ্ট।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.