
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৮
বরিশালে একদিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজনকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ স্বজনদের। অপর দুজনের মধ্যে একজনের মরদেহ আবাসিক হোটেল এবং অপরজনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক, বরিশাল নগরীর এবং উজিরপুর উপজেলা থেকে পৃথকভাবে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবক সাকিব হাওলাদার (১৮) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চরপাড়া ইউনিয়নের জসিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কলকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম হাওলাদারের (৪৫)। তিনি নগরীর ফলপট্টি রোডের আবাসিক হোটেল পার্ক এর নাইটগার্ড ছিলেন। অপরজন আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উজিরপুর উপজেলার কচা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্ব স্ব থানার পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটের পুল এলাকায় সাকিল হাওলাদার নামের যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সাকিলের বাবা জসিম হাওলাদার জানান, গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল শাকিল। এ বিষয়ে দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে থানা পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের স্বজনদের খবর দেয়।
সাকিলের বাবার অভিযোগ, নিখোঁজের সময় তার সঙ্গে অটোরিকশা ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেছেন জসিম হাওলাদার।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মুখমণ্ডল থ্যাঁতলানো এবং হাত-পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর ফলপট্টি রোডের আবাসিক হোটেল পার্ক থেকে নাইটগার্ড আব্দুল হাকিম হাওলাদারের মদেহ উদ্ধার করেছে মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম হাওলাদার হোটেল স্টাফসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, নাইটগার্ড আব্দুল হাকিম রাতে ডিউটিরত অবস্থায় অসুস্থতা বোধ করেন। এজন্য হোটেলের একটি রুমে বিশ্রাম নিতে যান তিনি। সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে আব্দুল হাকিমের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাকিমের মরদেহ রুমের মধ্যে দরজার পাশে উপুড় হয়ে পড়া ছিল। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু। তারপরও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মেয়ে নাহিদা আক্তার বলেন, বাবা রাতে অসুস্থবোধ করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নেওয়া বা চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করেনি। এমনকি তারা আমাদের পরিবারের কাউকেও খবরটি জানায়নি। বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে থাকলেও তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেউরী বাড়ি সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর শাখা কচা নদী থেকে ৩০ বছর বয়সি অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা কচা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম-পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বরিশালে একদিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজনকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ স্বজনদের। অপর দুজনের মধ্যে একজনের মরদেহ আবাসিক হোটেল এবং অপরজনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক, বরিশাল নগরীর এবং উজিরপুর উপজেলা থেকে পৃথকভাবে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবক সাকিব হাওলাদার (১৮) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চরপাড়া ইউনিয়নের জসিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কলকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম হাওলাদারের (৪৫)। তিনি নগরীর ফলপট্টি রোডের আবাসিক হোটেল পার্ক এর নাইটগার্ড ছিলেন। অপরজন আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উজিরপুর উপজেলার কচা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্ব স্ব থানার পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটের পুল এলাকায় সাকিল হাওলাদার নামের যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সাকিলের বাবা জসিম হাওলাদার জানান, গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল শাকিল। এ বিষয়ে দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে থানা পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের স্বজনদের খবর দেয়।
সাকিলের বাবার অভিযোগ, নিখোঁজের সময় তার সঙ্গে অটোরিকশা ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেছেন জসিম হাওলাদার।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মুখমণ্ডল থ্যাঁতলানো এবং হাত-পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর ফলপট্টি রোডের আবাসিক হোটেল পার্ক থেকে নাইটগার্ড আব্দুল হাকিম হাওলাদারের মদেহ উদ্ধার করেছে মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম হাওলাদার হোটেল স্টাফসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, নাইটগার্ড আব্দুল হাকিম রাতে ডিউটিরত অবস্থায় অসুস্থতা বোধ করেন। এজন্য হোটেলের একটি রুমে বিশ্রাম নিতে যান তিনি। সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে আব্দুল হাকিমের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাকিমের মরদেহ রুমের মধ্যে দরজার পাশে উপুড় হয়ে পড়া ছিল। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু। তারপরও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মেয়ে নাহিদা আক্তার বলেন, বাবা রাতে অসুস্থবোধ করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নেওয়া বা চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করেনি। এমনকি তারা আমাদের পরিবারের কাউকেও খবরটি জানায়নি। বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে থাকলেও তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেউরী বাড়ি সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর শাখা কচা নদী থেকে ৩০ বছর বয়সি অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা কচা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম-পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৩
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪১
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৮

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৮
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যাতে রাষ্ট্রের নজরদারি কাঠামোতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএসি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিচারিক ও জরুরি আইনানুগ ইন্টারসেপশনের বা নজরদারির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সংশাধনীর প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সংশোধনীতে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও সংশোধনী অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, জরুরি প্রাণরক্ষার প্রয়োজনে, বিচারিক বা তদন্তের প্রয়োজন এবং আন্তঃসীমান্ত সংক্রান্ত কাজে সুনির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে আইনানুগ ইন্টারসেপশন করতে পারবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সিম ও ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র ভবনে গঠিত হয় ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার – এনএমসি। পরে ২০১৩ সালে তা নাম বদলে এনটিএমসি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনেও সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এবং জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যাতে রাষ্ট্রের নজরদারি কাঠামোতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএসি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিচারিক ও জরুরি আইনানুগ ইন্টারসেপশনের বা নজরদারির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সংশাধনীর প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সংশোধনীতে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও সংশোধনী অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, জরুরি প্রাণরক্ষার প্রয়োজনে, বিচারিক বা তদন্তের প্রয়োজন এবং আন্তঃসীমান্ত সংক্রান্ত কাজে সুনির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে আইনানুগ ইন্টারসেপশন করতে পারবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সিম ও ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র ভবনে গঠিত হয় ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার – এনএমসি। পরে ২০১৩ সালে তা নাম বদলে এনটিএমসি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনেও সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এবং জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫২
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বখস চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। গেজেটে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে খোদা বখস চৌধুরীর পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ রাব্দুর রশীদ এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বরিশাল টাইমস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বখস চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। গেজেটে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে খোদা বখস চৌধুরীর পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ রাব্দুর রশীদ এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বরিশাল টাইমস

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ঘটনাস্থল হতে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেটসদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ভিকটিম শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডসংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমানযোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
উক্ত মমলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেটসদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদির ওপর দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১২০(বি)/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডের পাকা রাস্তার ওপর শরিফ ওসমান হাদির পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
আহত শরিফ ওসমান হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ঘটনাস্থল হতে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেটসদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ভিকটিম শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডসংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমানযোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
উক্ত মমলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেটসদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদির ওপর দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১২০(বি)/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডের পাকা রাস্তার ওপর শরিফ ওসমান হাদির পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
আহত শরিফ ওসমান হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.