০৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৮
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সাঁটানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনের দাবি, বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো কোনো অন্যায় নয়; বরং এটি তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোকে আমি গর্বের বিষয় মনে করি।’ এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
অনেকেই এটিকে স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাব বলেও মন্তব্য করছেন। আবার অনেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর বলেও আখ্যায়িত করেছেন ওই প্রধান শিক্ষিকাকে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং শিক্ষক সমাজের একাংশ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ও অন্য একটি পক্ষ এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার মোবাইলে ফোন দিলে তার স্বামী মো. হাফিজুর রহমান ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছে আপনার একটা চিঠি আছে। অফিসে এসে নিয়ে যাবেন। তবে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি।’
নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্কুলে আমরা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রিপোর্ট প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন। তদন্ত চলমান আছে, তদন্ত দোষী সাব্যস্ত হলে বিভাগীয় মামলাও হতে পারে। এমনকি স্থায়ীভাবে বহিষ্কারও হতে পারে।’
গত ৩ আগস্ট উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলাব্যাপী উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার বিরোধিতা করলে প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার বাবা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারব না।
পরে জনগণের তোপের মুখে সেই ছবি নামাতে বাধ্য হন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সাঁটানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনের দাবি, বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো কোনো অন্যায় নয়; বরং এটি তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোকে আমি গর্বের বিষয় মনে করি।’ এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
অনেকেই এটিকে স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাব বলেও মন্তব্য করছেন। আবার অনেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর বলেও আখ্যায়িত করেছেন ওই প্রধান শিক্ষিকাকে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং শিক্ষক সমাজের একাংশ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ও অন্য একটি পক্ষ এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার মোবাইলে ফোন দিলে তার স্বামী মো. হাফিজুর রহমান ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছে আপনার একটা চিঠি আছে। অফিসে এসে নিয়ে যাবেন। তবে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি।’
নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্কুলে আমরা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রিপোর্ট প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন। তদন্ত চলমান আছে, তদন্ত দোষী সাব্যস্ত হলে বিভাগীয় মামলাও হতে পারে। এমনকি স্থায়ীভাবে বহিষ্কারও হতে পারে।’
গত ৩ আগস্ট উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলাব্যাপী উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার বিরোধিতা করলে প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার বাবা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারব না।
পরে জনগণের তোপের মুখে সেই ছবি নামাতে বাধ্য হন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে প্রধান শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি, এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এ যাবত কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সাথে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
পাঁচ বছর পূর্বে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আবারও আলোচনায় আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তার ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তারা এখনো ভুগছেন সেই ঘরপোড়া মামলায়।
সোহাগ মৃধার চাচা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’
বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না— যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কিভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি, এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এ যাবত কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সাথে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
পাঁচ বছর পূর্বে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আবারও আলোচনায় আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তার ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তারা এখনো ভুগছেন সেই ঘরপোড়া মামলায়।
সোহাগ মৃধার চাচা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’
বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না— যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কিভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৭
পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রেপ্তার বিপ্লব ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর হয়েছেন বিএনপির সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য মো. শহিদুল হক জামালের এপিএস শাহ মোহাম্মাদ নাসির উদ্দীন ফকির। তার দাবি- গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপির সক্রিয় কর্মী।
উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পাটিকেলবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিপ্লব ফকিরকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি।
বিপ্লব ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব ফকিরকে পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করেন বিএনপির নেতা মো. শাহ নাসির উদ্দীন ফকির।
স্থানীয় মো. সোহেল, আরিফ ফকিরসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিপ্লব ফকির এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি কিছুটা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারের আগ মুহুর্তেও বাজারে তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আখ দিয়ে মারধর করেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির ফকিরের দাপটে চলতেন।
গুয়ারেখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লাভলু গাজী বলেন, ‘বিপ্লব মূলত বিএনপি ঘেঁষা মানুষ। শুনেছি, পূর্বে আওয়ামী লীগ করত। সোমবার বিকালে ডিবি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’
গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ফকিরকে তার নিজের সম্মতিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে শাহ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিপ্লব আমাদের দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। কে বা কারা তার নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে দিয়েছে, তা জানি না। এটি রাজনৈতিক একটি চক্রান্ত। আমরা আশা করছি তাকে এই চক্রান্তের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব।’
এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসে ফোন করা হলেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রেপ্তার বিপ্লব ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর হয়েছেন বিএনপির সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য মো. শহিদুল হক জামালের এপিএস শাহ মোহাম্মাদ নাসির উদ্দীন ফকির। তার দাবি- গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপির সক্রিয় কর্মী।
উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পাটিকেলবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিপ্লব ফকিরকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি।
বিপ্লব ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব ফকিরকে পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করেন বিএনপির নেতা মো. শাহ নাসির উদ্দীন ফকির।
স্থানীয় মো. সোহেল, আরিফ ফকিরসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিপ্লব ফকির এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি কিছুটা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারের আগ মুহুর্তেও বাজারে তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আখ দিয়ে মারধর করেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির ফকিরের দাপটে চলতেন।
গুয়ারেখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লাভলু গাজী বলেন, ‘বিপ্লব মূলত বিএনপি ঘেঁষা মানুষ। শুনেছি, পূর্বে আওয়ামী লীগ করত। সোমবার বিকালে ডিবি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’
গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ফকিরকে তার নিজের সম্মতিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে শাহ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিপ্লব আমাদের দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। কে বা কারা তার নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে দিয়েছে, তা জানি না। এটি রাজনৈতিক একটি চক্রান্ত। আমরা আশা করছি তাকে এই চক্রান্তের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব।’
এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসে ফোন করা হলেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০৫
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ডাকাত অভিযোগে মো. আলী হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার সন্ধ্যার দিকে বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।
মো. আলী হোসেন (৩৮) শিয়ালকাঠি এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাঁদের বাড়ির সামনে এসে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘর থেকে বাইরে বের হলে তাঁকে ধরে নিয়ে ঘরের পাশের একটি সুপারিবাগানে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাঁদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ডাকাত অভিযোগে মো. আলী হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার সন্ধ্যার দিকে বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।
মো. আলী হোসেন (৩৮) শিয়ালকাঠি এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাঁদের বাড়ির সামনে এসে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘর থেকে বাইরে বের হলে তাঁকে ধরে নিয়ে ঘরের পাশের একটি সুপারিবাগানে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাঁদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.